রবিবার ২০ এপ্রিল ২০২৫
সম্পূর্ণ খবর
Rajat Bose | ১৫ মে ২০২৪ ১২ : ০২Rajat Bose
সাগরিকা দত্ত চৌধুরি: ঝাঁ–চকচকে বড় বড় হাসপাতালগুলোকে ওঁরা এতদিন দূর থেকে দেখতেন। ভাবতেন, ওখানে ‘বড়লোক’দের চিকিৎসা হয়! ছোট্ট একটা সরকারি কার্ড ওঁদের ভুল ভেঙে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, এই কার্ডের দৌলতে ওরা ওই বড়লোকের হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে ফিরতে পেরেছেন আপনজনের কাছে। সুস্থ হয়ে আসা হৃদ্যন্ত্রে হাত রেখে আজ তাই ওঁরা বলছেন, ‘আমরা মমতা ব্যানার্জির কাছে কৃতজ্ঞ। মমতা ব্যানার্জির সরকার আমাদের মতো নগন্যদেরও অনেক বড় করে দিয়েছেন।’ নিজেদের অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে চোখে জল পঞ্চাশের দোরগোড়ায় পৌঁছনো কমলেন্দু সরকার, ষাটোর্ধ্ব প্রবীণা অনিতা ঘোষের। দু’জনেরই হৃদ্যন্ত্রে গুরুতর সমস্যা ছিল। মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখে ফেলেছিলেন। তখনই হৃদয় দিয়ে পাশে হাজির হয় ‘স্বাস্থ্যসাথী’। এই ছোট্ট সরকারি কার্ডটাই জীবনের স্পন্দন থামতে দেয়নি। সঙ্গে ‘বড়লোকের হাসপাতালে’ পঁাচতারা পরিষেবাও পেয়েছেন।
বনগাঁ পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ সুভাষপল্লীর বাসিন্দা কমলেন্দু সরকার। হতদরিদ্র টোটোচালক। ভেবেছিলেন, বঁাচার জন্য ঘাম রক্ত ঝরাতে ঝরাতেই জীবনটা একসময় থেমে যাবে। হৃদ্যন্ত্রে ৯৫ শতাংশ ব্লকেজ। কিন্তু নিভে যাওয়ার আগে জীবনের প্রদীপটা দপ্ করে জ্বলে উঠল এই ‘স্বাস্থ্যসাথী’র কল্যাণে। কমলেন্দুর কথায়, ‘স্বাস্থ্যসাথী না থাকলে বঁাচা মুশকিল ছিল।’
সাড়ে তিন লক্ষ টাকার চিকিৎসা পেয়ে মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফিরেছেন ৪৯ বছরের কমলেন্দু। পেশায় টোটোচালক হলেও, নিজের টোটো নেই। অন্যের টোটো চালিয়ে দৈনিক উপার্জনের থেকে ৩০০ টাকা মালিককে দিয়ে যা বাড়তি থাকে, তাই দিয়েই কোনওরকমে সংসার চলে। সংসারে বাবা, মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে। মাস দুয়েক আগে মুকুন্দপুর আমরি হাসপাতালে হৃদ্যন্ত্রের বাইপাস সার্জারির পর, ১০ দিনের মধ্যে বাড়ি ফেরেন। তারপর আচমকা শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। বুকে জল জমে যায়। সেই সময় তপসিয়ার ফ্লেমিং হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ২১ দিন আইসিইউ–তে ছিলেন। হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার পর দিন কুড়ি হল বাড়িতে এসেছেন। একটা টাকাও খরচ হয়নি তাঁর, স্বাস্থ্যসাথীর দৌলতে।
কমলেন্দুর স্ত্রী টুম্পা বললেন, ‘এর আগে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে বনগাঁর এক নার্সিংহোমে ৭০ বছরের শাশুড়ির চোখের অস্ত্রোপচার করানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তিনবার কার্ডের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছি। আমার নামেই কার্ড। আমাদের পরিবার অনেকটাই সুরক্ষিত। এত বড় রোগের এরকম বড় হাসপাতালে চিকিৎসা করানো স্বপ্নেরও বাইরে।’
একইভাবে বনগাঁ পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের শক্তিগড় দু’নম্বর গেটের বাসিন্দা অনিতা ঘোষও স্বাস্থ্যসাথীর সৌজন্যে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পেরেছেন। বছরখানেক আগে গুরুতর অসুস্থ হন। হৃদ্যন্ত্র ৯৫.২ শতাংশ ব্লকেজ। ৬০ বছরের ওই প্রবীণার তখন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ছিল না। হাজির হন পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ। তঁারই উদ্যোগে রাতারাতি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করে দেওয়া হয়। ১ লক্ষ ১০ হাজার ৮৩৪ টাকার চিকিৎসা হয় স্বাস্থ্যসাথীর মাধ্যমে। মেডিকা হাসপাতালে। অস্ত্রোপচার হয় তাঁর। বলতে গিয়ে চোখে জল প্রবীণার। ‘কীভাবে চিকিৎসা করাব, তা নিয়ে খুব চিন্তায় ছিলাম। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সব মুশকিল আসান করে দিল।’
২২ এবং ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুকুমার রায় এবং টুম্পা রায় জানান, ‘আমাদের এলাকায় ৯৭ শতাংশেরই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড রয়েছে। অনেক মানুষই উপকৃত হচ্ছেন। আর কারও কোনও সমস্যা হলে পুরপ্রধান নিজের উদ্যোগে সমাধানের চেষ্টা করেন।’ ২২ নম্বর ওয়ার্ডের জনসংখ্যা ১০ হাজার ৭০০। ভোটার ৭ হাজারের ওপর। ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ৫,২০০ ভোটার। প্রায় সকলেই স্বাস্থ্যসাথী উপভোক্তা। এলাকাবাসীই বলছেন, ‘স্বাস্থ্যসাথী আছে, তাই স্বাস্থ্য ভাল আছে।’
নানান খবর
নানান খবর

উদ্ধার হাড়, মাথার খুলি, জামার টুকরো, এগুলি কি নিখোঁজ দুই যমজ বোনের? উঠেছে প্রশ্ন

ছাগল নিয়ে ঝগড়া, দু'পক্ষের মারপিট, পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে ধর্না

এবার লেডিস স্পেশালেও উঠতে পারবেন পুরুষ যাত্রীরা, বড় সিদ্ধান্ত শিয়ালদহ ডিভিশনের

মুরগি কেন ওই বাড়িতে গেল! তা নিয়ে দু’পক্ষের মারামারি, আহত কমপক্ষে ১০

সপ্তসিন্ধু জয় করার লক্ষ্যে বড় পদক্ষেপ, জিব্রাল্টার প্রণালী পার করল কালনার সায়নী

মুর্শিদাবাদে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা

'সকালে উঠে স্ত্রীকে যেন না বলেন, চলো রামমন্দিরে যাই', দিলীপ ঘোষকে পরামর্শ মদন মিত্রের

চোলাই মদের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযান পুলিশ ও আবগারি বিভাগের, বাজেয়াপ্ত কাঁচামাল, গ্রেপ্তার এক

ভাড়াটিয়ার বিদ্যুতের বিল বকেয়া ছিল, তাগাদা করেছিলেন বাড়ির মালিক, রাগে তাঁর স্ত্রীকে খুন

টর্নেডোর দাপটে উড়ল ঘরের চাল, পড়ল গাছ, লণ্ডভণ্ড দাদপুর-ধনেখালির বিস্তীর্ণ এলাকা

চলন্ত অবস্থায় পুরুলিয়াগামী বাসে আগুন, দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা

সাতসকালে ফালাকাটায় বাইসনের তাণ্ডব, গুরুতর জখম কৃষক, এক বাইসনের মৃত্যু

গরম পড়তেই ওরা আক্রমণ করে চা গাছে, বাগান বাঁচাতে কী উপায়? বলছেন বিশেষজ্ঞরা

‘এবার যোগ্যতা প্রমাণের পালা’, সুপ্রিম রায়ে স্বস্তির পর জানাচ্ছেন প্রধান শিক্ষকরা

'আমি কি বিয়ে করতে পারি না!', বিয়ের খবর প্রচার হতেই আর কী বললেন দিলীপ ঘোষ?