শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪

সম্পূর্ণ খবর

রাজ্য | Swasthya Sathi: ‌‌হতদরিদ্র টোটো চালকের জীবন দিল স্বাস্থ্যসাথী ‌

Rajat Bose | ১৫ মে ২০২৪ ১২ : ০২Rajat Bose


‌সাগরিকা দত্ত চৌধুরি:‌ ঝাঁ–‌চকচকে বড় বড় হাসপাতালগুলোকে ওঁরা এতদিন দূর থেকে দেখতেন। ভাবতেন, ওখানে ‘‌বড়লোক’‌দের চিকিৎসা হয়!‌ ছোট্ট একটা সরকারি কার্ড ওঁদের ভুল ভেঙে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, এই কার্ডের দৌলতে ওরা ওই বড়লোকের হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে ফিরতে পেরেছেন আপনজনের কাছে। সুস্থ হয়ে আসা হৃদ্‌যন্ত্রে হাত রেখে আজ তাই ওঁরা বলছেন, ‘আমরা মমতা ব্যানার্জির কাছে কৃতজ্ঞ। মমতা ব্যানার্জির সরকার আমাদের মতো নগন্যদেরও অনেক বড় করে দিয়েছেন।’‌ নিজেদের অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে চোখে জল পঞ্চাশের দোরগোড়ায় পৌঁছনো কমলেন্দু সরকার, ষাটোর্ধ্ব প্রবীণা অনিতা ঘোষের। দু’‌‌জনেরই হৃদ্‌যন্ত্রে গুরুতর সমস্যা ছিল। মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখে ফেলেছিলেন। তখনই হৃদয় দিয়ে পাশে হাজির হয় ‘স্বাস্থ্যসাথী’‌। এই ছোট্ট সরকারি কার্ডটাই জীবনের স্পন্দন থামতে দেয়নি। সঙ্গে ‘‌বড়লোকের হাসপাতালে’‌ পঁাচতারা পরিষেবাও পেয়েছেন।
বনগাঁ পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ সুভাষপল্লীর বাসিন্দা কমলেন্দু সরকার। হতদরিদ্র টোটোচালক। ভেবেছিলেন, বঁাচার জন্য ঘাম রক্ত ঝরাতে ঝরাতেই জীবনটা একসময় থেমে যাবে। হৃদ্‌যন্ত্রে ৯৫ শতাংশ ব্লকেজ। কিন্তু নিভে যাওয়ার আগে জীবনের প্রদীপটা দপ্‌ করে জ্বলে উঠল এই ‘‌স্বাস্থ্যসাথী’‌র কল্যাণে। কমলেন্দুর কথায়, ‘‌স্বাস্থ্যসাথী না থাকলে বঁাচা মুশকিল ছিল।’‌
সাড়ে তিন লক্ষ টাকার চিকিৎসা পেয়ে মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফিরেছেন ৪৯ বছরের কমলেন্দু। পেশায় টোটোচালক হলেও, নিজের টোটো নেই। অন্যের টোটো চালিয়ে দৈনিক উপার্জনের থেকে ৩০০ টাকা মালিককে দিয়ে যা বাড়তি থাকে, তাই দিয়েই কোনওরকমে সংসার চলে। সংসারে বাবা, মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে। মাস দুয়েক আগে মুকুন্দপুর আমরি হাসপাতালে হৃদ্‌যন্ত্রের বাইপাস সার্জারির পর, ১০ দিনের মধ্যে বাড়ি ফেরেন। তারপর আচমকা শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। বুকে জল জমে যায়। সেই সময় তপসিয়ার ফ্লেমিং হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ২১ দিন আইসিইউ–তে ছিলেন। হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার পর দিন কুড়ি হল বাড়িতে এসেছেন। একটা টাকাও খরচ হয়নি তাঁর, স্বাস্থ্যসাথীর দৌলতে।
কমলেন্দুর স্ত্রী টুম্পা বললেন, ‘‌এর আগে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে বনগাঁর এক নার্সিংহোমে ৭০ বছরের শাশুড়ির চোখের অস্ত্রোপচার করানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তিনবার কার্ডের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছি। আমার নামেই কার্ড। আমাদের পরিবার অনেকটাই সুরক্ষিত। এত বড় রোগের এরকম বড় হাসপাতালে চিকিৎসা করানো স্বপ্নেরও বাইরে।’‌
একইভাবে বনগাঁ পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের শক্তিগড় দু’‌নম্বর গেটের বাসিন্দা অনিতা ঘোষও স্বাস্থ্যসাথীর সৌজন্যে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পেরেছেন। বছরখানেক আগে গুরুতর অসুস্থ হন। হৃদ্‌যন্ত্র ৯৫.‌২ শতাংশ ব্লকেজ। ৬০ বছরের ওই প্রবীণার তখন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ছিল না। হাজির হন পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ। তঁারই উদ্যোগে রাতারাতি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করে দেওয়া হয়। ১ লক্ষ ১০ হাজার ৮৩৪ টাকার চিকিৎসা হয় স্বাস্থ্যসাথীর মাধ্যমে। মেডিকা হাসপাতালে। অস্ত্রোপচার হয় তাঁর। বলতে গিয়ে চোখে জল প্রবীণার। ‘‌কীভাবে চিকিৎসা করাব, তা নিয়ে খুব চিন্তায় ছিলাম। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সব মুশকিল আসান করে দিল।’‌  
২২ এবং ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুকুমার রায় এবং টুম্পা রায় জানান, ‘‌আমাদের এলাকায় ৯৭ শতাংশেরই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড রয়েছে। অনেক মানুষই উপকৃত হচ্ছেন। আর কারও কোনও সমস্যা হলে পুরপ্রধান নিজের উদ্যোগে সমাধানের চেষ্টা করেন।’‌ ২২ নম্বর ওয়ার্ডের জনসংখ্যা ১০ হাজার ৭০০। ভোটার ৭ হাজারের ওপর। ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ৫,২০০ ভোটার। প্রায় সকলেই স্বাস্থ্যসাথী উপভোক্তা। এলাকাবাসীই বলছেন, ‘‌স্বাস্থ্যসাথী আছে, তাই স্বাস্থ্য ভাল আছে।’‌‌‌‌‌‌‌












বিশেষ খবর

নানান খবর

নানান খবর

দুর্নীতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, দুর্গাপুরে গ্রেপ্তার দুই তৃণমূল নেতা...

মালদায় রিল বানাতে গিয়ে পিস্তল থেকে মাথায় গুলি, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু স্কুলপড়ুয়ার, গ্রেফতার এক বন্ধু...

হুগলীর চুঁচুড়ায় ইজরায়েলি প্রযুক্তিতে তৈরী হচ্ছে চারা, তা দিয়ে সব্জি চাষ হবে গুজরাটে?...

৩.৫ কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়ে অপহৃত দুই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার, আটক ৫ অপহরণকারী ...

বাংলার প্রযুক্তিতেই ভরসা, হাওড়ায় তৈরি ই-রিক্সা পাড়ি দিল ঘানায়...

দাউদাউ করে জ্বলছে রিষড়া ওয়েলিংটন জুট মিল, ঘটনাস্থলে দমকল...

বাড়ির ছাদে হঠাৎ বিকট শব্দ! তড়িঘড়ি ছুটে গিয়ে মহিলা দেখলেন রক্তে ভাসছে ছাদ, তারপর যা হল.......

ব্যাগে রাখা টাকা না পেয়ে স্কুলেই পড়ুয়াদের পোশাক খুলিয়ে মার শিক্ষিকার...

শিশু সচেতনতায় চুঁচুড়া ট্রাফিক গার্ডের অভিনব উদ্যোগ...

দার্জিলিং থেকে যাচ্ছিলেন সান্দাকফু, পূরণ হল না শখ, মাঝরাস্তায় মৃত্যু কলকাতার পর্যটকের...

নিজের ঘরেই ডাকাতির ছক, কারণ জানাজানি হতেই চরম পরিণতি ব্যক্তির...

বরাদ্দ পাঠিয়েছে সরকার, তবু মজুরি পাননি গ্রাম উন্নয়ন কর্মীরা, মিনাখাঁয় তালাবন্দি বিডিও ...

৩০০টাকা দৈনিক উপার্জনেই কামাল দেখালেন বাংলার ছেলে, নিট পরীক্ষার ফল দেখে চমকে গেল দেশ...

বন্ধ করে দেওয়া হল সাতটি নার্সিংহোম, ৮৭টি নার্সিংহোমে পাঠানো হল নোটিশ, কড়া পদক্ষেপ স্বাস্থ্য দপ্তরের ...

বাড়ির কাছেই উন্মত্ত বাইসনের তাণ্ডব, মৃত্যু হল একজনের, আহত এক ...



সোশ্যাল মিডিয়া



05 24