শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
Sumit | ১৩ মে ২০২৪ ১৩ : ০৪Sumit Chakraborty
আজকাল ওয়েবডেস্ক : গত ১৭ এপ্রিল রাম নবমীর দিন মিছিল করাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদের শক্তিপুর থানা এলাকা। সেই ঘটনা সময়মত নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার জন্য ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে বেলডাঙা এবং শক্তিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকদেরকে তাঁদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে নির্বাচনের দিনও স্বাভাবিক হল না পরিস্থিতি। মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক তথা শক্তিপুরের বাসিন্দা হুমায়ুন কবীর অভিযোগ করলেন শক্তিপুরের একাধিক বুথে তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্টকে "জোর করে" বসতে দেওয়া হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শক্তিপুর থানার অন্তর্গত শিমুলডাঙ্গা,বাজারপাড়া , শিবপুর সহ একাধিক গ্রামের বেশ কিছু বুথে সকালের দিকে কয়েকজন তৃণমূল এজেন্টকে দেখা গেলেও বেলা যত গড়িয়েছে সেই সমস্ত বুথ থেকে তৃণমূল এজেন্টরা একে একে "অদৃশ্য" হয়ে গেছেন। হুমায়ুন কবীর বলেন," শক্তিপুরে ভোটের মেরুকরণ হয়ে গেছে। যেহেতু তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ইউসুফ পাঠান সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের তাই অন্য সম্প্রদায়ের মানুষ যে গ্রামগুলিতে সংখ্যাগুরু সেখানে তৃণমূল এজেন্টদেরকে বসতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে আমরা দলের কর্মীদেরকে শান্ত থাকতে বলেছি। তারা যাতে বিজেপি-র কোনও প্ররোচনাতে পা না দেয় সেই বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।"
হুমায়ুন আরও বলেন," আমরা গোটা বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনকেও কোনও অভিযোগ জানাতে পারছি না। ভোটের পর এলাকাছাড়া হওয়ার ভয়ে বুথ স্তরের কোনও কর্মী বা এজেন্ট এলাকা থেকে অভিযোগ জানাতে রাজি হচ্ছেন না। তৃণমূল বিধায়ক অভিযোগ করেন,"গ্রামের মানুষরা একত্রিত হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী এবং বিজেপি প্রার্থী নির্মল সাহার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ জানানো হবে না। তাই আমাদের দলের যারা এজেন্ট হয়েছিলেন তাঁরাও কোনও অভিযোগ জানাতে পারছেন না।" তবে বিরোধীদের এই চেষ্টা সফল হবে না বলে দাবি করেছেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন। তিনি বলেন, "বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ইউসুফ পাঠান ভরতপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে সবথেকে বেশি "লিড" পাবেন। ওঁর জয়ের মার্জিন কমপক্ষে ১.৫ লক্ষ ভোটের হবে। তবে হুমায়ুন কবীরের এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অসত্য বলে দাবি করেছেন শক্তিপুরের বিজেপির মন্ডল সভাপতি গোলক ঘোষ। তিনি বলেন," শক্তিপুরের সমস্ত বুথেই তৃণমূল প্রার্থীর এজেন্ট রয়েছে। হুমায়ুন কবীর ভোটের মেরুকরণের চেষ্টা করছেন। তাই তিনি সংবাদমাধ্যমকে অসত্য বিবৃতি দিচ্ছেন।"