শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪

সম্পূর্ণ খবর

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ | কেন্দ্র নিঃশর্ত নাগরিকত্বের প্রতিশ্রুতি দিলে ক্যা সমর্থন করব: অভিষেক

Pallabi Ghosh | ১২ মে ২০২৪ ১৯ : ২০Pallabi Ghosh


পল্লবী ঘোষ, বনগাঁ: চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে পঞ্চম দফার তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার শুরু করলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি। ২০ মে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। ৭ দিন আগে বনগাঁ কেন্দ্রের বাগদায় প্রথমবার এলেন তিনি। নজরে মতুয়া ভোট। হরিচাঁদ ঠাকুর, গুরুচাঁদ ঠাকুরকে প্রণাম জানিয়ে তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাসের সমর্থনে ৩০ মিনিটের বক্তব্যের শুরু থেকে শেষে সিএএ ইস্যুতে জোর দেন অভিষেক।
এবারের নির্বাচনে বনগাঁর অন্যতম বড় ইস্যু হল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা ক্যা। তৃণমূলের সেনাপতির বক্তব্য, "মতুয়াদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। নাগরিকত্ব দেওয়ার নামে সবটাই জুলুমবাজি, ভাঁওতাবাজি। আইন কার্যকর হওয়ার পর দুমাস কেটে গেছে। খোঁজ নিয়ে দেখুন, বিজেপির কেউ আবেদনও করেননি।"
বাগদার সভায় বক্তব্যের মাঝে অভিষেক বলেন, "মোদি-শাহ যদি প্রতিশ্রুতি দেন, নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেবে কেন্দ্র, ভবিষ্যতে এনআরসি হবে না। তৃণমূলের কেউ করুক না করুক, আমি ক্যা সমর্থন করব।"
নবজোয়ার যাত্রার সময় শান্তনু ঠাকুরের নির্দেশে অভিষেককে ঠাকুরবাড়ির মন্দিরে ঢুকতে বাধা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। রবিবাসরীয় সভায় অভিষেকের দাবি, "আমাকে বলা হয়েছিল, মন্দিরে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে ঢুকতে হবে। সেদিন ঠাকুরনগরে দাঁড়িয়ে আমি বলেছিলাম, মানুষ এর জবাব দেবেন। পঞ্চায়েত ভোটে হেরেছে। এবারেও হারবেন। গত ৫ বছরে শান্তনু যে ভাঁওতা দিয়েছেন, আধার কার্ড বাতিল নিয়ে কোনও প্রতিবাদ করেননি, তা বনগাঁর মানুষ জানেন। মনে রাখবেন, স্যাঁকরার ঠুকঠাক, কামারের এক ঘা।"
এদিনের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রীকেও চড়া সুরে আক্রমণ করেন অভিষেক। সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কটাক্ষ করে বলেন, "২০১৯ সালে বনগাঁয় প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এসেছিলেন। কথা দিয়েছিলেন, মতুয়াদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেবেন। পাঁচ বছরে খালি বিল পাস করিয়ে, ফর্ম ফিলাপ করতে বলে ছেড়ে দিয়েছেন। অসমের মতো বাংলার মানুষকেও ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন। বনগাঁ, রানাঘাটে বিজেপি গত লোকসভায় জিতেছিল। গত পাঁচ বছরে প্রধানমন্ত্রী কতবার এসেছেন? লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বাংলায় এখনও পর্যন্ত ১৬টি সভা করেছেন তিনি। সব জায়গায় ৪০ মিনিট বক্তব্য রেখেছেন। এই ৬৪০ মিনিট বক্তব্যে বাংলার জন্য উন্নয়নের কোনও কথা বলেছেন কী? বাংলার জন্য কী কী কাজ করেছেন, রিপোর্ট কার্ড দেখাতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।"
অভিষেকের আরও বক্তব্য, "রাজ্যসভায় যখন মমতা ঠাকুর শপথ নিতে গিয়েছিলেন, হরিচাঁদ ঠাকুরের নাম নেওয়ায় তাঁকে আটকে দিয়েছিলেন জগদীপ ধনকড়। পরে আবার শপথ গ্রহণের জন্য তাঁকে আহ্বান জানান। দেশবাসীর সামনে হরিচাঁদ ঠাকুরের অপমানের জবাব মতুয়ারা দেবেন।"
গত লোকসভা নির্বাচনের পর দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বিজেপিতে গিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপির হয়ে লড়ে জিতেছিলেন। মান অভিমান কাটিয়ে আবার দলে ফিরেছেন। এবার তিনবারের বিধায়ককে লোকসভার টিকিট দিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূল প্রার্থীর দলবদল প্রসঙ্গে অভিষেক আরও বললেন, "বিশ্বজিৎ দাস তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। তারপর বিজেপি ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। উনি বুঝেছিলেন সিএএ ভাঁওতা ছাড়া কিছু না। আজকের সভায় দাঁড়িয়ে বলছি, শান্তনু ঠাকুরকে হারিয়ে ২ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জিতবেন বিশ্বজিৎ।"




বিশেষ খবর

নানান খবর

নানান খবর





রবিবার অনলাইন

সোশ্যাল মিডিয়া



05 24