শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
Sumit | ০৮ মে ২০২৪ ১৯ : ০৭Sumit Chakraborty
মিল্টন সেন,হুগলি: আজ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শুভ জন্মদিন। প্রত্যেক বছর এই জন্মদিন খুবই বড় উদ্যোগ নিয়ে পালন করা হয় থাকে। কিন্তু এবছর নির্বাচন, তাই আমরা কিছু করতে গেলেই নির্বাচন কমিশনের কিছু বাঁধাধরা কাজ আছে। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন পালন হবে,না এটা হতে পারে না। তাই যেখানে যেখানে সভা করতে যাচ্ছি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি রেখে দিচ্ছি। একমাস আট দিন পর আজ আমি বাড়ি ফিরব। তার আগে রবীন্দ্র সদনে যাব। অনুষ্ঠান সেরে বাড়ি ফিরব। জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বিজেপি প্রার্থী প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখানে যিনি বিজেপির প্রার্থী, পাঁচ বছরের সাংসদ ছিলেন, তিনি আবার অনেকেরই গলার লকেট। আমি খারাপ উদ্দেশ্যে বলছিনা। তাঁকে যদি সরাতে হয় তাহলে রবীন্দ্রনাথের ভাষায় বলতে হবে। অন্ধকারের উৎস থেকে উৎসারিত আলো। সকল দ্বন্দ্ব বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভাল। সেই তো তোমার ভাল। রচনা আপনাদের ভাল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় বলে গেলাম। এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী জেলার উন্নয়ন প্রসঙ্গে কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন। প্রথমেই সিঙ্গুর প্রসঙ্গ তুলে বলেন, সিঙ্গুরে কলেজ হয়েছে। সিঙ্গুরে অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রি তৈরি হচ্ছে। হুগলি গ্রামীণ পুলিশের জেলার হেড কোয়াটার হয়েছ সিঙ্গুরে। কামারপুকুর ফুরফুরায় ৭৮০ কোটি টাকা ব্যায়ে প্ররিশ্রুত জল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। জেলায় ১১ টা কিষাণ মান্ডি হয়েছে। তারকেশ্বরে আরেকটা গ্রীণ ইউনিভার্সিটি তৈরি করে দিচ্ছি। যখন রেল মন্ত্রী ছিলাম তখন একমাত্র রেল লাইন ছিল না, বিষ্ণুপুর রেলপথ সেটাও করে দিয়েছি। অনেক রাস্তা হয়েছে। আমতা উদয়নারায়নপুর জলে ভেসে যায়। বন্যা রুখতে ২ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকার প্রজেক্ট নিয়েছি। ডানলপ এবং জেশপ কোম্পানী বন্ধ রয়েছে। আমি খুলে রেখেছিলাম কিন্তু ওরা বন্ধ করে দিয়েছিল। ২০১৬ সালে আমরা বিল পাশ করেছিলাম, বলেছিলাম আমাদের দিয়ে দাও আমরা চালাব। যারা মাইনে পায়না তাদের দশ হাজার টাকা করে দিই এখনও। নিজেরাও করেনা, আমাদেরও খুলতে দেয়না। মাহেশে জগন্নাথ মন্দিরে কাজ হয়েছে। সবুজদীপ ইকো টুরিজম পার্ক করে দিয়েছি। চন্দননগরের নিউদীঘা, লালাদিঘি সংস্কার করা হয়েছে। পুরীর মন্দিরের মত একই উচ্চতায় দীঘায় মন্দির করা হচ্ছে। ঠাকুরও এসে গেছে। কিছু কাজ বাকি আছে। ইনকমপ্লিট তাই, উদ্বোধন করতে পারব না। রাজনৈতিক দল বিজেপি চোর ডাকাতদের নিয়ে চলছে। আমরা এনআরসি মানি না। প্রধানমন্ত্রী যেখানে যাচ্ছে শুধু ছবি। নিজের আত্মপ্রচার ভাল নয়।
কি লজ্জার কথা প্রধানমন্ত্রী এত মিথ্যা কথা বলে। বলছে রেশনের টাকা দেয়। এক পয়সাও দেয়না। বলছে সব কো গ্যাস দে দেগা। দিয়েছে কি? অথচ ওরা রোজ টিভিতে কাগজে বলছে। আমরা ৯ কোটি লোককে রেশন দিই। সন্দেশখালি, দেখলেন তো আমি প্রথম থেকে বলেছি, এটা পরিকল্পনা করে করেছে। মিথ্যা কথা বলা টাকার বিনিময়ে। মান সম্মান চলে গেলে ফেরে না। মনে রাখবেন এবার যদি মোদি আসে, সবাইকে দেশ থেকে তারিয়ে দেবে। ২৬ হাজার চাকরি খেয়ে নিল।
তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, বিশ্বাস করুন আমার খুব খারপ লাগছিল। কালকে যখন খবরটা পেলাম তখন মনটা ভাল হয়ে গেলো। প্রধান মন্ত্রীকে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তুমি টাকা দাওনি। বাড়ি দাওনি, একশো দিনের টাকা দাওনি। তাহলে বিজেপিকে কেন ভোট দেব। একশো দিনের টাকা দেবে না, তাই তুমি ভোটও পাবে না। বলছে তৃণমূল চোর। আরে তৃণমূল তো চুনোপুটি। তুমি তো সব টাকা নিয়ে নিয়েছ। বিজেপিকে ভাঙো। দেশটাকে শান্তিতে বাঁচতে দাও। ১১ লক্ষ পাকা বাড়ির টাকা আমরা ডিসেম্বর থেকে দেওয়া শুরু করব। সভা শেষে মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার করে দিয়েছেন। বলেছেন, বিজেপির কথায় এরাজ্যে এনআরসি হবেনা। মনে রাখবেন আমি এরাজ্যে ক্যা, এনআরসি করতে দেব না। বুধবার বিকেলে বলাগড় বিধানসভার অন্তর্গত বাকুলিয়া ধোবা পাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গঙ্গাধরপুর ময়দানে সভা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী, মন্ত্রী বেচারাম মান্না, বিধায়ক তথা জেলা সভাপতি অরিন্দম গুইন, বিধায়ক ডাঃ রত্না দে নাগ, তপন দাশগুপ্ত, অসীমা পাত্র, অসিত মজুমদার, মনোরঞ্জন ব্যাপারী সহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।