মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সম্পূর্ণ খবর

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ | Hooghly: বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়ন ঘিরে তীব্র বিশৃঙ্খলা

Pallabi Ghosh | ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ১৯ : ২৩Pallabi Ghosh


মিল্টন সেন, হুগলি: নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে মিছিল। মঙ্গলবার বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়ন ঘিরে তীব্র বিশৃঙ্খলা জেলা সদর চুঁচুড়ায়। একদিকে তীব্র যানজট, অপরদিকে দেরি হওয়ায় অন্য রাজনৈতিক দলের মিছিলের মুখোমুখি হয়ে বিভ্রান্তি। তীব্র গরমে পরিস্থিতি সামাল দিতে নাজেহাল হয় পুলিশ। তীব্র নিন্দায় মুখর জেলার রাজনৈতিক মহল। মনোনয়ন দাখিল করার নির্ধারিত সময় ছিল বেলা ১১ টা। পরিবর্তে বেলা সাড়ে ১২ টা নাগাদ বিজেপি প্রার্থী লকেট চ্যাটার্জির মিছিল পৌঁছয় জেলা শাসকের দপ্তরে। চুঁচুড়া স্টেশন চত্বর থেকে মিছিল শুরু হয় দেরিতে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই মিছিল পৌঁছয় খাদিনা মোড় এলাকায়। কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে যায় খাদিনা মোড় চত্বর। তীব্র গরমে রাস্তায় যানজটে আটকে পড়ে একাধিক স্কুল বাস, অ্যাম্বুল্যান্স। নাজেহাল হতে হয় খুদে পড়ুয়া থেকে রোগী পথ চলতি মানুষ সকলকেই। পুলিশি তৎপরতায় প্রায় আধঘণ্টা পর খাদিনা মোড় চত্বরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। মিছিল এগিয়ে যায় ঘড়ির মোড় হয়ে জেলা শাসকের দপ্তরের লক্ষে। ওদিকে প্রশাসনের নির্ধারিত সময় অনুযায়ী মনোনয়ন জমা দিতে উদ্যত হয় বাম কংগ্রেস জোট। চুঁচুড়া আখন বাজার থেকে ঘড়ির মোড়ের দিকে এগোতে শুরু করে বাম কংগ্রেসের মিছিল। দেরিতে পৌঁছনোর কারণে চুঁচুড়া ঘড়ির মোর চত্বরে বাম কংগ্রেসের মিছিলের সামনে পড়ে যায় বিজেপির মিছিল। ফলত তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এদিন হুগলি শ্রীরামপুর এবং আরামবাগ তিন কেন্দ্রের বাম প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার কথা। সেই অনুযায়ী জেলা প্রশাসনের তরফে এই দুই দলের মনোনয়নের মাঝে এক ঘণ্টা সময় রাখা হয়েছিল। পৃথক সময় দেওয়া হয়েছিল দুই দলকে। দেরিতে পৌঁছে দুই মিছিল কাছাকাছি পৌঁছতেই স্লোগান পাল্টা স্লোগানে উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপি কর্মীদের একাংশ ঘড়ির মোড়ে বসে রাস্তা অবরোধ করার চেষ্টা করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে উদ্যত হয় চুঁচুড়া থানা এবং কমিশনারেটের বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ কর্মীরা বাম কংগ্রেসের মিছিলকে ঘড়ির মোরের একদিকে দাঁড় করিয়ে দেয়। পাশাপাশি অন্য পুলিশ কর্মীরা বিজেপি কর্মীদেরও কিছুটা পিছু হটিয়ে দিয়ে তখনকার মতো পরিস্থিতি সামাল দেয়। বামেদের অভিযোগ নির্ধারিত সময়ের অনেক দেরিতে বিজেপি মিছিল ঘড়ির মোড়ে পৌঁছতেই এই সমস্যা। বাম কংগ্রেস জোট মিছিল নির্দিষ্ট সময়ে রওনা হয়েছে। মিছিল ঘড়ির মোড়ে পৌঁছতেই সামনে পড়ে বিজেপির মিছিল। এই প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সৈকত শো বলেছেন, তাঁদের বেলা বারোটার সময় নমিনেশন দেওয়ার কথা ছিল। বিজেপির সময় ছিল বেলা ১১ টা। তারা নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘন্টা পর এখানে উপস্থিত হয়েছে। বিজেপির এই নাটকের কোনও মানে হয় না, এটা ইচ্ছাকৃত। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সব দল মনোনয়ন জমা দেবে। ওরা সারাদেশে তিন জায়গায় গায়ের জোরে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে জিতেছে। বাম কংগ্রেস কোনও বিশৃঙ্খলা সংঘাত চায় না। বিজেপি নেতা সুরেশ সাউ বলেছেন, কোনও দেরি হয়নি। আর অন্য কোনও দল নিয়ে তাদের কোনও মাথা ব্যাথা নেই। অনেক বেশি মানুষ যোগ দেওয়ায় মিছিল বড় হয়ে গিয়েছিল। ফলে এদিন রাস্তা সম্পূর্ণ তাদের দখলে ছিল। পর্যাপ্ত সময় ছিল। নির্বিঘ্নে মনোনয়ন জমা দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অরিন্দম গুইন বলেছেন, বিজেপির কাছে মূল্যবোধ তো অনেক দূরের কথা, মানুষের সুবিধে অসুবিধের কোনও মূল্য নেই। ওরা শুধু নিজেদেরটাই ভালো বোঝে। তাই ইচ্ছে করে দেরি করেছে, কারণ ওদের মিছিলে লোক হচ্ছিল না। সেটা জড়ো করতে সময় চলে গেছে। আর এই ইচ্ছাকৃত দেরি তীব্র গরমে মানুষ এবং প্রশাসন উভয়কেই বিপাকে ফেলেছে। আর দেরি নেই মানুষই ভোট বাক্সে এর উত্তর দেবে।
ছবি পার্থ রাহা।




বিশেষ খবর

নানান খবর

শীঘ্রই আসছে...

নানান খবর



সোশ্যাল মিডিয়া



04 24