বুধবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
Sumit | ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ২১ : ৫৯Sumit Chakraborty
বীরেন ভট্টাচার্য,দিল্লি : প্রথমে নাকচ করে দিলেও পরে কেন্দ্রীয় সরকারকে পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আদর্শ আচরণ বিধি কার্যকর হওয়ার কারণে এই ধরণের কোনও সিদ্ধান্ত নিতে হলে নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন নিতে হয়। প্রথম চিঠির জবাবে কমিশন কেন্দ্রীয় সরকারের আবেদন খারিজ করে দেয়। যদিও দ্বিতীয়বার ফের আবেদন করার পর অনুমোদন দেয় নির্বাচন কমিশন।
১৬ মার্চ লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর হয়ে যায়। ২৩ মার্চ নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখে পরিবেশগত ছাড়পত্র দেওয়ার অনুমতি চায়। ২৮ মার্চ কমিশনের তরফে জানানো হয়, এই ক্ষেত্রে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত ছাড়পত্র দেওয়া সম্ভব নয়। গত ২ এপ্রিল ফের নির্বাচন কমিশনে ফের চিঠি লেখে একই বিষয়ে অনুমোদন চায় কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রক। কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়, "এই ধরণের ছাড়পত্র দিতে দীর্ঘ সময় প্রয়োজন। প্রায় ১ বছরের বেশি সময় লাগে।" অর্থাৎ কেন্দ্রের তরফে কমিশনে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়, এখন অনুমতি দিলে ছাড়পত্রের প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং আগামী বছরে আবেদনকারীর হাতে সেই ছাড়পত্র পৌঁছাবে। চিঠিতে আরও বলা হয়, "এই ধরণের ছাড়পত্র নতুন প্রকল্প সম্পর্কিত নয়। বরং আদর্শ আচরণ বিধি কার্যকর হওয়ার অনেক আগেই ছাড়পত্র চেয়ে আবেদন এসেছে এবং বিগত কয়েকমাস ধরে তার প্রক্রিয়াকরণ চলছে।"
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৯ সালেও একইভাবে পরিবেশগত ছাড়পত্র দেওয়ার অনুমতি চেয়েছিল মোদি সরকার। সেই নজির তুলে ধরে নির্বাচন কমিশনকে পুনর্বিবেচনা করার আবেদন জানায় পরিবেশমন্ত্রক। ১০ এপ্রিল কেন্দ্রীয় সরকারকে দেওয়া জবাবি চিঠিতে নির্বাচন কমিশন উল্লেখ করে, "পরিবেশগত ছাড়পত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে আদর্শ আচরণবিধি সংক্রান্ত কোনও বিধি নিষেধ নেই।" পরিবেশমন্ত্রকের বক্তব্য, "২০১৪ সালের ভোটের সময়েও প্রকল্পের মূল্যায়ণ এবং সেই সংক্রান্ত ছাড়পত্র দেওয়া আদর্শ আচরণবিধির আওতার বাইরে ছিল। তবে প্রতিবার পৃথকভাবে অনুমোদন নেওয়াই সবচেয়ে ভাল। তারফলে কোনও সমস্যা থাকলে, তা দূর হয়।"