শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
Rajat Bose | ০৯ এপ্রিল ২০২৪ ১০ : ৪৬Rajat Bose
কৌশিক রায়: প্রথমে ছিলেন বিজেপির সঙ্গে, তারপর তৃণমূল, বর্তমানে আবার তিনি বিজেপিতে। পাহাড়ে গোর্খাল্যান্ডের ইস্যুতে বারবার নাম উঠেছে তাঁর। কিছুদিন আগেই দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তার সঙ্গেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুং। সামনেই নির্বাচন। বিজেপির সঙ্গে হাত মেলালেও দার্জিলিংয়ে নিজের মত করে প্রচার চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। সকাল থেকে একের পর এক মিটিংয়ের মাঝে একান্ত সাক্ষাৎকার।
* বারবার দলবদল। বিরোধীদের বক্তব্য, আপনি এজেন্সির হাত থেকে বাঁচতে দলবদল করছেন।
বিমল: একেবারেই ভুল কথা। আমার নিজস্ব কিছু ইস্যু রয়েছে। যে দল আমার এই ইস্যুর পাশে রয়েছে, আমি তাদেরই সমর্থন করতে চেয়েছি। ২০২০ সালেও এই একই কথা বলেছিলাম আমি। আমার ইস্যুগুলোর প্রয়োজনে যদি আবারও দলবদল করতে হয় আমি তাতেও রাজি। ২০২০ সালে তো আমি বলেছিলাম, মমতা ব্যানার্জিকে তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চাই। সেই সময় পাহাড়ের পরিস্থিতি ভাল ছিল না। প্রচুর মানুষ ঘরছাড়া হয়েছিলেন। তারপর কিছুটা পরিবর্তন হলেও বেশির ভাগ সমস্যা এখনও রয়ে গেছে। আমাদের সঙ্গেও বৈঠকও করা হয়নি। কিছুদিন আগে নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, গোর্খাদের জন্য তিনি কিছু পরিকল্পনা করছেন। কিছুদিন অপেক্ষা তো আমরা করতেই পারি।
* গোর্খাল্যান্ড হবে এই আশ্বাস তো আপনাদের অনেকদিন ধরেই দেওয়া হচ্ছে। ২০১৯ সালেও তো বিজেপি জিতেছে। এই পাঁচ বছরে তো কিছু দেখা যায়নি। কেন মনে করছেন যে আবার নির্বাচনে জিতলে আপনাদের স্বপ্ন পূরণ হবে?
বিমল: দেখুন একটা সমাধান তো চাই। সেটা রাজনৈতিক সমাধান হোক বা অন্য কিছু। নির্বাচনের পর আমরা তো এই বিষয়ে আলোচনা করবই। ভারত সরকারের কাছে আমরা বার্তা দেব। সেই বার্তা পাঠানোর পর আমাদের আসল রণকৌশল শুরু হবে এবং আমরা করে দেখাব এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
* বাম এবং হামরো সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী মুনীশ তামাংও তো গোর্খাল্যান্ডের বার্তা দিয়েছেন। আপনার কি মনে হয় কংগ্রেস এলেও গোর্খাল্যান্ড সম্ভব?
বিমল: দেখুন এটা কংগ্রেসের নিজস্ব অ্যাজেন্ডা। তবে মুনীশ তামাং আমার পরিচিত। ওঁকে আমার অভিনন্দন। নির্বাচনে আলাদা দলে অংশ নিলেও ভাবনা কোথাও গিয়ে মিলে যাচ্ছে। আমি চেয়েছিলাম আমরা ভাই ভাই মিলে সবাই একসঙ্গে এগোই। কিন্তু সেটা তো সম্ভব হয়নি। সব দলই তো নিজস্ব প্রার্থী দিয়েছে। আমি চেয়েছিলাম পাহাড়ের সব দল একজোট হয়ে যাতে এগোতে পারি। অভিভাবকের ভূমিকা নিয়ে আমি পাহাড়কে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। মুনীশ তামাং হোক কিংবা অজয় এডওয়ার্ড, তাঁরা সকলেই পাহাড়ের উন্নতির জন্য কাজ করছেন। তবে এখন আমার একমাত্র লক্ষ্য পাহাড় থেকে ভারতীয় জনতা পার্টিকে জেতানো। তার জন্য আমি গ্রাউন্ড জিরো থেকে কাজ করছি।
* আপনি তো বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন? শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলাদা কোনো স্ট্র্যাটেজি হয়েছে?
বিমল: আমি আমার দলের সঙ্গে আলাদা পরিকল্পনা করেছি। তার সঙ্গে বিজেপির কোনও মিল নেই। সেভাবেই আমরা নির্বাচনের আগে এগোচ্ছি। বিজেপির আলাদা রণনীতি রয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে বৈঠকও হয়েছে। তবে নির্বাচনের আগে রণনীতি খুলে বলতে পারছি না। শুধু এটুকু বলতে পারি গ্রাউন্ড জিরো থেকেই পুরো কাজটা হচ্ছে।
* তাহলে কি ধরে নেওয়া যায় আপনি জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী? নাকি পাহাড়ে তৃণমূল ফিরবে?
বিমল: না না। ১১০% ভারতীয় জনতা পার্টি জিতবে। রাজু বিস্তা জিতবেন। তবে মার্জিন একটু কমতে পারে বলে আমার মনে হয়। এর আগের বার দু’লক্ষের বেশি ভোটে জিতেছিল বিজেপি। এবার সেটা কমতে পারে। আমার বিশ্বাস ১ লক্ষ ৩৫ হাজার থেকে দেড় লক্ষের মার্জিনে বিজেপি জিতবে।