শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
Kaushik Roy | ০৭ এপ্রিল ২০২৪ ১১ : ০৬Kaushik Roy
কৌশিক রায়: শিলিগুড়ি জংশন থেকে দার্জিলিংয়ের দিকে যেতে গেলে কিছুটা রাস্তা গেলেই দার্জিলিং মোড়। ডানদিকে ঘুরলেই রাস্তার দুদিকে চোখে পড়বে সারি সারি চা-বাগান। দাগাপুর, মাটিগাঢ়া, সুকনা অঞ্চলের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় দুদিক পুরো সবুজ। কোনোটা ১০০ বছর, কোনোটা ১০২ বছর, কোনোটা আবার ১৫৮ বছর। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে তরাই এবং ডুয়ার্স দু"জায়গাতেই একটা বড় ইস্যু হয়ে উঠেছে চা বাগান। বিভিন্ন দলের পতাকা ছেয়ে গিয়েছে বাগানগুলিতে। প্রচারে আসছেন নেতারাও। কিন্তু চা শ্রমিকরা কী বলছেন? একেবারে গ্রাউন্ড জিরো থেকে খোঁজ নিল আজকাল ডট ইন। রবিবার বাদে প্রত্যেকদিনই শিফ্ট অনুযায়ী কাজ চলে চা বাগানগুলিতে। বাগানের কাজ করে সংসার চালাতে অসুবিধা হয় না? কাজ করতে করতেই নাসিমা বিবি নামে এক শ্রমিক জানালেন, "এখন খুব একটা অসুবিধা হয়না। সকালে একটা শিফ্ট থাকে। সেটা শেষ হয়ে যায় ১১টার মধ্যে। আবার কাজ শুরু হয় ২টো থেকে। বাচ্চাদের সকালে স্কুলে পাঠিয়ে দিয়ে কাজে চলে আসি। ওরা দুপুরে চলে আসে। খাইয়ে দিয়ে আবার দ্বিতীয় শিফ্টে আসি।"
দার্জিলিং মোড় থেকে সুকনার দিকে যেতে যে কয়েকটা চা বাগান পড়ে তার সবকটাতেই কার্যত তৃণমূলের জয়জয়কার। একের পর এক বন্ধ বাগান খূলছে মমতা ব্যানার্জির উদ্যোগে। বাগান জুড়ে যেমন জোড়াফুলের পতাকা, শ্রমিকরাও জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত। বীরসা ওঁরাও নামে এক শ্রমিকের বক্তব্য, "আমরা জমির পাট্টা পেয়েছি। ছেলেমেয়েদের স্কুলে ভর্তি করিয়েছি। দৈনিক মজুরি বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও মুখ্যমন্ত্রী আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন।" বাগানে ভোটের হাওয়া তাহলে কোনদিকে? মাটিগাঢ়া ব্লকের এক চা বাগানের কর্মীর কথায়, "২৯ বছর ধরে কাজ করছি। সিপিএম আমলেও দেখেছি আমাদের বাগানকে। হলফ করে বলতে পারি এবারে হাওয়া তৃণমূলের দিকেই। গত কয়েক বছরে প্রচুর উন্নতি হয়েছে। আমাদের বাগানের ভেতরেই বুথ রয়েছে।"নেতারা কেউ এসেছিলেন নাকি? উত্তর এল, খোঁজ খবর নিয়েছেন। তবে এখনও কেউ আসেননি। আসবেন নিশ্চয়ই। কয়েকদিন আগে চালসায় চা বাগানে ঢুকে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে। জলপাইগুড়ির সভা থেকে তৃণমুল সুপ্রিমো আগাম বার্তাও দিয়েছেন, জমি দেওয়া হবে শ্রমিকদের। ফলে, এবার নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রীর সেই আশ্বাসের ওপরেই ভরসা রেখেছেন চা শ্রমিকরা।