যেমন খুশি সাজো
পলাশ দে
এই, এতটুকুই
হ্যাঁ, আর কিচ্ছু নেই
ভেতরে ফাঁকা... শূন্যের খেল্
না, তার বাইরে কিছুই তো জানি না
লোকে বলছে, ফেরার-ধান্দাবাজ-অবতার
বুঝতে পারছি একটা বেশ ওলটপালট
কত রকম ডুব আর এত রকম সাঁতার
এত রকম রূপ আর কত রকম মেক-আপ
এতটুকুই,এই
'যেমন খুশি সাজো'-য় কারোর কাছে আয়না নেই
...
চলো, বেড়িয়ে আসি
পলাশ দে
দূরের ট্রেন থেকে হাত নাড়িয়ে যাই
তোমাকে
এক তালগাছ পেরিয়ে যায়, তিনটে পাখির ডানা
হাওয়ায় গ্রামীণ চায়ের ঘ্রাণ...
ঠেকে আড্ডা মারা লোকজনকেও দ্যাখা যাচ্ছে
এমন বিকেল শেষ আলোয় এমন অবসরের মেহফিল
উল্টোদিকে কী রয়েছে
একটা সাপ ঘামভর্তি ট্রেনকে ফোঁস ফোঁস করে নিয়ে যাচ্ছে
সময় মতো পৌঁছোতে না পারলে 'লেট ফাইন'
গতকালের অসমাপ্ত আদর , যেভাবেই হোক
ভোররাতে যেন পাশ ফিরে বলে, রাজি
তোমার আর আমার মধ্যে ট্যুরিস্ট গুলিয়ে যায়
...
আত্মগোপন
পলাশ দে
আত্মা, গোপন করো
ও যেন বুঝতে না পারে
এখানে কোনো আন্দোলন নেই, বাতাস ছাড়া
গা সয়ে যেতে যেতে আর কোথাও রেঙে ওঠে না চোখ
আর্সেনিক মিশে গেছে পাখির ডাকে
রোপণ করো আত্মা
ও যেন টের পায়
এইটুকু মাটি মা হবে বলে প্রতীক্ষা করছে
...
এনকাউন্টার
পলাশ দে
ভ্রমণের একা লাগে, একাকীত্ব লেগে যায়
নৌকা কখনো জল পেরোতে পারে না বলে
গাছগুলো ঝুঁকে ঝুঁকে থাকে
আর তুমি পা ডোবাও...ঢেউ ডুবিয়ে রাখো টিকিটে
সেবারের সেই অস্থির... মনে আছে!
ফোলা বডি, কচুরিপানায় জড়ানো
বাঁ আঙুলের 'অ'-কে উপহার দিয়েছিল ?
এনকাউন্টারের বডি লাগে, অসহায় লেগে যায়