খেলা না-খেলার পদ্য
-------------------------
এই যে খেলা, খেলতে গিয়ে
খেলছে যারা, খেলার মাঠে
খেলার নিয়ম খেলিয়ে ভেঙে
চড়ছে সপাট মগের ডালে
দেখছে নিচে পিঁপড়ে মানুষ
খাচ্ছে চেটে হাড়হাবাতে
হরির লুটের গুড়-বাতাসা
ভুলছে জবাব দেওয়ার ভাষা
তাদের অবোধ গুব্বো মেনে
যখন আসীন ডালের ডগায়
সূচের ফোটায় পেছন জ্বালায়
চলকে নড়ে উলটো স্থলন
এবং পতন মাটির পানে
ছড়িয়ে থাকা গুড়-বাতাসা
ছুঁচ্ছে ফিরে নিজেরই ঠোঁটে
রগড় দেখে সমস্বরে
পিঁপড়ে মানুষ হাঁকছে ঘিরে—
এই তো খেলা, হচ্ছে হবে
‘রবার যেটা সেটাই রবে’...
মঞ্চ গণতন্ত্র
---------------
ভোটের ঘোঁট আর ভোটের কাদা
ঘাঁটছে নেতায় নোংরা জল
আমজনতা মেপেই আকুল
কোন বঁড়শিতে কোথায় তল…
তলের অতল মাপতে গিয়ে
নিমজ্জনের বিষম পাঁক
হাঁসফাঁসেতে শুধুই ধাঁধা
কোন আশ্বাসে কোথায় ফাঁক!
আশ্বাস আর আস্ফালনের
তুমুল ভাষার বিপুল বাণ
বিঁধছে বুকে মত্ত নেশায়
ঘুলিয়ে মগজ, বিষিয়ে কান…
মগজ এবং কানের মাঝে
ছাঁকনি তবু জিইয়ে থাক
দেশের দশের মহোৎসবে
ভ্রান্তিবিলাস নিপাত যাক…।
ধাঁধার জ্বরে ছড়া
-------------------
আনকোরা এক প্রশ্ন হঠাৎ
খিমচে ধরে ঘিলুর তরল—
কোন গেলাসে কেমন পানি
শরবত, না শুধুই গরল?
চোখভোলানো রঙের নেশায়
মন বিষিয়ে দেওয়ার খেলা
যে খেলাতে রাজ্যপাটে
উগ্র দখল নেওয়ার পালা!
মন্ত্র কেবল উচ্চারণে
নাটুয়া নাচের দৃপ্ত ভড়ং
সারাৎসারের বালাই ঘেঁটে
ছাতি বাগানো অং-বং-চং…
দেশের দশের কেউকেটা সব
ছড়িয়ে ব্যা-রাম, খাচ্ছে মগজ
(ওদিকে) নিজেরাই দিচ্ছে নিদান
ভোটের বালাই, জবর গরজ।
গোলকধাঁধার চক্রে পাঁকে
ডুবছে মানুষ, মরছে হেঁপে
সময় শুধু দাবার চালে
কিস্তি বিষম নিচ্ছে মেপে…!