রাত দুপুরে 

উৎসর্গ: সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত, লীলা মজুমদার 


কালরাতে     হটাৎ আওয়াজ   একটা পাঁচ 
আধঘুমে,      ভেঙেছে কি?      ঘড়ির কাঁচ
বারান্দায়      আড়মোড়ায়       এলাম তাই 
কালচে চাঁদ    দুটো বাদুড়        উড়ছে ভাই 
চৌকিদার      লাঠি বাজায়      তিনতালে 
টপারটপ        জল পরে          টিন ঢালে 
ওখানে কে?   পাইপ বেয়ে      একটা চোর 
তেল মেখে     কাজ সারে        ধরবি ধর 
আচমকা       সবুজ চোখ      কেরে বাবা?
নেঙটিকে     কালোবেড়াল     মারে থাবা 
থপ করে      দেয়াল থেকে     টিকটিকি 
পড়বি পড়    আমার ঘাড়ে      দেখ দিখি  
ধ্যাৎ তেরি       পায়চারি         চলবেনি 
ঘরেতে-ঢোক   বন্ধ হোক       ছিটকিনি 
এইরে-যা       ভুলেগেছি       চা-ভিজিয়েছি 
তিতকুটে      কালচে-লাল     খাবে নাকি? 
তাতো হলো,  মনে পোলো      ঘড়ির কাঁচ 
এতো রাতে    কার হাতে       ভাঙলো আজ 
মৃদুপায়ে       এঘরওঘর        দেখি ঘুরে 
ছোট ছোট    পায়ের ছাপ      ঘর জুড়ে 
ফলগুলো     আধখাওয়া       টুকরিতে 
টফিমোড়ক    পরে আছে      বিছানাতে 
মাঝ-আয়নায়  কচিকাঁচার     হাতের ছাপ 
দূরে যেন       ভেসে আসে     ক্ষীণ-কলরব
ধরে মাথা    গা-ম্যাজম্যাজে     যাই শুতে
ভোরবেলায়  বাজে অ্যালার্ম    দেখি উঠে
মুঠোফোনেও  একটা পাঁচ    (নয়) চোখের ভুল 
শিরশিরিয়ে     উঠলো তাই     ঘাড়ের চুল 
কেবাকারা      এসেছিলো      মাঝরাতে 
নয় হানাবাড়ি  তবে অশরীরী  কেন আড়িপাতে

  • অশনি ভাদুড়ী 
img
আগের পাতা
বই পর্যালোচনা
img
পরের পাতা
সম্পাদকীয়