‘অনিমা’ নামটি বদল করে ‘কণিকা’ দিয়েছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। অবন ঠাকুর ডাকতেন, ‘আকবরী মোহর’। ‘মোহর’ ছিল তাঁর ডাকনাম। ডাকনামেই বেশি পরিচিত ছিলেন রবীন্দ্রগানের এই কিংবদন্তী। বন্ধুর সঙ্গে আম কুড়োতে গিয়ে ঝড়ের মুখে পড়েছিল মেয়েটি। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে শান্তিনিকেতনের গুরুপল্লি থেকে ছুটতে ছুটতে সামনে পেল যে মাটির বাড়িখানা, উঠে দাঁড়াল তার দাওয়ায়। তখনই চোখে পড়ল সাদা চুল-দাড়ির মানুষটিকে। তাঁকে আগেও দেখেছে মেয়েটি, ইনিই আশ্রমের ‘গুরুদেব’, এঁর গান সে শুনেছে, নিজেও গেয়ে বেড়ায়। কিন্তু এত কাছ থেকে দেখা এই প্রথম। ‘গুরুদেব’ মেয়েটিকে কাছে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘গান জানিস?’ গান শুনতেও চাইলেন। নাম-পরিচয় জেনে বললেন, ‘তুমি আমাদের সত্যচরণের মেয়ে? তা, মাঝে মাঝে গান শুনিয়ে যেয়ো আমায়।’ এভাবেই ‘শ্যামলী’র বারান্দায় রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে প্রথম ঘনিষ্ঠ পরিচয় ‘অণিমা’ নামের সেই আশ্রমকন্যার, যার নাম বদলে ‘কণিকা’য় রূপান্তরিত করে দিয়েছিলেন কবি নিজেই। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চোখে ‘আকবরি মোহর’, শান্তিনিকেতনের আশ্রমিক, ছাত্রছাত্রীদের কাছে ‘মোহর’ বা ‘মোহরদি’— রবীন্দ্রসঙ্গীতের অন্যতম কিংবদন্তি কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর শতবর্ষ পূর্ণ হলএ বছর ১২ অক্টোবর।
শান্তিনিকেতনেই তাঁর বড় হয়ে ওঠা। লেখাপড়া, গান শেখাও সেখানেই। অঙ্কে শূন্য পেয়ে রাগে-দুঃখে গুরুদেবের কাছে নালিশ জানানো, বৈতালিকদের দলে মিশে গান গেয়ে সকলের ঘুম ভাঙানো, চলার পথে একাধিক বন্ধু-বান্ধবী এমন কি জীবনসঙ্গীকেও খুঁজে পাওয়া এই শান্তিনিকেতনেই, আবার পরবর্তীকালে সেখানেই সঙ্গীত ভবনে অধ্যাপনা এবং পরিচালনার দায়িত্ব পালন— সব মিলিয়ে আশ্রমকে ঘিরেই তাঁর অনাড়ম্বর, সারল্যে ভরা অথচ অসামান্য এক সাংগীতিক জীবনচর্যা। যাঁদের গুরু হিসেবে পেয়েছিলেন তাঁরা প্রত্যেকে এক একজন দিকপাল। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর, শৈলজারঞ্জন মজুমদার, ইন্দিরা দেবী চৌধুরানী বা শান্তিদেব ঘোষের মতো বিখ্যাত ব্যক্তিত্বের কাছে তাঁর সঙ্গীতের পাঠ নেওয়া। অশেষ বন্দ্যোপাধ্যায়, রমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, ভি. ভি.ওয়াঝেলওয়ার প্রমুখের কাছে নিয়েছেন শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের তালিম। ১৯৩৭ সালে প্রথম কলকাতার রঙ্গমঞ্চে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেন কণিকা। বর্ষামঙ্গল উপলক্ষে সেই অনুষ্ঠানে কণিকা গাইছিলেন ‘ছায়া ঘনাইছে বনে বনে’-রবীন্দ্রনাথের চেয়ারের পাশে দাঁড়িয়ে। একসময় দেখতে পেলেন, ‘গুরুদেব’ স্বয়ং গলা মেলাচ্ছেন তাঁর সঙ্গে। ১৯৩৮ সাল। কণিকা মুখোপাধ্যায় (তখনও বিবাহসূত্রে ‘বন্দ্যোপাধ্যায়’ হননি) সর্বপ্রথম বাংলা আধুনিক গানের রেকর্ড করলেন। হরিপদ চট্টোপাধ্যায়ের কথায় ও নীহারবিন্দু সেনের সুরে গান দুটি ছিল -‘গান নিয়ে মোর খেলা’ এবং ‘ওরে ঐ বন্ধ হলো দ্বার’। কিন্তু স্বয়ং রবীন্দ্রনাথের আদরের কণিকা প্রথমবার রেকর্ডে গান গাইবেন অন্যের সুরে? বিষয়টি একটু আহত করেছিল কবিকে। তাই পরবর্তীকালেও আর আধুনিক গানের রেকর্ড করেননি কণিকা। একবার কথাবার্তা এগিয়েছিল, সলিল চৌধুরীর সুরে আধুনিক গান রেকর্ড করার ভাবনাচিন্তা করেছিলেন। বিরূপ সমালোচনার ভয়ে নির্বিবাদী ‘মোহর’ নিজেই সরে আসেন সে ভাবনা থেকে। নিজেই স্বীকার করেছিলেন সমালোচনা, বিতর্ক —এসবে তাঁর বড় কুণ্ঠা। অনেক পরে, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের সুরে দুটি আধুনিক গান রেকর্ড করলেও সেগুলি প্রকাশ করা হয়নি। ধ্যানজ্ঞান করেছিলেন রবীন্দ্রসঙ্গীতকেই আজীবন। তবে অতুলপ্রসাদ ও নজরুলের কয়েকটি গান শোনা গেছে তাঁর কণ্ঠে।
যে বছর আধুনিক গানের রেকর্ড করায় ক্ষুণ্ণ হয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ, সে বছরই সেপ্টেম্বর মাসে ‘কণিকা মুখার্জী (মোহর) ট্রেনড বাই শৈলজানন্দ মুখার্জি অব শান্তিনিকেতন’ এই লেবেলে হিন্দুস্তান রেকর্ডস থেকে প্রকাশিত হল তাঁর রবীন্দ্রসঙ্গীত—‘মনে কি দ্বিধা রেখে’ এবং‘ডাকবো না ডাকবো না অমন করে’।এরপর প্রকাশিত হয়েছে একের পর এক রবীন্দ্রসঙ্গীতের রেকর্ড। আকাশবাণীতেও বহুবার পরিবেশন করেছেন রবীন্দ্রসঙ্গীত; এক সময় ‘সঙ্গীত শিক্ষার আসর’ পরিচালনার দায়িত্বও পেয়েছিলেন। বিশ্বভারতীর গ্রন্থাগারিক বীরেন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হয়েছিলেন; রবীন্দ্রপ্রেমী, সাহিত্যমনস্ক এই মানুষটি শুধু জীবনসঙ্গী নন, কণিকার মননের সঙ্গী হয়ে পাশে ছিলেন আজীবন। দুজনে মিলে প্রকাশ করেছিলেন রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্পর্কে কয়েকটি মূল্যবান গ্রন্থও— ‘রবীন্দ্রসঙ্গীতের নানা দিক’, ‘রবীন্দ্রনাথঃ কাব্য ও সুর’ ইত্যাদি। শেষ বয়সে প্রকাশিত হয়েছিল কণিকার আত্মজীবনী ‘আনন্দধারা’—অলোকপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের অনুলিখনে।
১৯৪৩ সালে বিশ্বভারতীর সঙ্গীত ভবনের শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেন কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।অধ্যাপনার কাজ করে গেছেন ১৯৮৪ সালে অবসর নেওয়া অবধি।তারপর বিশ্বভারতীর এমিরেটাস অধ্যাপক হিসেবে আমৃত্যু ছিলেন। জীবনের শেষ পর্বে এসে জড়িয়ে পড়েছিলেন ‘এলমহার্স্ট ইনস্টিটিউট অফ কমিউনিটি স্টাডিজ’-এর সমাজসেবা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেরসঙ্গে। তাঁর সঙ্গে বন্ধুত্বের টানে পণ্ডিত রবিশঙ্করও এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন।শিক্ষিকা হিসেবে কণিকা তৈরি করেছেন অসংখ্য ছাত্রছাত্রীকে—বনানী ঘোষ, বুলবুল বসু, সঙ্ঘমিত্রা , গোরাসর্বাধিকারী বা রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার গায়নশৈলীতে বোঝা যায় তাঁর শিক্ষাদানের ছাপ। এছাড়াও রয়েছেন তাঁর অনেক ছাত্রছাত্রী, যাঁরা সেভাবে বাণিজ্যিক রেকর্ডে বা অনুষ্ঠানের দৌলতে খ্যাতি অর্জনের দিকে না গিয়ে হয়তো নিজেদের মত করে সঙ্গীত শিক্ষাদানের কাজ করে গেছেন। এখনও গায়নশৈলী শুনে চিনে নেওয়া তাঁদের পরবর্তী প্রজন্মের কোন শিল্পীকে— বুঝে নিতে অসুবিধে হয় না, এঁরা কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংগীতিক ধারার উত্তরাধিকার বয়ে চলেছেন।
কী বিশেষত্ব ছিল কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গায়নশৈলীতে, যা তাঁকে একইসঙ্গেএতখানি শ্রদ্ধা ও জনপ্রিয়তা দিয়েছে? ‘গায়কী’ বিষয়টি পারিভাষিক অর্থেই স্বতন্ত্র। গুরুর কাছে গান শিখে, তাঁর অনুসরণে সঙ্গীত পরিবেশন করাকে বলে ‘নায়কী’। আর ‘গায়কী’ হল শিল্পীর আত্মপ্রকাশের শৈলী। তাই একই ধারায় বা ঘরানায় গান শিখলেও, শিল্পীর নিজস্ব অনুভূতির আলোয়, আত্মনিবেদনে যখন একটি গান নতুন করে রচিত হতে থাকে গাইবার সঙ্গে সঙ্গে, তখনই তাঁর গায়কী সার্থক। কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছিল সেই মরমিয়া গায়নশৈলী, যা সুর ও বাণীর সঙ্গে শিল্পী আর শ্রোতার হৃদয়কে মিলিয়ে দেয় এক পরম নান্দনিক অনুভবের অভিমুখে। কণিকার নিজের কথায়, “তাঁর (রবীন্দ্রনাথের) গান যখন গাই তখন সেই সুরের সঙ্গে, কথার সঙ্গে, আমার সঙ্গে আর প্রকৃতির সঙ্গে যেন কোনও পার্থক্য খুঁজে পাই না। কথা সুর, পরিবেশ আর আমি নিমেষে এক...”
আন্তরিক, অথচ অপার্থিব এই একাত্মতার বোধেই পূজা, প্রেম ও প্রকৃতি পর্যায়ের রবীন্দ্রসঙ্গীত—বিশেষ করে টপ্পা অঙ্গের রবীন্দ্রসঙ্গীত এক অনন্য মাত্রা পেত তাঁর কণ্ঠে। কিছু কিছু রবীন্দ্রসঙ্গীত যেন তাঁরই সমার্থক। ‘আনন্দধারা বহিছে ভুবনে’, ‘বাজে করুণ সুরে’,’ হৃদয়বাসনা পূর্ণ হল’, ‘আমার সকল নিয়ে বসে আছি’, ‘আজ জ্যোৎস্নারাতে সবাই গেছে বনে’, ‘বিরহ মধুর হল আজি’, ‘দে লো সখী দে’, ‘অধরা মাধুরী ধরেছি ছন্দোবন্ধনে’, ‘হে মোর দেবতা’,‘হৃদয় নন্দনবনে’ ‘মন্দিরে মম কে’– এই গানগুলি যেন কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠ ছাড়া ভাবাই যায় না। তাঁর কণ্ঠে সুরের ‘স্বরস্থান’ এমন নিখুঁত ভাবে ফুটে উঠত যে, সেই স্বরের সঙ্গে বাদ্যযন্ত্রে সুর বাঁধা যেত -জানিয়েছেন অনেক বিশিষ্ট বাদ্যযন্ত্রী।
১৯৬১ সালে রবীন্দ্রনাথের জন্মশতবর্ষ স্মরণেসন্তোষ সেনগুপ্তর তত্ত্বাবধানে গ্রামাফোন কোম্পানী থেকে প্রকাশিত হতে লাগল একের পর এক রবীন্দ্রগীতিনাট্যের লং প্লেয়িং রেকর্ড। ‘শ্যামা’তে কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় নামভূমিকায়, বজ্রসেনের চরিত্রে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। আবার ‘চিত্রাঙ্গদা’য় ‘কুরূপা’র ভূমিকায় সুচিত্রা মিত্র, সুরূপা চিত্রাঙ্গদা হলেন কণিকা।তাসের দেশ গীতিনাট্যে হরতনী হিসেবে তাঁর গান ও ছোট ছোট অভিনয়- অংশ স্মরণীয় হয়ে আছে। এইচ এম ভি থেকে প্রকাশিত ‘ভানুসিংহের পদাবলী’ এবং ‘কালমৃগয়া’র রেকর্ডিং-এ সঙ্গীত পরিচালনাও করেছিলেন তিনি। সারাজীবন ধরে কণিকা একাধিক পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। বিএফজে পুরস্কার, সঙ্গীত নাটক একাডেমি পুরস্কার, পদ্মশ্রী, দেশিকোত্তম, আলাউদ্দিন পুরস্কার -একের পর এক সম্মান অর্জন করেছেন, কিন্তু মনের দিক থেকে রয়ে গেছেন সরলা সেই আশ্রমবালিকা —যিনি কলকাতায় এসে প্রথমবার ‘শেয়ার ট্যাক্সি’তে চড়ে শিশুর মত উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন, বাংলাদেশ সফরে গিয়ে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যান— তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে এত মানুষ এসেছেন -তাই দেখে। বরাবরতানপুরায় গান গেয়ে অভ্যস্ত, তাই হারমোনিয়াম বাজাতে অস্বস্তি -স্বীকার করে নেন অকপটে; তাঁর সঙ্গে বাজিয়ে দেওয়ার জন্য বিনা দ্বিধায় শরণাপন্ন হন শিল্পী-বন্ধুদের -কখনও দেবব্রত বিশ্বাস, কখনও হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। বান্ধবী সুচিত্রার সঙ্গে মান-অভিমান, মনোমালিন্য হলে জেদ ধরেন, এক মঞ্চে দুজনে গাইবেন না, বা গাইলেও তাঁকে এক টাকা অন্তত বেশি সাম্মানিক দিতে হবে, আবার অনুষ্ঠান সেই বান্ধবীকেই জড়িয়ে ধরে অঝোরে কাঁদতে পারেন।
গত শতাব্দীর নয়ের দশক থেকেই শারীরিক অসুস্থতার জন্য নিজেকে গুটিয়ে নিতে শুরু করেছিলেন কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০০০ সালের ৫ এপ্রিল পিজি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। কলকাতা থেকে তাঁকে নিয়ে আসা হয় শান্তিনিকেতনেই, আশ্রমকন্যার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় সেখানকারই মাটিতে। শান্তিনিকেতনে এখনও তাঁর স্মৃতি বহন করে চলেছে ‘এলমহার্স্ট ইনস্টিটিউট অফ কমিউনিটি স্টাডিজ’ এবং ‘মোহর-বীথিকা’ অঙ্গন। সম্প্রতি তাঁর বাসভবন‘আনন্দধারা’য় ‘কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় মেমোরিয়াল ট্রাস্ট এবং শতবর্ষ কমিটি’র উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে একটি আর্কাইভ ও সংগ্রহশালা। সেখানে রয়েছে তাঁর ব্যবহৃত শাড়ি, গানের খাতা, রেকর্ড, বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র, মানপত্র, দুর্লভ ছবি ইত্যাদি। শান্তিনিকেতনে বেড়াতে আসা সঙ্গীত-অনুরাগী মানুষজন এই সংগ্রহশালায় এলে মনে কবি অরুণ মিত্রের লেখা —“ঐ কন্ঠ আকাশসীমায় দোলে/অনেকদূরের ডাকাডাকি চারিয়ে ফেরা/আমাদের ঘুমজাগরণ জুড়ে/রবীন্দ্রনাথের শব্দমালা/আমাদের স্নায়ুধমনীতে ঝলকায়/আমাদের রক্তকণিকারা আলোয় মাতে/ঐ কন্ঠের যাদুকরী খেলায়”। কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্মৃতি, তাঁর গানের আনন্দধারায় স্নান করে আবারও মনে হবে — ‘যদি দূরে যাই চলে/ যদি পুরাতন প্রেম ঢাকা পড়ে যায় নবপ্রেমজালে/ তবু মনে রেখো।