চটকলের গোড়ার কথা

জীবনের স্রোত বয়ে চলে নিজস্ব ছন্দে। জীবন একটা নদীর মতো। এই তো সেইদিন বেড়াতে যেতাম বিজয়ার পরে দিল্লিতে; তারপর উত্তর ভারতের কোনও অচেনা শহরে, কখনও পাহাড়ে, কখনও নদীর ধারে আর কখনও সমতলে, খোলা উন্মুক্ত দিগন্তর মধ্যে, কখনও বা রাজস্থানে রুক্ষ্ম ভূমিতে। অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখতাম মহাভারতের বৈচিত্র্য। সেই থেকে আমার মনে জাগে ভ্রমণের নেশা। তখন যেতাম বাবা মায়ের সঙ্গে, বড় হয়ে দাদার সঙ্গে, দু’একবার বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে। কিন্তু পথে বিপথে, অপথে, কূ-পথে ঘুরে বেড়াবার নেশা আমার ছিলই। কোনও পাহাড় জয় নয়, কোনও সমুদ্র লঙ্ঘন নয়, শুধুমাত্র শহরে গ্রামে পথে প্রান্তরে ভ্রমণের নেশা, অপরিচিত  লোকালয়ের মধ্যে ঘোরার নেশা। আমার ভ্রমণ পর্বের নতুন করে সূচনা হয় ইংল্যান্ডে পড়ার কালে।  

 


১৯৯০ সালে আমি কেমব্রিজে চটকলের শ্রমিক আন্দোলনের উপর গবেষণার সূত্রে  স্কটল্যান্ডের একটি শহর ডান্ডীর নাম জানতাম।  ডান্ডীর বিভিন্ন অভিলেখাগারে বাংলার পাট শিল্পের উপর গবেষণার উপাত্ত সংগৃহিত রয়েছে শুনলাম। ফলে ডান্ডী যাওয়া অনিবার্য্য হয়ে উঠল আমার কাছে। আমার স্কটল্যান্ডে যাওয়ার আগ্রহ ছিল  আগেই।  রবার্ট লুই স্টিভেনসন-এর কিডন্যাপ, কাট্রিওনা প্রভৃতি উপন্যাস ছোটবেলায় পড়েছি। তখন সদ্য বেরিয়েছে ট্রেন স্পটিং। সেটা পড়ে একালের স্কটল্যান্ডের সম্পর্কে জানার আগ্রহ আরও বেড়েছে।  আরও পড়েছিলাম ইয়ান ব্যাংকস-এর ওয়াস্প ফ্যাক্টরি।  কিন্তু তার হিংস্রতা আর ভয়াবহতা আমাকে স্কটল্যান্ড সম্পর্কে আগ্রহী করেনি। তবুও স্কটল্যান্ডে গবেষণা করতে যাওয়া আর দেশ বেড়ানো দু’টো একসঙ্গে হবে বলে আগ্রহের সঙ্গে স্কটল্যান্ডে যাওয়ার জন্যে অপেক্ষা করতে লাগলাম।  
আমার মনে আছে কেমব্রিজ থেকে Peterborough ট্রেনে করে যেতে হত। তারপর সেখান থেকে দূরপাল্লার ট্রেনে এডিনবরা যেতে হত। নেনে নদীর তীরে অবস্থিত Peterborough ছিল প্রাচীন গির্জার নগরী।  সুন্দর ছবির মতো শহর কিন্তু ইতস্তত বিক্ষিপ্ত ছড়িয়ে রয়েছে বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকের শিল্পায়নের চিত্র বা তার ধ্বংসাবশেষ।  ১৯৮০-র দশকে মিসেস থ্যাচার-এর রাজত্বের শেষের দিকে যে নতুন আর্থিক নীতি গ্রহণ করা হয় তাতে ইংল্যান্ডের শিল্প ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। সেই Peterborough থেকে দূরপাল্লার ট্রেন ধরলাম। আমার আসন সংরক্ষিত ছিল। জানলার ধারে বসে পড়লাম।  ইংল্যান্ডের সবুজের ঘেরাটোপে মোড়া প্রকৃতির দিগন্তিক দৃশ্য দেখতে দেখতে চললাম। একটু এক ঘেয়ে সমভূমি।  সামান্য উঁচিনিচু কিন্তু  সবুজের গালচে  মোড়া।  শরতের নীল আকাশ ।  অল্প স্বল্প সাদা মেঘ ভাসছে।  আমি মশগুল হয়ে আছি সবুজ আর নীল আকাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে।  

 


হঠাৎ বিবিসি রেডিওর সংবাদ পড়ার  আওয়াজ শুনলাম 
 Are you going far young  man ?
-তুমি কোথায় চললে হে ছোকরা ?     
আমি দেখলাম বিবিসির কোনো বার্তা নয় আমার উল্টোদিকের আসনে বসে এক বৃদ্ধ আমাকে এই প্রশ্ন করছেন। আমি জবাব দিলাম 
-ডান্ডী।  
ভদ্রলোক আমার দিকে তাকিয়ে বললেন 
-স্কটল্যান্ডে যাঁরা অল্পবয়সী পর্যটক আসেন তাঁর ঘুরতে যান এডিনবরা, গ্লাসগো, ইনভেরনেস কিন্তু ডান্ডী তো কেউ যান না।  
আমি সবিনয়ে উত্তর দিলাম 
-আমি গবেষণার জন্যে যাচ্ছি।  আমার কাজ কলকাতার পাটকলের শ্রমিক আন্দোলন নিয়ে।  বাংলায় স্কটিশ তত্তাবধায়করা কারখানা চালাতেন। 
 ভদ্রলোক বললেন 
-তুমি কলকাতার থেকে? আমি কলকাতায় ছিলাম দ্বিতীয়বিশ্ব যুদ্ধের সময়ে ১৯৪২ থেকে ৪৫ সাল। আমি তখন সবে চাকরি শুরু করেছি স্কুলের ইংরাজীর মাস্টারমশাই হিসাবে।  তখন ফ্যাসিস্ট বিরোধী যুদ্ধের আবহে আমি যোগ দিলাম সেনাবাহিনীতে আর আমায়  পাঠিয়ে দেওয়া হলো সুদূর প্রাচ্যে কলকাতায়। সেখানে গিয়ে দেখি জাপানিদের দমন করার পরিবর্তে আমাদের কাজে লাগানো হচ্ছে কংগ্রেসের বিদ্রোহ দমনের জন্যে। আমরা খুব একটা খুশি হইনি। তখন সোলজারসদের পার্লামেন্ট হত।  আমাদের সোলজার'স পারলাইয়েমেন্ট আমরা ভারতের স্বাধীনতার জন্য বলেছিলাম। আমি যদিও বোস-কে অপছন্দ করতাম, কিন্তু তোমরা বাঙালিরা তাঁকে দেশপ্রেমিক হিসাবে উচ্চাসনে বসিয়েছিল। তবে দুর্ভিক্ষের দৃশ্য আমাকে খুব বিচলিত করেছিল।  

 


আমি বললাম ৪০ এর দশক আমাদের দেশে মানে অবিভক্ত বাংলায় নটরাজের তান্ডব নৃত্যের  দশক ( dance  of  death  ) দুর্ভিক্ষ দাঙ্গা আর দেশভাগের দশক তবে তার মধ্যেও সৃষ্টির আকাঙ্খা ছিল। আমি সেই ইংরেজ ভদ্রলোককে আরও বললাম, ৪০-এর দশকের ধ্বংসের মধ্যে সৃষ্টির বীজ ছিল : IPTA র আন্দোলন, গণসংগীত রচনা হেমন্ত এবং সলিল চৌধুরীর, শিল্পাচার্য জয়নাল আবেদিনের ছবি।  ইস্ট পাকিস্তান রেনেসাঁস সোসাইটির বাংলার মধ্যযুগীও পুঁথি সাহিত্য এবং লোক সাহিত্য দিয়ে নতুন করে পূর্ববঙ্গের সংস্কৃতির সূচনার স্বপ্নের কথা। ধ্বংস ছিল ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রর কীর্তি আর সৃষ্টি ছিল উত্তর উপনিবেশিক সমাজের প্রগতিশীল অংশের কীর্তি। ভদ্রলোক আমার এই বক্তব্য শুনলেন কিন্তু কোনও প্রতিবাদ করলেন না।  

 


আস্তে আস্তে ভদ্রলোকের সঙ্গে আলাপ জমে উঠল। ওঁর নাম প্যাট্রিক জনস্টোন। হাই স্কুলের ইংরাজীর শিক্ষক ছিলেন। কলকাতায় সেক্সপিয়ারের নাটক দেখেছেন।  আমার বন্ধুরা অনেকেই জানেন আমরা দু’টো প্রকট 'বুর্জুয়া ভাইস' রয়েছে লাল দ্রাক্ষা রসের (Red Wine ) নেশা এবং শেক্সপিয়ারের নাটক দেখা।  কেমব্রিজে প্রতি গ্রীষ্মকালে শেক্সপিয়ার উৎসবে আমার গতায়াত ছিল। একবার আমি আমার বন্ধু জো বেলব্রুনোকে নিয়ে স্টাটফোর্ড আপন অ্যাভন গিয়ে রয়েল শেক্সপিয়ার কোম্পানির নাটক দেখেছিলাম।  আর বহুবার  লন্ডনে গ্লোব থিয়েটারএ তিনঘন্টা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নাটক দেখেছি ।   আমি ভদ্রলোক কে Sir Ian McKellen-এর অভিনয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। আমার প্রিয় অভিনেত্রী জুডি ডেঞ্চ-এর সম্পর্কে জিগ্যেস করলাম।  বললাম শেক্সপিয়ার আমার ভাললাগে ছোট বেলায় যাত্রা দেখার অভ্যেস থেকে।  শেক্সপিয়ারের লম্বা  নাটক, অভিনেতাদের ঝলমলে পোশাক, আর বিগতদিনের মানুষের জীবন যন্ত্রণার গল্প , রাজপ্রাসাদের ষড়যন্ত্র আমাকে যাত্রার কথা মনে করিয়ে দেয়। কিন্তু শেক্সপিয়ারের সংলাপের কবিতা আবার জীবনের গভীর দার্শনিক মূল্যবোধকে তুলে আনে। আমার প্রিয় ডায়ালগ কৃষ্ণাঙ্গ ওথেলোর;
“Let heaven and men and devils, let them all, All, all, cry shame against me, yet I'll speak. I kissed thee ere I killed thee: no way but this, Killing myself, to die upon a kiss.”
এই সব কথা বলতে ভদ্রলোকের সঙ্গে আলাপ আরও গাঢ় হল।  দু’জনেই ওথেলো থেকে মার্চেন্ট অফ ভেনিস , জুলিয়াস সিজার থেকে ‘much ado about nothing’ নিয়ে আলোচনা  হল।  দেখতে দেখতে ট্রেন নিউক্যাসেল এসে গেল।  বৃদ্ধ আমার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নেমে গেলেন।  

 


নিউক্যাসেল বহু পুরোনো বন্দর নগরী। রোমান আমল থেকে এর অস্তিত্ব এবং আধুনিক কালে জাহাজ নির্মাণের কেন্দ্র। কিন্তু আমি যে সময়ের কথা বলছি থ্যাচার যুগের অন্তিম লগ্নে তখন এই সব শিল্পের ভগ্ন দশা। উত্তরের শহরগুলির অর্থনৈতিক অবক্ষয়ের একটি চিত্র সেই সময়ের নির্মিত ছায়াছবি ফুলমনটিতে পাওয়া যায়। অর্থনীতির বিধস্ত অবস্থা হলেও শহরের পরিপার্শিকের প্রাকৃতিক রূপ অপূর্ব।  ইংল্যান্ডের প্রতিটি অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষা ও সংস্কৃতি আছে। সেই ভাষার উচ্চরণ প্রমিত ইংরাজির থেকে ভিন্ন। নিউক্যাসেল-এর অঞ্চলের মানুষকে ইংল্যান্ডে Geordie বলে। নিউক্যাসেল পেরিয়ে গেলাম ট্রেন ডরহম হয়ে ইয়র্ক এসে  থামলো।

 

 
আমি মনের গহনে তখন ইতিহাসের পথে প্রান্তরে ঘুরে বেড়াচ্ছি। আমার মনে পরে গেল স্কটিশ লেখক রবার্ট লুই স্টিভেনসন-এর ‘ব্ল্যাক অ্যারো’ উপন্যাস। তবে এই ইয়র্ক থেকে নেমেই ট্রেনে করে যাওয়া যায় ইংল্যান্ডের লেক ডিস্ট্রিক্ট। পরবর্তীকালে লেক ডিস্ট্রিক্ট প্রায়ই গিয়েছি। কবি ও সাহিত্যিকদের স্মৃতি বিজড়িত লেক ডিস্ট্রিক্ট।  ওয়ার্ডসওয়ার্থ, কোলরিজ, রবার্ট সাউথলি প্রভৃতি রোমান্টিক কবিরা, কিম্বা চার্লস ল্যাম্ব, যাঁর টেলস অফ শেক্সপিয়ার আমাকে প্রথম শেক্সপিয়ারের সঙ্গে পরিচিত করায়। পরে তাঁর এসেস অফ এলিয়া পড়ে মুগ্ধ হয়েছি। আর থাকতেন দে কুইন্সি, যাঁর আফিমখোরের জবানবন্দি পড়ে বঙ্কিমচন্দ্র তাঁর অপূর্ব সাহিত্যকীর্তি কমলাকান্তের দপ্তর লেখেন। যদিও স্বাদে ও কল্পনায় কমলাকান্তের দপ্তর অন্য ধরণের লেখা। জন রাসকিন, যাঁর লেখা পড়ে গান্ধী অনুপ্রাণিত হন তিনিও থাকতেন লেক ডিস্ট্রিক্টে। আমার মন ট্রেন থেকে তখন উইনডামিয়ারের হ্রদের পারে চলে গেল, তার পাশে একদিকে দিগন্ত বিস্তৃত উচুনীচু আন্দোলিত ভূমি আর অন্যপাশে গাছপালা জঙ্গলের সমাবেশ।  তারমধ্যে কবি ওয়ার্ডসওয়ার্থ স্কাইলার্ক  নীল আসমানে বিচরণ দেখে রচনা করছেন কবিতা; 
“Ethereal minstrel! pilgrim of the sky!
Dost thou despise the earth where cares abound?
Or, while the wings aspire, are heart and eye
Both with thy nest upon the dewy ground?
Thy nest which thou canst drop into at will,
Those quivering wings composed, that music still!”
আমি মুগ্ধ বিস্ময়ে ট্রেন থেকে তাকিয়ে দেখছি ভূ প্রকৃতির পরিবর্তন।চার দিকে  ছোটোখাটো পাহাড়, আর অনাবাদি পশুপালনের জমি আর সবুজ উপত্যকার সমাহার। তার মধ্যেই রয়েছে স্যার ওয়াল্টার স্কটের বাড়ি Abbotsford-এ।  এই স্কটিশ রোমান্টিক লেখক ইতিহাসের আশ্রয়ে উপন্যাস লিখেছেন, স্কটিশদের পোশাক নতুন করে আবিষ্কার করেছেন এবং এ যুগের স্কটিশ জাতীয়তবাদীদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। আমাদের দেশে বঙ্কিমের উপন্যাসে তাঁর ছায়া লক্ষ্য করি।  বঙ্কিমও ইতিহাসের আশ্রয় নিয়ে উপন্যাস লিখেছেন আর ইতিহাসের মধ্যে ইউটোপিয়ান কল্পনা ঢুকিয়ে বাংলার সমাজে বিষবৃক্ষের অনুপম চারা রোপন করেছেন। ঊনবিংশ মতবাদের ইংল্যান্ডের আর স্কটল্যান্ডের ইতিহাস ও সাহিত্য পৰ্য্যালোচনা করলে বঙ্কিমের বহুমুখী চিন্তার উৎসৱ একাংশ লক্ষ্য করা যায়।  

 


আমি যখন নানাবিধ চিন্তায় মশগুল তখন ধীরে ধীরে ট্রেন এডিনবরার ওয়েভারলি স্টেশনে ঢুকছে। ঊনবিংশ শতাব্দী ধরে নির্মিত তিনটি স্টেশন-কে একত্রে এডিনবরার মূল ষ্টেশনের নাম স্যার ওয়াল্টার-এর উপন্যাস ১৮১৪ সালে লিখিত ওয়েভারলি উপন্যাস থেকে নেওয়া। প্রকৃতপক্ষে স্যার ওয়াল্টার ১৮১৪ থেকে ১৮৩২ পর্যন্ত প্রকাশিত ঐতিহাসিক উপন্যাস সমগ্রকে ওয়েভারলি উপন্যাসধারা বলে।  এডিনবরা স্টেশনের নাম থেকে বোঝা যায় আধুনিক স্কটিশ মননে ও পরিচিতিবোধে স্যার ওয়াল্টার স্কটের প্রভাব।  আমার ট্রেন যখন স্টেশনে ঢুকছে তখন শরতের সন্ধ্যার কুয়াশা মিশ্রিত মেঘচ্ছন্ন আকাশ তার ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি দিয়ে স্কটল্যান্ডে আমায় আমন্ত্রণ জানালো।  আমার যাত্রা তখন শেষ হয়নি।  আমায় আবার আঞ্চলিক ট্রেন ধরতে হবে ডান্ডী যাবার জন্যে।  আমার সে যুগের ভারতীয় হোঁদলকুতকুত ভিআইপি  সুটকেস টানতে টানতে যেতে হবে আঞ্চলিক স্টেশনের প্লাটফর্মে। এডিনবরা নিয়ে আমার রোমান্টিক আতিশয্য ছিল।  স্যার ওয়াল্টার স্কট, রবার্ট লুই স্টিভেনসন, স্যার  আর্থার  কোনান  ডয়েল, যে এম বারি, মুরিয়েল স্পার্ক, এবং ইয়ান ব্যাংকস-এর শহর।  এখানে সূচিত হয়েছিল স্কটিশ এনলাইটেনমেন্ট এর, আডাম স্মিথ  রচনা করেছিলেন তাঁর  “An Inquiry into the Nature and Causes of the Wealth of Nations”।  আমার জীবনের একাংশই কেটেছে এই স্কটিশ লেখকদের সঙ্গে সংলাপে। কিন্তু আমার এখন ভাবালু হলে হবে না। শান্তিনিকেতনী ন্যাকামো আর কবিতা প্রেম ছেড়ে  ধরতে হবে ডান্ডীর ট্রেন। যেতে হবে স্কটল্যান্ডের অভ্যন্তরে। খুঁজতে হবে কীভাবে স্কটিশ কোম্পানি টে নদীর তীর থেকে গিয়ে হুগলির তীরে গড়ে তুলল তাদের চটকলের সাম্রাজ্য।

 

(চলবে)

  • শুভ বসু