স্মৃতি নির্মাণ একটা শিল্প, সার্থক প্রয়োগ 'কাদামাটির হাফলাইফ' -এ

স্মৃতির খেয়াতে ভাসা এক আলেখ্য। যেখানে সবটা জুড়ে আছে মানুষ। আর সেই মানুষের নির্মাণে শক্ত বুনিয়াদ তৈরি করছে সময়। বিনিসুতোর টানাপোড়েনে সময়ের আলেখ্য--


স্মৃতিকথন নিয়ে আগে দুজন লেখকের বই আলোচনা করেছি। এবার ইমানুল হক। ওর বইয়ের নাম 'কাদামাটির হাফলাইফ'। এই লেখাটা ইমানুল ফেসবুক-এ লিখেছিল পরপর। প্রথমে বোধহয় কিছু না ভেবেই লিখতে শুরু করেছিল, তারপর প্রশংসা, ভাললাগা ইত্যাদির যে ভার্চুয়াল ভাষা হয়, যাকে বলে লাইক অর্জন, ভালোবাসা,  ইমোজি ইত্যাদি পেয়ে পরপর ফেসবুকে লিখতে থাকে, লিখতে লিখতে ১১৬ পর্ব হয়ে যায়। বই করার কথাও বলেন অনেকে স্বাভাবিকভাবেই, প্রকাশক এগিয়ে আসে। ভূমিকা পড়ে মনে হল একাধিক প্রকাশক বইটা প্রকাশ করতে চেয়েছিল। কিন্তু এটা ‌‘গুরুচণ্ডা৯’ প্রকাশ করেন। যশোধরার বইটা শহর জীবনকেন্দ্রিক, কিন্তু ইমানুলের বইটা পুরোপুরি গ্রাম জীবনের। সত্তর এবং আশির দশকের স্মৃতি নিয়ে এই বই।


বইটার শুরু হচ্ছে এই ভাবে— ‌‘‌‘গ্রামে প্রচণ্ড কাদা হত। হাঁটু পর্যন্ত থাকত প্রায় চার মাস। আষাঢ় থেকে আশ্বিন। এই কাদা নিয়ে ছোটবেলায় আমার বা আমাদের কোনও বিরক্তি ছিল না...’’।

 


এই কাদা এবং মাটির কথা এই সাড়ে তিনশো পৃষ্ঠার বইতে ঘুরে ফিরে এসেছে বারবার। নানা ধরনের মাটি। জমি কাদা করে ধান বুনতে হয়, কাদা দিয়ে মাটির ঘর লেপা মোছা, কাদা সর্বঅঙ্গে কাদা মেখে জলে ঝাঁপানো, সাবানের গরিব বিকল্প হিসেবে কাদার ব্যবহার, বিশেষ ধরনের মাটি দিয়ে মহিলাদের চুল পরিষ্কার করা— যা হল গরিবের শ্যাম্পু, কাদা কেন্দ্রিক কত কাঁদা-হাসা। ইমানুলকে দেখি গেরুয়া-গেরুয়া রঙের জামা-পাঞ্জাবি পরে খুব। একবার জিজ্ঞাসা করেছিলাম এই বিজেপি-বিজেপি রঙ আপনার এত প্রিয় কেন। ও বলেছিল— এটা তো আমাদের মাটির রঙ।


যদিও ইমানুলের দেশ রায়না নিকটবর্তী সেহরাবাজার-পলাশন অঞ্চলে। এটা অবশ্য রাঢ় ক্ষেত্র নয়। এই অঞ্চলের মাটি মোটেই লালচে নয়। কিন্তু মনে হয় লালমাটি ওর প্রিয়। যাই হোক, এই স্মৃতিচারণে যেটা আমি পেয়েছি, সেটা হল বিবর্তনের ছবি। আমাদের গ্রাম বাংলা বহুদিন ধরেই একটা স্থানু অবস্থায় ছিল। দীর্ঘদিন ধরে চলা সামাজিক নিয়ম, বিধি, অভ্যাস এই সব কিছুর উপর প্রথম আঘাত দিল কমিউনিস্ট ভাবধারা। এই 'আঘাত' শব্দটিকে সদর্থে ব্যবহার করেছি। অনেক অযৌক্তিক অমানবিক প্রথাকে ভেঙেছিলেন ইমানুলের পিতা এবং সমমনস্ক বন্ধুরা। ইমানুল জানিয়েছেন, ওঁর বাবা ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ছিলেন। খণ্ডচিত্রগুলিতে কিছুটা দেখলাম ক্ষমতাসীনরা কীভাবে নিজেদের প্রভু ভাবতে থাকে। বিষাণ বসুও অনেকটা এভাবেই দেখিয়েছেন ওঁর সময়কে। তবে গ্রাম্যজীবনে রাজনীতির কলুষতা ততটা বিস্তারিত আসেনি, ইমানুলের এই লেখায় বরং বেশি করে এসেছে সমাজজীবনের ছবি। সে সময়ের চড়ুইভাতি, পরে যেটা ক্রমশ পিকনিক হয়ে গেল আরও পরে ‌‘ডে-আউট’। এসেছে গ্রামীণ মেলা, যেটা ক্রমশ কার্নিভাল হয়ে উঠতে চাইবে। সেই অভাবের ভাদ্র মাস, আশ্বিন মাস। শিউলি-কাশফুল নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা এসব কিছুই গরিব মানুষের নয়। ভদ্রলোকের।


গড় মানে দুর্গ নয়। গড় মানে পুকুর। পুকুরগুলি ছিল গ্রাম জীবনের একটা অন্যতম সম্পত্তি। শহরের মানুষ ঠিক বুঝবে না। ধর্মবাবা, ধৰ্মমা, ধর্মদিদিদের কথা লিখেছে ইমানুল। ওরা ছিল। এখনও আর কি আছে? ওলাইচণ্ডীর মেলার কথা বারবার এসেছে, সেটা হিন্দু-মুসলমানের মিলিত মিলনস্থল। ১৯ মাঘ তারিখটা ওই অঞ্চলে একটা অতি গুরুত্বপূর্ণ দিন। কারণ ওই দিন ওলাইচণ্ডীর পুজো। মুসলমানরাও ওলাইচণ্ডীই বলত। (বেলগাছিয়ার ওলাইচণ্ডী মন্দিরেও কিছু মুসলমান আসেন, ওরা ওলাবিবির মন্দির বলে থাকেন)।  কাজকর্মে যারা অন্যত্র থাকত, তাদের মুখে যদি শোনা যেত পুজোয় গাঁয়ের বাড়ি যাব। পুজো বলতে দুর্গা নয়, ১৯ মাঘের ওলাইচণ্ডী পুজো বোঝাত। সাত দিন ধরে চলত মেলা। যাত্রাপালা হত। ইমানুলের পিতা এবং পিতামহ দুজনেই ছিলেন নামজাদা যাত্রাশিল্পী। আত্মীয়স্বজন কেউ কেউ পেশা হিসেবে নিয়েছেন যাত্রাকে। যাত্রা নিয়ে খুব উৎসাহ ছিল গ্রামে। সে সময়ের একটা যাত্রাপালার বিষয় নিয়ে বড় আশ্চর্য হলাম। ব্রজেন্দ্রনাথ দে-র ‌‘রাজলক্ষ্মী’। এই যাত্রাপালাটিতে রাম নয়, সীতাই মুখ্যচরিত্র। সীতা অযোধ্যায় আসার পর অযোধ্যার উন্নতি হল, প্রজারা খুশি হল, তারপর যখন অন্তঃসত্ত্বা সীতাকে রাম আবার আশ্রমে পাঠিয়ে দিলেন, অযোধ্যা থেকে লক্ষ্মী বিদায় হল। বিকল্প রামায়ণের এরকম ভাষ্য আমাদের লোক ঐতিহ্যের মধ্যে শিক্ষিত-শহুরেদের অগোচরেই রয়ে গেছে। নবনীতা দেবসেন চন্দ্রাবতী রামায়ণ নিয়ে, মিথিলা অঞ্চলের সীতা নিয়ে নানা লেখা লিখেছেন। কিন্তু বাংলার এই রাঢ় বাংলার সীতাকেন্দ্রিক পালাগান নিয়ে কিছু লেখেননি। এই বইটায় এ-নিয়ে ইমানুল আরও লিখতে পারত, কিন্তু শুধু স্পর্শ করে গেছে।


যাত্রা প্রসঙ্গে এত কথা। যাত্রা কতটা প্রিয় ছিল, একটা উদাহরণ ওর স্মৃতিচারণে—


‘‌‘একবার গ্রামে যাত্রা কোনও কারণে হয়নি সত্তর দশকে। তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে মুসলিম ধর্মাবলম্বী এক যাত্রাপ্রিয় মানুষ হিন্দু ধৰ্মা্বলম্বীর সঙ্গে মিলে মা ওলাইচণ্ডীর মুখ ঘুরিয়ে দেন। বক্তব্য একটাই— যাত্রা না হওয়ায় মা কুপিত হয়ে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছেন। তো কী আর করা, মায়ের মন রাখতে আবার যাত্রা শুরু হয়ে গেল।’’



ইমানুল কত কী চেনাবে আমাকে! কত রকম গ্রাম্য খেলা, গ্রাম্য গাছপালা, অচেনা ফল, গ্রাম্য দুষ্টুমি— যেমন হাড়ি থেকে খেজুরের রস চুরি করে খাওয়া, গায়ে বিচুটি পাতা ঘষে দেওয়া, মাথার চুলে জটা ফল গোপনে লাগিয়ে দেওয়া, এরকম সব। (জটা ফল ঝোপঝাড়ে হয়, জামের দানার মতো শরীরে নরম কাঁটায় ভর্তি, চুলে বা জামায় সহজেই আটকে থাকে) গ্রাম্য রান্নাবান্না, গ্রাম্য বিনোদন...। বিশেষ করে পূর্ব বর্ধমান অঞ্চলের বাঁকুড়া থেকে রায়না পর্যন্ত বি ডি আর রেল চলত। সেই রেল গাড়ির কণাও পাই, যা নিয়ে অমর মিত্র ‌‘আগুনের গাড়ি’ উপন্যাস 
লিখেছিলেন অনেক আগে।

 


পড়তে পড়তে দীর্ঘশ্বাস ফেলতে হয়। নতুন পেয়েছি অনেক গত পঞ্চাশ বছরে, যার সবটাই বস্তু বিশেষ, কিন্তু হারিয়েছি তার চেয়ে অনেক বেশি। যা হারিয়েছি তা সবই অবস্তু। যা সংখ্যায়, মিটারে, কেজিতে হিসেব হয় না। ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে আবেগ, প্রতিবেশীর সুখ-দুঃখকে নিয়ে আবেগ বন্ধুত্ব নিয়ে, প্রেম নিয়ে, রাজনৈতিক আদর্শ নিয়ে আবেগ এই ১১৬ পর্বের বইটি, (পর্বগুলি অবশ্য ছোট মাপের) মাঝে মাঝেই ভাবনা উস্কে দিয়েছে। মনে হয় এই বিষয় নিয়ে একটা ছোট গল্প লিখে ফেলি। (এসব আর হবে না, জীবন ছোট হয়ে এসেছে, সময় বড় কম) যেমন, একটা উদ্ধৃতি দিই—


‘‌‘সত্তরের দশকে গ্রামের ম্যাট্রিক পাশরা আশা করতেন কংগ্রেস করলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি হবে। বৈদ্যনাথদা কংগ্রেস করতেন। চাকরি হয়নি। কংগ্রেসের সঙ্গে ঘুরতে ঘুরতে দুজন দুটো অটো পান, অটো চলেনি। কারণ অটো চড়ার লোক কোথায়! লোকে তো হেঁটে মেরে দিচ্ছে। এক টাকা ভাড়া অনেক। তার যায়গায় এক হাঁটব— এই মনোভাব।’’ পাঁচ-ছয় কিলোমিটার হাঁটা খুব স্বাভাবিক ছিল। জীবনও ছিল কতটা মন্থর। একটা ঘণ্টার শ্রমমূল্যে একটাকা বাঁচানো যেত।



ইমানুলের পিতা একটি আকর্ষণীয় চরিত্র। কৈশোরকাল থেকে কমিউনিস্ট পার্টির সংশ্রবে। তারপর সিপিআই (এম)য়ের সদস্য। জরুরি অবস্থায় গ্রাম ছাড়তে বাধ্য, মিথ্যা মামলা আর হামলার কারণে। আদর্শগত ভাবে নাস্তিক, কিন্তু বাঁচবার জন্য চিল্লা যাপন। চিল্লা হল চল্লিশ দিন ব্যাপী ধর্ম যাপন এবং ধর্মপ্রচারও কিছুটা। এক চিল্লা হল চল্লিশ দিন। কয়েকটি চিল্লা করেছিলেন তিনি। এতে করে দেশভ্রমণ হল, মানুষকে জানা হল। তন্দুরি রুটি এবং রুটি খাওয়া শিখে এসে বাড়িতে রুটির ‌‘প্রচলন’ করলেন। রুটি খাওয়া তখন গ্রামে গরিবির লক্ষণ। তবলিগ জামায়েতের লোকজন আসত। এমনি করে ওলাইচণ্ডী মেলা এসে গেল। যাত্রাপালা হবে। রাম সাজবে কে? ওর বাবা রাম সাজলেন। এসবই তো উপন্যাসের হাতছানি। ইমানুলকে বলেছি ও নিজেই যেন লেখে।


আবার একটা উদ্ধৃতি দিচ্ছি—
‘‌‘বোরখা দূরের কথা, সালোয়ার কামিজও কাউকে পরতে দেখিনি ছোটবেলায়। ১৩-১৪ বছর পর্যন্ত মেয়েরা ফ্রক পরতো। পরে শাড়ি। ব্রায়ের ব্যবহার বিয়ের দিন কতক। এরপর ব্রা ব্যবহার করা হত না। বাসন-কোসন মাজার কাজে লাগত। আমি তো একাধিক বাড়িতে কড়াইয়ের কালি তুলতে ব্রার ব্যবহার দেখেছি।’’



ইমানুলের এই কথাটা অন্তত তিনবার আছে বইটিতে। এই ধরনের পুনরুক্তি অনেক বিষয় নিয়ে অনেক বারই লক্ষ্য করেছি। আসলে এটা ফেসবুকে লেখা হয়েছিল, এবং সেই লেখাগুলি সরাসরি বই হয়ে গেছে। ছাপার আগে একবার দেখে নিলে এমন হত না। সব নিয়ে এই বইটি বেশ বৈচিত্র্যময়। নানা খুঁটিনাটি বিষয় রয়েছে যা সমাজ ইতিহাসের একটা মূল্যবান উপাদান হিসেবে গণ্য হতে পারে। ভাষাবিদরাও উপকৃত হবেন। একটা পর্ব আছে, যেখানে  প্রচুর কথ্য শব্দের তালিকা দেওয়া হয়ছে। যেমন উঠান বোঝাতে আগনা, ঝিঙে বোঝাতে পড়ুল, মনখারাপ বোঝাতে উদাস লাগা, বিদ্যুৎ চমকানো বোঝাতে চিকি হানা... এরকম কত।



শৈশব যেন শামুকের খোলাটি। আজীবন বয়ে বেড়াতে হয়। পরিত্রাণহীন। শৈশব তাঁর আশ্রয়ও বটে। কবে থেকে কতদিন পর্যন্ত শৈশব বলা যায়? স্মৃতির উন্মেষ থেকে হয়ত গোঁপ বেরুনোর কাল? তবে শৈশবের সঙ্গে বাল্যকালটাও যোগ করে নেওয়া ভাল।



মানুষের স্মৃতিকোষে এই সময়কালটা রূপকথার রুপোর কৌটোর ভ্রমর। অর্দ্ধেন্দু গোস্বামীর বইটির পিছনের ব্লার্বে লেখা আছে ‌‘‌‘শৈশব ও শৈশবোত্তর সময়ের কিছু স্মৃতি নিউরনের কোষে প্রস্ফুটিত হয়ে ফুল হয়ে বসত করে। আজীবন সঙ্গী এই স্মৃতিমালার হাত থেকে নিস্তার পেতে মৃত্যু পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় মানুষকে।’’ এই নিবন্ধে তিনটি শৈশব-বাল্য স্মৃতিমূলক বইয়ের আলোচনা থাকছে। গ্রামেই অর্দ্ধেন্দু শেখর গোস্বামীর ‌‘স্মরচিহ্ন’, তারপর ইমানুল হকের ‌‘কাদামাটির হাফলাইফ’ এবং যশোধরা রায়চৌধুরীর ‌‘হারানো গানের পাতা’।



স্মৃতি নির্মাণ একটি শিল্প। মানুষ ছাড়া অন্য প্রাণীরা স্মৃতি সম্পদ কতটা কি পায় জানি না, তবে ওরা মানুষের মতো স্মৃতি রোমন্থনের সুখ পায় না। যে ঘটনাগুলিকে অতিক্রম করার সময় দুঃখ-কষ্ট শোক বা আনন্দ পেয়েছি, পরবর্তীতে তা আনন্দ হয়েই ফিরে আসে। সে আনন্দের কথা রবীন্দ্রনাথে নানা ভাবে পাই। প্রতিভা বসুর একটি স্মৃতিচারণামূলক বইয়ের নামই তো ছিল 'স্মৃতি সতত সুখের'।



বেশি বয়সে অনেকেরই স্মৃতিভ্রংশ হয়। আশ্চর্যের ব্যাপার, নিকট স্মৃতিগুলি ভুলে গেলেও শৈশব স্মৃতিগুলি ছবি হয়েই গেঁথে থাকে স্মৃতিকথায়। আমরা পাই লেখকের সামাজিক মন, শৈশব স্মৃতিগুলিও যখন একটা বয়সে এসে জারিত হয়ে পরিবেশিত হয়, লেখকের অজান্তেই লেখক প্রকাশিত হয়ে পড়েন। অর্জিত মূল্যবোধগুলিও কথা বলে ওঠে কিছু কথা।

স্মৃতিকণাগুলি ইতিহাসের উপাদানও বটে। নিজের প্রয়োজনে বেশ কিছু স্মৃতিকথা পড়তে হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। উপন্যাস লেখার জন্য তথ্য সংগ্রহের জন্য তো বটেই, তা ছাড়া কৌতূহল মেটানোর জন্যও। একটা সময়কে বুঝবার জন্যও।


কিন্তু এই স্মৃতিকথাগুলি বিশেষত শৈশব ও বাল্যস্মৃতিকথার বইগুলি পড়ার পিছনে কিছু উপাদান সংগ্রহের তাগিদ ছিল না, পড়তে ভাল লাগছিল, তাই পড়েছি।


কাদামাটির হাফলাইফ

ইমানুল হক

গুরুচণ্ডা৯ ।। কলকাতা

৩৯০ টাকা

শোভন সংস্করণ ৯৭৫ টাকা

  • স্বপ্নময় চক্রবর্তী