শিল্পী মনের বেদনা

শিল্পের জন্য শিল্পীনাশিল্পীর জন্যে শিল্প- সেই চিরন্তন বিতর্কের মাঝেই এক চিরন্তন শিল্পীকে অন্বেষণের চেষ্টা-- 

 

রাণী রাসমনির জামাতা মথুরমোহন বিশ্বাসের মৃত্যুর পর তাঁর ছোট ছেলে ত্রৈলোক্যনাথ কার্যত শ্রীরামকৃষ্ণকে দক্ষিণেশ্বরের মন্দির থেকে বিতাড়িত করেছিলেন। শ্রীরামকৃষ্ণ তখন ক্যান্সারে আক্রান্ত। নরেন্দ্রনাথ প্রমুখের ব্যবস্থাপনায় তিনি প্রথমে বাগবাজারের রাজবল্লভ পাড়ায় বলরাম বসুর বাড়িতে কিছুদিনতারপরে শ্যামপুকুর স্ট্রিটের একটি বাড়িতে বেশ কিছুদিন থাকেন।

 

 

শ্যামপুকুর স্ট্রিটের সেই বাড়িটি ছিল ব্যক্তিমালিকানাধীন। নানা শরিকি জটিলতা কাটিয়ে ব্যক্তিমালিকদের কাছ থেকে সেই বাড়ি কিনে শ্রীরামকৃষ্ণ। এবং তাঁকে কেন্দ্র করে যে সামাজিক আন্দোলন উনিশ শতকের  শেষভাগে বাংলায় গড়ে উঠেছিল, সেই আন্দোলনের কুশীলবদের স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে যে মানুষটি সব থেকে বেশি উদ্যোগী হয়েছিলেনতিনি হলেন বাংলা গানের সোনালি যুগের অন্যতম সেরা শিল্পী ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য।

 

 

               

বীরেশ্বর বন্দোপাধ্যায় নামক এক ধনী বন্ধুর সাহায্য নিয়ে ধনঞ্জয়বাবু যদি সেদিন শ্রীরামকৃষ্ণের স্মৃতিবিজড়িত শ্যামপুকুর স্ট্রিটের সেই বাড়িটি কেনার উদ্যোগ গ্রহণ না করতেন, তাহলে হয়তো এতদিনে সেখানে মাল্টি স্টোরেড বিল্ডিং   উঠে যেত। একজন আত্ম-নিবেদিত সঙ্গীতশিল্পী, আধুনিক বাংলা গানভক্তিমূলক গান ইত্যাদির পাশাপাশি রাগাশ্রয়ী লোকাশ্রয়ী নানা গানের ভেতর দিয়ে সংগীতের জগতে একটি স্থায়ী আসন নির্মাণ করেছিলেন’- ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য নামক যে মানুষটি,  সেই মানুষটির ইতিহাস সংরক্ষণের প্রশ্নে এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং অবদানের কথা খুব কম মানুষই জানেন।                   

               

 

 

আসলে ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য যে যুগের মানুষ বা শিল্পী ছিলেন, সেই যুগের মানুষ বা শিল্পীদের ভেতরে সেলফ ক্যানভাসিং বলে জিনিসটা ছিল না-ই বলা যেতে পারে। সেই কারণে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় বা ধনঞ্জয়  ভট্টাচার্যের মতো শিল্পীরা অসামান্য সংগীত পরিবেশনের পাশাপাশিসামাজিক দায়বদ্ধতার প্রশ্নটিতেও যে  অসামান্য অবদান রেখে গেছেন তা  তাঁদের খুব ঘনিষ্ঠ বৃত্তের মধ্যে থাকা সামান্য কিছু মানুষজন ছাড়া খুব বেশি লোকজন জানেনই না।  বাংলা গানের জগতে একটা সময় ছিল যখন তিন মহারথী প্রায় একই দমে তিনটি ওয়াইর্ল্ড হর্স চালিয়েছিলেন। সেই তিন মহারথী হলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য এবং গৌরীকেদার ভট্টাচার্য। জগন্ময় মিত্র ছিলেন এঁদের একটু আগের সময়ের শিল্পী। সতীনাথ মুখোপাধ্যায় একটু পরের সময়ের। জগন্ময়ের গায়কি থেকে শুরু করে যাপন চিত্রের ভেতরে একটু যেন প্রাচীনত্ব ছিল।           

 

হেমন্ত, ধনঞ্জয়, গৌরীকেদার – এই ত্রয়ীর জয়যাত্রা আধুনিক বাংলা গানে পুরুষ কন্ঠের নিবেদনের ক্ষেত্রে এক স্বর্ণোজ্জ্বল ইতিহাস। আজকের প্রজন্মের কাছে গৌরীকেদার এক বিস্মৃত শিল্পী হলেও তাঁর সেই সময়ে গাওয়া,” সমাধিতে মোর ফুল ছড়াতে কে গো এলে”  কিংবা বিপ্লবী নেতা হে বীর সুভাষ তুমি তো এলে না ফিরে “– একটা সময় লোকের মুখে মুখে ফিরত।  এইসব গানের পাশাপাশি গোলাম কাদের ছদ্মনামে বেশ কিছু অসামান্য ইসলামি সংগীত গৌরীকেদার রেকর্ড করেছিলেন। গৌরীকেদার ব্যতীত বাংলা গানের স্বর্ণযুগ বলে যে সময়টিকে উল্লেখ করা হয়সেই সময়কালেসম্ভবত আর কোনো শিল্পী ইসলামি সংগীত কিন্তু রেকর্ড করেননি। বিনোদন দুনিয়ায় সংগীতের ভেতর দিয়ে সম্প্রীতির বার্তা প্রকাশের ক্ষেত্রে তাই গৌরীকেদার ভট্টাচার্য, বাংলা তথা বাঙালির সংস্কৃতির অঙ্গনে  অতীত যুগের কে’ মল্লিকের মতোই এক উল্লেখযোগ্য নাম।

 

 

 

গৌরীকেদার অবশ্য পরবর্তীকালে সংগীতজীবন থেকে সরে যান। আধ্যাত্মিক জীবনে প্রবেশ করেন। গৌরীকেদার সংগীতজীবন থেকে সরে যাওয়ার পর একটা সময় পঙ্কজ মল্লিক পরবর্তীকালে বাংলা গানের জগতে দুই অপ্রতিদ্বন্দ্বী শিল্পী হিসেবে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ও ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য – এই দুজনের নাম সোনার অক্ষরে লেখা হয়ে আছে এবং আগামীদিনেও থাকবে। সঙ্গীতে প্রথাগত শিক্ষা হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের প্রায় ছিল নাই বলা যেতে পারে। ওস্তাদ আমির খাঁ সাহেবের কাছে তিনি উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শেখার জন্য গান্ডা বাঁধলেও লঘু সংগীতের নানা পেশাগত ব্যস্ততার কারণে সে শিক্ষা আর তাঁর  এগোয়নি। তাই হেমন্তবাবু তাঁর নিজের গাওয়া গান থেকে শুরু করেসুরারোপিত গান  কোনও ক্ষেত্রেই রাগ সঙ্গীতের কোনওরকম ব্যবহার প্রায় করেননিই বলা যেতে পারে নিজের বিচরণক্ষেত্র সম্পর্কে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের ছিল এক আশ্চর্য রকমের আত্মসচেতনতা।

 

 

অপরপক্ষে ধনঞ্জয়বাবু রীতিমত রাগ সঙ্গীত চর্চা করেছেন। তাঁর গায়কীতে সেই রাগ সঙ্গীতের ওপর দক্ষতার অনবদ্য সব নিদর্শন রয়েছে। তা সত্ত্বেও ধনঞ্জয়বাবু কিন্তু একটি বারের জন্যও তাঁর নিজের গাওয়া কোনও গানে অহেতুক তানকর্তবের  ভেতর দিয়ে রাগ সঙ্গীতে নিজের দক্ষতা পরিচয় বলপূর্বক ভাবে রাখবার চেষ্টা কখনো করেননি।  রাগসঙ্গীত, এমনকি পাশ্চাত্য সুরের নানা অনুরণন ধনঞ্জয় বাবুর গানে একাধিকবার ঘুরেফিরে এসেছে, একাধিক সুরকারের প্রয়োগের ভেতর দিয়ে সেই সব গানগুলি ধনঞ্জয়বাবুর  স্বর্ণকন্ঠ এবং অবিস্মরনীয় গায়কির ভেতর দিয়ে ইতিহাস তৈরি করেছে। রেকর্ডে গাওয়া এই গানগুলি ধনঞ্জয়বাবু যখন কোনও মেহফিলে পরিবেশন করতেনতখনও কিন্তু নিজের রাগসঙ্গীতের উপর দক্ষতা  সাধারণ মানুষের মধ্যে বলপূর্বক দেখাবার চেষ্টায় ধনঞ্জয়বাবু কখনও ব্যস্ত হয়ে পড়েননি।  সঙ্গীত ধনঞ্জয় ভট্টাচার্যের জীবনের একমাত্র পেশা হলেও সেই পেশার তাগিদকে নেশায় পরিণত করে যে কোনও রকমের গান গাওয়া কেবলমাত্র অর্থ উপার্জনকে নিজের জীবনের চরম লক্ষ্য হিসেবে কিন্তু ধনঞ্জয়বাবু কখনও ধরে নেননি। ফলে সমসাময়িক হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, মান্না দে প্রমুখের সঙ্গে যোগ্যতার মাপকাঠিতে সমতুল্য হয়েও হেমন্তমান্না প্রমুখদের মতো  ধনঞ্জয় ভট্টাচার্যের গাওয়া রেকর্ডের সংখ্যা বা ফিল্মে তাঁর গাওয়া গানের সংখ্যা কিন্তু খুব কম।    

           

 

হেমন্ত, মান্নার মত কখনও বোম্বের ফিল্ম জগতে ধনঞ্জয়বাবুকে তেমন একটা পরিচিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে আমরা দেখতে পাই না। এই না দেখতে পাওয়ার একটা বড় কারণ হল, এক ধরনের অদ্ভুত আত্মমগ্নতা ব্যক্তি ধনঞ্জয় ভট্টাচার্যকে সবসময় ঘিরে রাখত। সঙ্গীত বিভোর ধনঞ্জয়সঙ্গীতকে নিয়েছিলেন কার্যত তাঁর সাধনার একটি অঙ্গ হিসেবে। অতিরিক্ত গান গাওয়াসঙ্গীত পরিচালনা ইত্যাদি ভেতর দিয়ে নিজেকে খুব বেশি প্রচারমাধ্যমের সামনে তুলে ধরার প্রশ্নে একটা স্বভাবসুলভ ঔদাসীন্য সবসময় ধনঞ্জয় ভট্টাচার্যের মধ্যে কাজ করে গেছে। ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য অনেক কৃতি ছাত্র তৈরি করেছিলেন। সেই কৃতি ছাত্রদের মধ্যে সবথেকে প্রথমে নাম করতে হয় তাঁর ভাই পান্নালাল ভট্টাচার্যের। এই ভাইটিকে ঘিরে খ্যাতির শীর্ষে থাকার সময়কালে ধনঞ্জয় ভট্টাচার্যকে অনেক ধরনের অহেতুক অপবাদের সম্মুখীনও হতে হয়েছিল। ধনঞ্জয়বাবুর সহোদর পান্নালাল অসামান্য কন্ঠ সম্পদের অধিকারী ছিলেন। আধুনিক গান থেকে শুরু করে ভক্তিসঙ্গীত –  সবেতেই তাঁর অসামান্য দক্ষতা ছিল।

 

 

 

তবে  রাগ সংগীত বা পাশ্চাত্যের সুরের আমেজ সম্পন্ন গান বা লোকাশ্রয়ী গানের আবেদন ভরা গান নিয়ে কখনও পান্নালাল সেভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেননি। ভক্তিরসাত্বক গানে পান্নালাল অনবদ্য হলেও ধনঞ্জয়বাবুর যাপনচিত্র যে আধ্যাত্মিকতার ছাপ ছিলপান্নালালের যাপনচিত্রে কিন্তু আধ্যাত্মিকতার তেমন কোনও সম্পর্ক আদৌ ছিল না। তার পাশাপাশি পান্নালাল ছিলেন চরম মদাসক্ত। পান্নালাল প্রথম জীবন থেকে মদের প্রতি বিশেষরকমের রকম আসক্ত ছিলেন নাতাঁর স্ত্রীর সঙ্গে বৈবাহিক জীবনের সংকট ঘিরে মদের প্রতি তাঁর অতিরিক্ত আকর্ষণ তৈরি হয়েছিল  তা এখন আর সঠিকভাবে জানার কোনও উপায় নেই। তবে এ কথা চরম সত্য এই যেদাদা ধনঞ্জয়ের আধুনিক গান থেকে শুরু করে শ্যামাসঙ্গীত সর্বক্ষেত্রেই জনপ্রিয়তা ঘিরে ঈর্ষাজনিত কারণ থেকে কোনওরকম  বিষাদগ্রস্ততার শিকার হয়ে পান্নালাল কিন্তু আত্মহত্যা করেননি। তাঁর গলায় দড়ি দিয়ে  আত্মহত্যার এক এবং একমাত্র কারণ ছিল, তাঁর স্ত্রী আসমানীর সঙ্গে তাঁর চরম দাম্পত্য কলহ।                    

   

 

পান্নালালের আত্মহত্যার পর ধনঞ্জয়বাবুর উপরে এক ধরনের  নোংরা সামাজিক চাপ তৈরি করা হয়েছিল। সঙ্গীতজগতে ধনঞ্জয়বাবুর অসামান্য সাফল্যে ঈর্ষান্বিত একটি মহল থেকে প্রচার করা হয়েছিল যেধনঞ্জয়বাবুই তাঁর সহোদর পান্নালালকে আধুনিক গান গাইতে দেননি। ঠেলে দিয়েছিলেন বলপূর্বক ভাবে ভক্তিমূলক গানের দিকে। আর কেবলমাত্র ভক্তিমূলক গান গেয়ে সন্তুষ্ট নাকি ছিলেন না পান্নালাল। তিনি চাইতেন, আরও আরও আধুনিক বাংলা গান গাইতে। কিন্তু গাইতে পারতেন না নাকি দাদা ধনঞ্জয় নানা ধরনের আপত্তির কারণে। সেই বিষাদ থেকেই নাকি আত্মহত্যা করেছিলেন পান্নালাল– এই ধরনের অপপ্রচার খ্যাতির শীর্ষে থাকাকালীন সময় ধনঞ্জয় ভট্টাচার্যকে মারাত্মকভাবে আহত করে। ধনঞ্জয়বাবুর মনের উপর এই আঘাত এতখানি প্রভাব বিস্তার করেছিল যেপান্নালালের আত্মহত্যার পর একটা দীর্ঘ সময় ধনঞ্জয়বাবু কার্যত প্রকাশ্যে আর গাইতেন না। বস্তুত ধনঞ্জয়বাবু ছিলেন অত্যন্ত আত্মাভিমানী অথচ প্রবল আত্মমর্যাদা জ্ঞানসম্পন্ন একজন মানুষ। পান্নালালের আত্মহত্যার পর তাঁকে ঘিরে এই ধরনের অপপ্রচার ধনঞ্জয়বাবুকে ক্ষত-বিক্ষত করে দিয়েছিল। তাই এই সময়কালে একটা দীর্ঘ সময় ধরে রেকর্ড করা তো দূরের কথা, কোনও জলসায় পর্যন্ত ধনঞ্জয়বাবু গান গাইতেন না। যদিও শ্রীরামকৃষ্ণ সংক্রান্ত ঘরোয়া সভা-সমিতিতে এই সময়কালে গান গাওয়ার বিরাম ছিল না ধনঞ্জয় বাবুর।     

 

 

          

সনৎ সিংহনির্মল মুখোপাধ্যায় প্রমুখ আরও  অনেক কৃতি ছাত্র ধনঞ্জয়বাবুর আছেন যাঁরা পরবর্তীকালে ছাত্র হিসেবে সঙ্গীত জগতে একটা স্থায়ী আসন নির্মাণ করে তাঁদের শিক্ষক ধনঞ্জয়বাবুর মুখ উজ্জ্বল করেছিলেন। অনেকেরই হয়তো জানা নেইশিল্পী বা সুরকার ধনঞ্জয় কিন্তু একজন অসামান্য কবিও ছিলেন। তাঁর গাওয়া বেশ কিছু গানে গীতিকার হিসেবে আমরা শ্রী আনন্দ’ কে দেখি। এই শ্রী আনন্দ’  কিন্তু আর কেউ নন, ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য স্বয়ং। খ্যাতির শীর্ষে থাকা সময় এই শ্রীআনন্দ’ নামের আড়ালে কবির খেয়ালে প্রেমময় তুমি সম্রাট শাহজাহান’,  প্রেমিক ধনঞ্জয়বাবুর শিল্পীসত্তার একটি অসামান্য পরিচয়। আবার সেই ধনঞ্জয়বাবুই তাঁর জীবন সায়াহ্নে এসে রচনা করেছিলেন একটি অসামান্য ভক্তি সংগীত।পঞ্চবটীর পাতায় পাতায় তোমার নামটি লেখা, আবার কবে আসবে ঠাকুর, কবে হবে দেখা

 

 

 

সপ্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে ধনঞ্জয় ভট্টাচার্যের সেভাবে সম্পর্ক কোনওদিনই ছিল না। তবে বন্ধু সলিল চৌধুরীর প্রভাবে প্রগতিশীল নানা কর্মকাণ্ডের সঙ্গে একটা নিবিড় সম্পর্ক ধনঞ্জয়বাবুর তৈরি হয়েছিল। বন্ধু সলিলের রাজনৈতিক ভাবনার প্রতি আধ্যাত্মিক জগতে ডুবে থাকা ধনঞ্জয়বাবু কিন্তু একটা প্রচ্ছন্ন সমর্থনের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই চলতেন। শ্যামল গুপ্তের কথায় সতীনাথ মুখোপাধ্যায়ের সুরে ধনঞ্জয়বাবুর একটি অসামান্য জনপ্রিয় গান,’ শূন্য ঘরে ফিরে এলেম যেই,  চোখের জলে পড়লো মনে আর তো তুমি নেইহায়আর  তো তুমি নেই  তাঁর স্ত্রী বিয়োগের পর শ্যামল গুপ্ত যখন প্রথম তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন, শ্যামল গুপ্তের হাত দুটো ধরে মিতবাক  ধনঞ্জয়বাবুতাঁর সেই মৃদুঅনুকরণীয় কন্ঠে শুধু একটি কথাই বলেছিলেন,’ এমন কথা কেন লিখেছিলেন শ্যামলবাবু?

  • সম্পাদকীয়