কপালে চন্দনের ফোঁটা, মাথায় আশীর্বাদী ফুল, শুভদীপ খানা জ্বলছে যে বেশ,
মুখে তুলে দেওয়া পায়েসের বাটি... মধ্যাহ্নের সূর্য গগন মাথায়;ছায়া ফেলে না তখনও!
শেষ বিকেলে মায়াবী গোধূলিতে,মায়ের কথা মনে পড়ে খুব,
কষ্টগুলো ধুইয়ে দিত সেই দু হাতে,
মুছিয়ে দিত আঁচল দিয়ে,
গুছিয়ে দিতে মুখের ভাত,
আজ যে জন্মদিন,
তোমার মুখটাই ভেসে আসছে প্রতিক্ষণে;
আদর করে জড়িয়ে ধরো,
রাত জাগা তুমি দুয়ার খুলে দাঁড়িয়ে থাকো,
আসবে খোকা কখন তোমার
সেই অপেক্ষাতেই বসে থাকো।
চাঁদের আলোর বিছানা পাতো,
আমার জন্য যুদ্ধ কর,
এখন আমার রোজ লড়াইয়ের নামতা শোনো...
খিদের নদী এখনো বয়, কাটছি সাঁতার সেই নদীতে...
জানি তুমি আছো সঙ্গে আমার,
পাবই তীর ঠিক খুঁজে;
হয়তো কদিন সময় পরে,
তুমি দেখো ললাটে তোমার খোকার জয় টিকা!
প্রতি বছর জন্মদিন আসে ফিরে নিয়ম করে,
পায়েসের বাটি আর তোমার মুখ বড্ড যে আজ মনে পড়ে।
এসেছে আবার জন্মদিন, আশীর্বানী, ভালোবাসা, শুভেচ্ছা আসছে অনেক...
হয়তো এবার তোমার খোকা হবে বড় অনেকখানি,
দুগ্গা দুগ্গা বলো তুমি ...
সামনে যে পথ অনেক বাকি।
তুমিই তো আমার আলোর সাথী।
"যীশু দিবস"
অমিত বিকাশ দে
উত্তুরে বাতাস, হিমেল হাওয়া, রুক্ষ শীত,
রূপসী বাংলায় আজ রাতে হবে ...
যীশু দিবস
কোলাহলি মানুষ মেতেছে উৎসবে, উল্লাসে, উন্মাদনায়,
উদ্ভ্রান্ত আনন্দ রাত্রি,ঝরনা আলোয় গান গায়,
মাপা হাসি আর চাপা কান্নায়'!,
খিদে, চোখের জল মুছে আজ উম্মত্ত এ রাতে,
উল্লাস তুলেছে মুখে চোখে রং মেখে,
শরীরে শিহরণ, শব্দের ঝংকারে,
মায়াপানির আকণ্ঠ আবেশ,বিভঙ্গের হিল্লোলে...
শান্তির জল ছিটিয়ে,ঢুকবে সে বাড়ি,
প্রভাত সূর্যের তৃপ্ত স্নিগ্ধ ,
সোনালী আলো মেখে,
আজ যে বড়দিন আজ যীশু দিবস।
মগ্ন কিশোর,যে সবে বুঝতে শিখছে আনন্দ আর দুঃখের মানে,
সপ্তর্ষি নক্ষত্র বিস্ময়ে! সে শুধু দেখে ক্রিসমাস ট্রি ,শান্তা ক্লজ... শেষে জিংগেল বেল শোনে,
ইমনের সুর নয় আজ, চারিদিকে বাজছে
হাজারো ঘন্টাধ্বনি! সে কি যুদ্ধ শুরু?
শান্ত গির্জায় প্রভু যীশুর চোখের জল বলে দেয়
"ক্ষমা কর পিতঃ, এরা কি করছে এরা জানে না"।
শুষ্ক ঝরা পাতা, সরে যাওয়া ক্যালেন্ডারের পাতায়
অপেক্ষায় নতুন বছর।
পাল্টায় না খিদে আর বোধের সংগ্রাম
উপসংহারে প্রতি বার ফিরে ফিরে আসে শুধু
আমাদের বড়দিনের
অনপনেয় যীশু দিবস।