শ্যামরায়মঙ্গল- প্রতাপাদিত্যের গুপ্তধন

ত্রয়োদশ অধ্যায়

স্যার, আপনি কি ধাড়া নামের লোকটির কথায় বিশ্বাস করলেন?’

 সজলের প্রশ্নের উত্তরে মনোময় বললেন, ‘একেবারেই না। সেসত্যি ফ্ল্যাট বিক্রির দালাল হলে আমাদেরকে ফোন নাম্বার দিয়ে দিত’।

 ‘আপনার কী মনে হয় লোকটা কে ?’

 ‘মনে তো হচ্ছে সর্দারের লোক। আমরা কোনদিকে এগোচ্ছি নজর রাখছে’।

 ‘স্যার, কী করবেন তাহলে ?’, সজলের মুখে উদ্বেগ দেখা গেল।

 ‘কিছুই করব না। ওরা নজর রাখলে রাখবে। গুপ্তধনের ব্যাপার। তার উপর গুপ্তধন পেয়ে গেলে আমরা সরকারি কোষাগারে জমা করে দিতে পারি। ফলে আমাদের উপর নজর রাখারই কথা’।

  সজল সায় দিতে মাথা নাড়ল দেখে মনোময় বললেন, ‘ছাড়ো। চা-টাও ভালো করে খাওয়া হল না। চল আর এক কাপ করে নিই। ঘাটে বসে রিল্যাক্স হয়ে কিছুক্ষণ গল্প টল্প করে বাড়ি ফিরি’।

  চায়ের অর্ডার দেওয়ার পরে চৈতালি হাসিমুখে বলল, ‘স্যার, এতোগুলো রাজা আর তাদের বংশধর হয়ে গিয়ে আমার নামধাম সব গুলিয়ে যাচ্ছে’।

  মনোময় হেসে বললেন, ‘দোষের কিছু নেই এতেআমি একটু সারসংক্ষেপ করার চেষ্টা করি বরং’

 ‘স্যার, সেই ভালো’।

 ‘দেখ। প্রতাপের বাবার নাম হল শ্রীহরি আর কাকার নাম জানকীবল্লভ। কিন্তু এঁরা দুজনে বিক্রমাদিত্য আর বসন্ত রায় নামে পরিচিত। বিক্রমাদিত্য আগে মারা গিয়েছেন। প্রতাপের হাতে নিহত হয়েছেন বসন্ত রায় এবং তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র গোবিন্দ রায়। বসন্ত রায়ের আরো কয়েকটি ছেলে নিহত হয়েছিল। প্রতাপের হাত থেকে বাঁচতে কচু বনে লুকিয়ে ছিল বলে বসন্ত রায়ের এক ছেলে রাঘব রায়ের নাম হয়ে যায় লোকমুখে কচু রায়এই কচু রায় জাহাঙ্গীরের কাছে দরবার করেছিলেন। মানসিংহ একে সঙ্গে করে নিয়ে আসেন যুদ্ধ করতে। প্রতাপের রণকৌশল ও অন্যান্য তথ্যের প্রধান জোগানদার ছিলেন এই রাঘব বা কচু রায়। যশোর রাজ্যের ভাগাভাগিতে বসন্ত রায়ের অংশটি পেলেন কচু রায়।বসন্ত রায়ের আর এক পুত্র চাঁদ রায় প্রতাপের মৃত্যুর পরে যশোরের জমিদারী পেয়েছিলেন। আমাদের কাহিনিতে এই চাঁদ রায়ের বিশেষ ভূমিকা নেই। ফলে এঁর কথা মনে না রাখলেও চলবে। কচু রায় নিঃসন্তান ছিলেন। প্রতাপের পুত্রেরা যুদ্ধে মারা যান। ফলে এই বংশের অন্য আর কারো কথা আলোচনার দরকারই নেই’।

 ‘অন্য আর রইল কে ?’

 ‘কেন চাঁদ রায়ের বংশ তো ছিল। গোপালপুর থেকে পরমানন্দকাটি, তারপর রামজীবনপুর ইত্যাদি জায়গায় যে গোবিন্দমূর্তি চালাচালি হল, সেসব এই চাঁদ রায়েরই বংশধরদের হাতে। কিন্তু তাঁদের নাম নিয়ে ভাবার দরকার নেই তেমন’।

 চৈতালি খালি বলল, ‘ওহ’

 ‘এবার অন্যদিকে দেখ প্রতাপের বিরুদ্ধে মানসিংহকে সাহায্য করেছিলেন তিন মজুমদার। ভবানন্দ, জয়ানন্দ এবং লক্ষ্মীকান্ত। জয়ানন্দের জমিদারী আগে থেকেই ছিল। যুদ্ধে সাহায্য করায় মানসিংহের অনুগ্রহে রাজত্ব বৃদ্ধি পায়। এঁর পুত্র রাঘবেন্দ্র বা রাঘব রায় পাটুলি থেকে বাঁশবেড়িয়াতে এসে বসবাস শুরু করেছিলেন। এই বংশের এক শাখা শেওড়াফুলিতে এসে বাস শুরু করেছিল, যাদের থেকে জমি এক্সচেঞ্জ করেছিলেন লক্ষ্মীকান্তের প্রপৌত্র রত্নেশ্বর রায়। লক্ষ্মীকান্তের বংশকে সাবর্ণ গোত্রের নামে সাবর্ণ চৌধুরী বংশ বলা হয়ে থাকে। এঁদের থেকেই ইংরেজরা কলকাতা, সুতানুটী এবং গোবিন্দপুর গ্রাম কিনেছিল। সাবর্ণদের শাখা উত্তরপাড়া, হালিশহর, নিমতা-বিরাটি এবং বড়িশায় ছড়িয়েছিল। আর বাকি রইল ...’

 ‘ভবানন্দের বংশ’।

 ‘এক্সাক্টলি। শাসকের প্রতি আনুগত্যের অভাব এই বংশে ছিলই। কারণ রাজা কৃষ্ণচন্দ্র, যিনি নবাব সিরাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন, তিনি এই বংশেরই রাজা’।

 ‘স্যার, ষড়যন্ত্রের তত্ত্বটি আপেক্ষিক। কারণ অনভিজ্ঞ এবং কুশাসক সিরাজের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে অনেকেই যোগ দিয়েছিলেন’, চৈতালি বলে উঠল।

 ‘এ নিয়ে বিতর্ক হতেই পারে। পক্ষে বিপক্ষে নানান যুক্তি আছে। যাহোক, তোমার মূল প্রসঙ্গে আসি। এই যে চারটি বংশের কথা বললাম, তাতে খুব বেশি নামধাম কিন্তু মনে রাখতে হচ্ছে না আমাদের’।

 ‘মনোহর রায়ের পুত্র রাজা রাজচন্দ্র রায় যিনি উত্তরপাড়ার দোলতলায় যে শ্যামরায়ের মন্দির তৈরি করলেন, তাঁর নাম মনে রাখতে হবে না ?’

 ‘আমার মতে মনে না রাখলেও চলবে। কারণ প্রতাপের মৃত্যুর থেকে দেড়শো বছর পরের ঘটনা এটিগুপ্তধন বা গোবিন্দমূর্তির রহস্য এত বছরের ব্যবধানে নিশ্চয়ই গড়ে উঠবে না। যা হবার তা অনেক আগেই হয়ে গিয়েছিল মনে হয়’

  রাত নেমে আসছিল। গঙ্গা থেকে সুন্দর একটা হাওয়া ভেসে আসছে। বেশ মনোরম একটা অনুভূতি হচ্ছে সকলেরই। মনোময়ের কথা শুনে সজল বলল, ‘কিন্তু রাজচন্দ্র রায় কেন পরের জমিতে মন্দির গড়লেন, সেটা নিয়ে কী ভাবলেন স্যার ?’

 মনোময় কিছুক্ষণ ভাবলেন। একটা সিগারেট ধরিয়ে নিয়ে বললেন, ‘আমার একটা সম্ভাবনার কথা মনে হচ্ছে, বলব ?’

 ‘বলুন স্যার’।

 ‘রত্নেশ্বর রায় হলেন লক্ষ্মীকান্তের নাতির ছেলে। লক্ষ্মীকান্ত জমিদার হচ্ছেন ১৬১০ নাগাদ। সেক্ষেত্রে তিন জেনারেশন বাদে রত্নেশ্বরের উত্তরপাড়ায় সময় আনুমানিক ১৬৯০-১৭০০ সালএতোদিন ধরে উত্তরপাড়া অঞ্চলটি বাঁশবেড়িয়ার রাজা এবং তাঁদের শাখা শেওড়াফুলির রাজার অধীনে ছিল। শ্যামরায়ের মন্দির এখানে আগে থেকেই ছিল, হয়তো ছোট আকারে। সেই মন্দিরের জমিতে বড় আকারে পাকা মন্দির গড়ে দিয়েছিলেন রাজচন্দ্র। মন্দিরের গায়ে রাজচন্দ্রের কথাই লেখা রয়েছে’।

 ‘স্যার, হয়তো ঠিক বললেন। তবে আমার এখানে একটা কথা মনে হচ্ছে’।

 ‘কী ?’

 ‘যদি নতুন করে মন্দির তৈরিও হয়, সেখানে প্রতাপের আনা গোবিন্দমূর্তি থাকা কি সম্ভব ?’

 ‘কেন নয় ?’, মনোময় প্রশ্ন করলেন।

 ‘প্রতাপের মৃত্যুর দেড়শো বছর বাদে তাঁরই আনা মূর্তি স্থাপন হবে ?’

 ‘যশোর অঞ্চল থেকে মূর্তিটি হারিয়েছেও তো বহুদিন বাদে’।

 ‘তা ঠিক’।

 ‘তোমার লজিক মেনে না নিলেও আমার মনে হয় উত্তরপাড়ার দোলতলার শ্যামরায়ের মন্দিরে প্রতাপের মূর্তি থাকা সম্ভব নয়’

 ‘আপনার লজিক কী, স্যার ?’

 ‘ভেবে দেখ, এই মন্দিরটি একেবারে খোলামাঠে রয়েছে। খোলামাঠে থাকা মন্দিরে সোনার গোবিন্দমূর্তি কোনো রাজাই রাখবেন না। যদি সোনার মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়, সেটি হয় হবে প্রাসাদের মধ্যে থাকা মন্দিরে, অথবা বাইরের মন্দিরে প্রতীকী মূর্তি রেখে আসল মূর্তিটি থাকবে সুরক্ষিত স্থানে। উৎসবের সময় সেই মূর্তি বের হবে’।

  সজল চুপ করে শুনল। মনোময় চৈতালির দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘এবার ওঠা যাক তাহলে ?’

 চৈতালি উত্তর দেওয়ার আগেই সজল বলে উঠল, ‘কিন্তু স্যার আমার এই বিষয়ে একটা ইম্পরট্যান্ট কথা বলার আছে’।

 ‘হ্যাঁ হ্যাঁ বল’, মনোময় আগ্রহ দেখালেন।

  ‘আমি আগে একটা গুগল ম্যাপ থেকে নেওয়া ছবি দেখাব’, বলে সজল দেখাল।


 

 

‘শ্যাম রায়ের মন্দির ? কোথায় এটা ? অ্যাঁ, কালীঘাট রোডে ? মানে কলকাতায় ?’, মনোময় বেশ চমকে উঠেছেন।

 ‘হ্যাঁ স্যার। কালীঘাটের মায়ের মন্দিরের খুব কাছেই। আর এই হল মন্দিরের ছবি’।

                                 

 

 মনোময় ছবি দেখতে দেখতে শুনতে পেলেন সজল বলছে, ‘প্রতাপাদিত্যের কাকা বসন্ত রায়ের মন্দির স্যার। পরে রেনোভেট হয়েছে এটি’।

  মনোময় বেশ আশ্চর্য হয়েছেন। আধা অন্ধকারেও চৈতালির চোখে বিস্ময় দেখা গেল। মনোময় বললেন, ‘এই মন্দিরের কথা জানলে কিভাবে ?’

 ‘স্যার, সত্যচরণ শাস্ত্রী বলে একজন একশো বছর আগে লিখেছিলেন ‘প্রতাপাদিত্য জীবনচরিত’। ভূমিকায় উনি জানিয়েছেন যে বসন্ত রায়ের বংশধর রাজা রাজেন্দ্রনাথ এবং রাজা অন্নদাতনয় তাকে গ্রন্থ লেখার উপাদান দিয়েছিলেন। শাস্ত্রীজী জানিয়েছেন যে প্রতাপাদিত্য উড়িষ্যা থেকে বিগ্রহ নিয়ে আসার সময়ে উড়িষ্যাবাসীদের সাথে সংঘর্ষ হয়েছিল। সংঘর্ষের সময়ে সুবর্ণরেখা নদীতে গোবিন্দের সাথে থাকা রাধিকার মূর্তি পড়ে গিয়ে হারিয়ে যায়। প্রতাপের সাথে তখন কাকা বসন্তের সম্পর্ক ভালো। প্রতাপ বিগ্রহ এনে কাকার হাতেই দিয়েছিলেন। বসন্ত রায় রাধিকার মূর্তি নতুন করে নির্মাণ করেন। কিন্তু স্বপ্নে দেখেন যে গোবিন্দ সেই মূর্তি দেখে খুশি হন নি। তখন আবার রাধিকার নতুন মূর্তি তৈরি করা হয়। এভাবে অনেকগুলি রাধিকামূর্তি নির্মাণ করা হয়েছিল। পরে বাকি রাধিকামূর্তিগুলির জন্য নতুন করে কয়েকটি গোবিন্দমূর্তি নির্মাণ করা হয়েছিল। এই সব মূর্তিগুলি যুগলে রাজ্যের বহুস্থানে স্থাপন করেছিলেন প্রতাপ’।

 ‘এটা চমকপ্রদ তথ্য। আমার ঝাপসা যেন মনে হচ্ছে, সতীশচন্দ্র কি এই তথ্য দিয়েছিলেন ?’

 ‘হতে পারে স্যার। তবে আমার মনে হয়েছিল যে একটি যুগল বসন্ত রায় কালীঘাটে মায়ের মন্দিরের পাশেই স্থাপন করেছিলেন। কারণ বসন্ত রায়ের মতন বৈষ্ণব একজন রাজা নিজের এলাকায় গোবিন্দমূর্তি প্রতিষ্ঠা করবেন না, সেটা হতেই পারে না’।

  মনোময় সজলের পিঠ চাপড়িয়ে দিলেন। বললেন, ‘এটা দারুণ এক আবিষ্কার, সজল। থ্যাঙ্ক ইউ। তবে এতে আমাদের কাজের পরিধি অনেকটাই বেড়ে গেল মনে হয়’।

 ‘কেন স্যার ?’, এবারে প্রশ্ন চৈতালির।

 ‘দেখ, যেহেতু অনেকগুলি গোবিন্দ ও রাধিকার জোড়া মূর্তি স্থাপিত তৈরি হয়েছিল, সেগুলি প্রতাপ এবং বসন্তরায়ের ঘনিষ্ঠরা স্থাপন করতেই পারেন। লক্ষ্মীকান্ত যেহেতু প্রতাপের অধীনেই চাকরি করতেন তাই তিনিও একজোড়া মূর্তি পেতে পারেন। এই বংশে শ্যামরায়ের পূজার রীতি ছিল, আমরা দেখেছি। একইরকমভাবে জয়ানন্দ এবং তাঁর পুত্র রাঘবেন্দ্রও একজোড়া পেতে পারেন। এঁদের বংশেও শ্যামরায়ের পূজা হত দেখতে পাচ্ছি। এমন আরো কেউ কেউ থাকতে পারে। এই বহু মন্দিরের মধ্যে কোনটি আসল গোবিন্দমূর্তি সেটি খুঁজে বের করা বেশ দুষ্কর হয়ে গেল আমাদের জন্য’।

  বাকি দুজন এই কথায় সহমত হল। কিছুক্ষণ বাদে সজল বলল, ‘স্যার আজ তাহলে ওঠা যাক’।

 ‘চলো’।

 ‘স্যার ধাড়াকে নিয়ে কিছুই কি করবেন না ?’

 ‘সজল, তুমি কি লোকটার বাইকের নাম্বার নিয়ে রেখেছ ?’

 ‘হ্যাঁ স্যার। রাস্তার উল্টোদিক থেকে একটা ছবি তুলেছিলাম মোবাইলে, আপনি কথা বলার আগেই। তাতে নাম্বার প্লেটটা দেখা যাচ্ছে’।

 ‘ভেরি গুড। দেখি বাইকের নাম্বার থেকে তার মালিকের সম্পর্কে কিছু জানা যায় নাকি’।

***

 সেদিন রাতের দিকে রত্নদীপের ফোন পেলেন মনোময়।

 ‘দাদা, আমাকে একটু জানান কীভাবে এগোচ্ছেন ?’

 রত্নদীপের এই কথা শুনে প্রথমে বেশ রাগ হল মনোময়ের। বললেন, ‘তুমি তো চর ফিট করে রেখেছ আমার পেছনে’।

 ‘কী যে বলেন ! আমি চর ফিট করব কেন ?’, রত্নদীপ পরিষ্কার অস্বীকার করল।

 ‘আজ উত্তরপাড়ায় সারাদিন আমাদের বাইক নিয়ে তাহলে ফলো করল কে ?’

 ‘দাদা, বিশ্বাস করুন আমি ফেউ লাগাই নি’

 ‘তাহলে কে লাগালো, রত্ন ?’

 ‘দাদা, আপনি তো চিন্তায় ফেললেন। খোঁজখবর নিতে হবে দেখছি’।

 ‘সে তুমি নাও। তবে আমিও আমার মতন নেব জানিয়ে রাখলাম’।

 ‘দাদা, একশোবার খোঁজ নিন। তবে এখন আমাকে উত্তরপাড়ার অভিযানের বিষয়টা বলুন প্লিজ’।

  উত্তরপাড়ার অভিযানের ডিটেইলস শুনতে শুনতে রত্নদীপের মাথায় নানা চিন্তা ঘুরতে লাগল। পাশাপাশি মনোময়ের মাথাতেও এই চিন্তা এল যে রত্নদীপের লোক যদি ফলো না করে থাকেও তাহলে কে পাঠাল তাকে ? রত্নদীপ ফোন রেখে ভাবতে বসল যে সর্দার কি তাহলে তাকে বাদ দিয়ে আলাদাভাবে কিছু কাজ করছেন ? হয় তাহলে সর্দারকে এই কাজে সাহায্য করছে কে ? সর্দারের নিজস্ব টিম যেহেতু তেমন নেই পশ্চিমবঙ্গে, তাকে কারোর না কারোর সাহায্য তো নিতেই হবে। দেরি হয়ে যাবার আগে রত্নদীপকে খুব দ্রুত এই বিষয়ে খবর পেতে হবে।

  • রজত পাল
  • শ্যামরায়ের মন্দির
img
আগের পাতা
দুটি কবিতা