বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫

সম্পূর্ণ খবর

Arnab Mondal opens up on upcoming Derby of ISL

খেলা | 'সবার জন্য লাল-হলুদ জার্সি নয়', হিজাজির শিশুসুলভ ভুল দেখে দীর্ঘশ্বাস অর্ণবের

KM | ০৭ জানুয়ারী ২০২৫ ১৭ : ১২Krishanu Mazumder


কৃশানু মজুমদার: ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে ফেডারেশন কাপ ফাইনালে গোল রয়েছে তাঁর। ওমানের বিরুদ্ধে জাতীয় দলকে নেতৃত্বও দিয়েছেন। আইএসএলে হোসেমি, সোরেনো, তিরির মতো ডিফেন্ডারদের পাশে খেলেছেন। সেই অর্ণব মণ্ডল লাল-হলুদের বিদেশি ডিফেন্ডার হিজাজি মাহেরের ভুল দেখে হতবাক। বিস্মিত বাঙালি ডিফেন্ডার বলছেন, ''প্রথম হাফ খুব জঘন্য খেলেছে ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচটায় সমতা ফিরিয়েও হিজাজির শিশুসুলভ ভুলে মুম্বইয়ের কাছে ইস্টবেঙ্গলকে হারতে হল।'' প্রথমার্ধে ২-০-এ পিছিয়ে থেকে ২-২ করার পরেও হিজাজির মারাত্মক ভুলে ম্যাচ হাতছাড়া হয় ইস্টবেঙ্গলের। এই ভুল যদি কোনও বঙ্গ ডিফেন্ডার করতেন? বা ভারতীয়? তাহলে কী হত?  

এরিয়ান্সের কাছে ঘরের মাঠে চার গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পরে সাহেব কোচ ট্রেভর জেমস মর্গ্যানের গায়ে কুলকুচি দিয়ে জল ফেলা হয়েছিল গ্যালারি থেকে। 

ডার্বিতে গোল হজম করার পরে সন্দীপ নন্দীকে সমর্থকদের ভর্ৎসনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। গুরপ্রীত সিং সান্ধুকেও দেখতে হয়েছিল সমর্থকদের রুদ্র রূপ। 

অর্ণব বলছেন, ''এখন সবাই খুব কমফোর্ট জোন পেয়ে গিয়েছে। দল হারলেও কোনও হেলদোল নেই, কেউ কিছু বলেও না। সত্যি কথা বলতে কী, কোন ক্লাবে খেলছ, সেই ক্লাবের ইতিহাস জানা খুব জরুরি। লাল-হলুদ জার্সির সংস্কৃতি জানাটাও খুব দরকার। সবার পিঠে ইস্টবেঙ্গলের জার্সি মানায় না। সবার জন্য ইস্টবেঙ্গলের জার্সিও নয়।'' 

আইএসএলের ফিরতি ডার্বির ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। এরকম বাঙালির বড় ম্যাচে অর্ণব মণ্ডল আগলে রাখতেন লাল-হলুদের ডিফেন্স। মোহনবাগানের প্রাণভোমরা ওডাফা ওকোলিকে মার্কিং করতেন তিনিই। 'কিং কোবরা'কে বশ মানানোর ক্ষেত্রে এগিয়ে এই বঙ্গতনয়ই, সেই সময়ে কলকাতা ময়দানে এমন কথাই শোনা যেত। দুর্দান্ত ডিফেন্স করার সঙ্গে সঙ্গে গোল করার দক্ষতা অর্ণবকে বাকিদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে রেখেছিল। ট্রেভর জেমস মর্গ্যানের ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধেও গোল ছিল তাঁর। তখন অবশ্য ইউনাইটেড স্পোর্টসের ডিফেন্ডার ছিলেন অর্ণব। 
 
এবারের ডার্বিতে কী হবে? অর্ণবের স্পষ্ট উত্তর, ''ডার্বিতে মোহনবাগান বহু এগিয়ে। মোহনবাগানের পক্ষে ৭০-৩০। প্রতিটি বিভাগেই মোহনবাগান শক্তিশালী। মুম্বইয়ের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল জিতলে আত্মবিশ্বাসী হয়ে খেলতে নামতে পারত। মোহনবাগান নিজেদের স্ট্যান্ডার্ড অনেকটাই বাড়িয়ে ফেলেছে। কোনও টুর্নামেন্টে নামার আগে সবাই ধরেই নেয়, মোহনবাগানই চ্যাম্পিয়ন হবে। উলটোদিকে ইস্টবেঙ্গলের ক্রমশ অধঃপতন হচ্ছে।'' 

তাঁর প্রাক্তন দলের লাগাতার ব্যর্থতা দেখার পরে অর্ণবের প্রশ্ন, ''একবার-দু'বার হলে একরকম। গত কয়েক বছর ধরে ইস্টবেঙ্গল লাগাতার ব্যর্থ হয় কী করে? খেলোয়াড় নির্বাচনে গন্ডগোল, ধারাবাহিক ভাবে ভুল করে যাওয়া, কোচের একগুচ্ছ ভুল সিদ্ধান্ত--সব অর্থেই মিস ম্যানেজমেন্টের চিহ্ন।'' 

ইস্টবেঙ্গলের এই বিপর্যয়ের জন্য অস্কার ব্রুজোঁ আগের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত জমানাকে দুষেছেন। দেশের প্রাক্তন ডিফেন্ডার অর্ণবও সেই সুরেই বলছেন, ''কুয়াদ্রাতের সময়ে তো হিজাজিকে সই করানো হয়েছিল। সিভেরিও আর বোরহা চলে যাওয়ার পরে যে দু'জন প্লেয়ারকে কুয়াদ্রাত এনেছিলেন, তার পরে ওঁর উপরে কীভাবে বিশ্বাস রাখল কে জানে? সাত ম্যাচে একটা পয়েন্টও পায়নি দল। ওই কোচই তো শেষ করে দিয়ে গেল সব। এই দলের কাছ থেকে আর কিছু প্রত্যাশিতই নয়। দু-একটা ম্যাচ জিতলে সেটাই চমক হবে। এখন সব চমকে চলছে। এই দলের কাছ থেকে কিছু আশা করছেন না সমর্থকরা। তাই কেউ কিছু বলছে না। পাঁচ-সাত বছর আগের সময় হলে দর্শকদের আসল রূপ দেখতে পেত।'' 

জর্ডন জাতীয় দলের ফুটবলার হিজাজি মাহেরের 'শিশুসুলভ ভুল' দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলছেন অর্ণব। বলছেন, ''খেলার মাঠে ভুল হতেই পারে। ভুল শোধরানোর জন্য আবার প্র্যাকটিসও করতে হয়। একই ভুল বারংবার কী করে হয় হিজাজির? বিদেশি প্লেয়ার হলেই যে তাঁর কোনও ভুল হবে না, তা একেবারে ঠিক নয়। হিজাজি-হেক্টর খুব মন্থর। নেই কোনও লিডারশিপ ক্ষমতা। ঘরোয়া প্লেয়ারের থেকেও ওদের মান খারাপ।'' তবুও তাঁদের বহন করতে হচ্ছে। 

মর্গ্যান জমানা হলে কি হিজাজি-হেক্টরের জায়গা হত প্রথম একাদশে? অর্ণবের সাফ জবাব, ''কোনও চান্সই ছিল না। এই পারফরম্যান্স থাকলে ওরা জায়গাই পেত না।'' 

তবে অন্ধকারের মধ্যেও আলো দেখছেন অর্ণব। বলছেন, ''এখনও কয়েকটা ম্যাচ বাকি। পয়েন্ট হারালে চলবে না। জেতার মানসিকতা ফিরিয়ে আনতে হবে। পুরনো ইস্টবেঙ্গলকে দেখতে চাই আবার। কোচ, সাপোর্ট স্টাফ এবং কর্মকর্তারা দলটাকে পুনরুজ্জীবিত করুন। জেতার স্পৃহা ফিরে আসুক দলের মধ্যে।'' 

একসময়ে ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে ঘাম ঝরিয়েছেন তিনি। প্রিয় ক্লাবের, প্রিয় জার্সির অসম্মান সহ্য করেন কী করে বঙ্গতনয়? তাঁর কথা শুনতে শুনতে মনে হচ্ছিল, এই বুঝি লাল-হলুদ জার্সি পরে নেমে পড়বেন মাঠে। প্রাক্তন দলের দুঃসময় তাঁকে আহত করছে। রক্তাক্ত হচ্ছেন তিনি। অগ্রজ ফুটবলারের মতো এহেন বোধশক্তি, অন্তরাত্মার ডাক যদি এখনকার হিজাজিরা শুনতে পেতেন, তাহলে অন্ধকার সরণীতে হয়তো হাঁটতে হত না ইস্টবেঙ্গলকে। 


#EastBengal#ArnabMondal#HijaziMaher



বিশেষ খবর

নানান খবর

নানান খবর

২০২৬ বিশ্বকাপই শেষ নেইমারের, মেসি-সুয়ারেজের সঙ্গে কি আবার দেখা যাবে তাঁকে? ব্রাজিলীয় সুপারস্টার বলছেন......

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে একাধিক চমকের সম্ভাবনা, বাদ যেতে পারেন একাধিক তারকা ক্রিকেটার...

একনম্বরে বুমরা, ১২ বছরে সবচেয়ে খারাপ ব়্যাঙ্কিং কোহলির...

তেড়ে গিয়েছিলেন বুমরা, ধাক্কা মেরেছিলেন কোহলি, সিরিজ শেষে বিতর্কিত দুই অধ্যায় নিয়ে মুখ খুললেন কনস্টাস, কী বললেন তিনি? ...

বর্ডার গাভাসকার ট্রফির উইকেট কেমন ছিল?‌ আইসিসির মূল্যায়ন শুনলে ভিরমি খাবেন...

লক্ষ্যের লক্ষ্যভ্রষ্ট! মালয়েশিয়া ওপেনের প্রথম রাউন্ড থেকেই ছিটকে গেলেন ভারতীয় শাটলার ...

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিই কি দুই মহাতারকার শেষ আইসিসি টুর্নামেন্ট?...

বিচ্ছেদের গুঞ্জনের মাঝেই ইনস্টাগ্রামে রহস্যময় পোস্ট তারকা স্পিনারের...

নতুন বছরে প্র্যাকটিসের ধরন বদলাচ্ছেন, সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছতে কী পদ্ধতি নিচ্ছেন নীরজ? ...

'পন্থের জায়গা কেড়ে নিয়েছে ও', ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টিতে এই তারকাকেই দলে দেখছেন বাঙ্গার ...

বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে দর্শক সংখ্যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ দুই প্রাক্তন তারকার...

দল নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে, মুম্বইয়ের কাছে হারের পর বার্তা অস্কারের...

গাছে উঠে আত্মহত্যার চেষ্টা, সুয়ারেজের বুদ্ধিমত্তায় বাঁচল একটা জীবন ...

বছর শুরুতেই হোঁচট, ডার্বির আগে ঘরের মাঠে লড়াই করে হার ইস্টবেঙ্গলের...

বছর শুরুতেই হোঁচট, ডার্বির আগে ঘরের মাঠে লড়াই করে হার ইস্টবেঙ্গলের...



সোশ্যাল মিডিয়া



01 25