নিজস্ব সংবাদদাতা | ০৩ জুলাই ২০২৪ ১৮ : ৪৯

সংবাদসংস্থা মুম্বই: ১৯৮৯ সালে বিধু বিনোদ চোপড়া পরিচালিত 'পরিন্দা' ছবিতে 'অন্না'র চরিত্রে অভিনয় করে ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন নানা পটেকর। এককথায়, অভিনেতার ফিল্মি কেরিয়ারে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল এই ছবি। তবে জানেন কী, ছবির পরিচালকের সঙ্গে বাদানুবাদ থেকে শুরু করে হাতাহাতিতে পর্যন্ত জড়িয়েছিলেন নানা! এমনকী এই অভিনেতাকে কড়া শাসনে রাখতেই নাকি গালি, অশালীন শব্দ শিখেছিলেন তিনি, দাবি বিধু বিনোদ চোপড়ার!

ছোটপর্দার এক গানের অনুষ্ঠানে এসে খোশগল্পে মেতেছিলেন 'টুয়েলভথ্ ফেল'-এর পরিচালক। সেখানেই নানা পটেকরের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের রসায়নের প্রসঙ্গ উঠলে এমন দাবি করে বসেন বিধু। হালকা মেজাজে তিনি বলেন, " আমি কাশ্মীরে বড় হয়েছি। যখন বোম্বাইয়ে এসেছিলাম যথেষ্ট সভ্য ভব্য ছিলাম। সহজ ছিলাম। গালি, অশালীন শব্দের বিষয়ে জ্ঞান খুব সীমিত ছিল আমার। তারপরেই নানার সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বিপত্তির মুখে পড়ি। দেখি মেজাজ বিগড়োলেই মুখ থেকে গালির ফোয়ারা বেরোয় তাঁর। আমাকেও শুটিং চলাকালীন চিৎকার করে কুকথা বলে দিচ্ছে। ভেবে দেখলাম এভাবে তো কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই নানাকে কড়া শাসনে রাখতে আমি গালি শিখলাম। স্রেফ নানাকে ঠিকমতো কাজ করাব বলেই।অশালীন, আপত্তিকর সব শব্দ নানার উদ্দেশ্যে আমিও প্রয়োগ করা শুরু করলাম!"

এখানেই না থেমে 'পরিন্দা'র পরিচালক আরও জানান নানা পটেকরের সঙ্গে তাঁর হাতাহাতি হওয়ার চরম মুহুর্তের কথা। তখন 'পরিন্দা'র একটি অত্যন্ত আবেগঘন দৃশ্যের শুটিং হবে। ছবির জন্য যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সারাদিন শুটিংয়ের পর ক্লান্ত নানা হঠাৎ ঘোষণা করে বসলেন তিনি সেদিনের মতো আর কাজ করবেন না। শোনামাত্রই মেজাজ হারিয়েছিলেন বিধু। স্পষ্ট কথায় নানাকে জানিয়েছিলেন, শুটিং ছেড়ে অভিনেতা যেতেই পারেন তবে তার আগে সেদিনের এই দৃশ্যের শুটিংয়ের জন্য যে খরচাপাতি সারা হয়েছে তা যাওয়ার আগে মিটিয়ে দিতে হবে অভিনেতাকে। শোনামাত্রই ক্ষেপে যান নানা। বিধু বিনোদ চোপড়াও থামবার পাত্র ছিলেন না। শুরু হয়ে হাতাহাতি। নানার কুর্তা ছিঁড়ে দেন বিধু। শুটিং সেটে উপস্থিত থাকা পুলিশেরা কোনও রকমে পরিচালক-অভিনেতাকে থামান। শেষমেষ শুধু গেঞ্জি পরে, চোখের জল ফেলতে ফেলতে ওই দৃশ্যের শুটিং সারেন নানা। বিধুর কথায়, " ছবিতে ওই দৃশ্যে নানার চোখের জল ছিল একেবারে ষোল আনা সত্যি!"
যদিও শুটিং শেষে তাঁরা যে নিজেদের মধ্যে সব ঝামেলা মিটিয়ে নিয়েছিলেন, সেকথাও বলতে ভোলেননি এই পরিচালক।