রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সম্পূর্ণ খবর

লাইফস্টাইল | Relationship: সম্পর্কের মাঝদরিয়ায়! সময়ের সঙ্গে বদলে যায় সম্পর্ক। তাই বলে কি সব শেষ? পরামর্শে রিলেশনশিপ কোচ ডাঃ মানী দাস

Reporter: নিজস্ব সংবাদদাতা | লেখক: শ্যামশ্রী সাহা ২৪ মে ২০২৪ ১৬ : ৫৫Angana Ghosh


সম্পর্ক দাঁড়িয়ে থাকে একটা সুতোর উপর। যার মাঝে থাকে বেশ কয়েকটা গিঁট। ভালবাসা, বন্ধুত্ব, সম্মান, বোঝাপড়ার। এই গিঁটগুলো যখন আলগা হয়ে যায়, সম্পর্কে শুরু হয় টানাপোড়েন। খুব কাছের চেনা মানুষটা ক্রমশ অজানা হতে শুরু করে। বাড়ে দূরত্ব। ফাটল দেখা দেয়। অযত্ন, সেই সম্পর্কের ফাটলটাকে এতটাই বাড়িয়ে দেয় যে, দু’জন কাছের মানুষের জায়গা হয় সুতোর দুই প্রান্তে। মাঝখানের টান বাড়তে বাড়তে এক সময়ে ছিঁড়ে যায় সুতো। ভেঙে যায় সম্পর্ক। সত্যিই কি এতটাই ঠুনকো ভালবাসার সম্পর্ক? তাকে কি এত সহজে ভাঙতে দেওয়া যায়?
বিয়ে হোক বা প্রেম, প্রথমে তার গায়ে প্রজাপতির সাত রং। এক পলকে একটু দেখা, মনের কথা উজাড় করে বলা, সারাদিনে হাজার কাজের মধ্যেও প্রিয় মানুষটার কথা মনে করা, সব কাজ ফেলে দেখা করার জন্য একছুট, দেখা না হলে গলার কাছে দলা পাকানো কষ্ট আর কাছে পেলে রামধনুর সাত রং। ভালবাসা তো এমনই। 
এই ভালবাসার গায়েও ক্রমশ সময়ের প্রলেপ পড়ে। চারপাশে বেড়ে ওঠে কংক্রিটের দেওয়াল, যার একটাই রং- বিবর্ণ সবুজ। খুব যত্ন করে তৈরি করা গোলাপ বাগানে যেমন আগাছা বেড়ে ওঠে। একসময়ে তা ঢেকে দেয় গোলাপের সৌন্দর্যকেও। অযত্ন, অবহেলায় সম্পর্কও সব রং হারিয়ে ম্লান হয়ে যায়। কারণ সম্পর্ক যে তখন মাঝদরিয়ায়। আর এখান থেকেই শক্ত করে ধরতে হয় হাল। কিনারায় ফিরে, আগাছা সরিয়ে রং হারিয়ে ফেলা দেওয়ালকে নতুন রঙে রঙিন করে তুলতে হয়। 
কিন্তু সম্পর্কের তো নির্দিষ্ট কোনও সমীকরণ হয় না। তাহলে কোন ফর্মুলায় বাঁচিয়ে রাখা যায় সম্পর্ক? কী বলছেন বিশেষজ্ঞ?
যে কোনও সম্পর্কের দুটো মজবুত প্রান্ত যোগাযোগ ও ঘনিষ্ঠতা। এটা থাকলে আলাদা করে কমিটমেন্টের প্রয়োজন হয় না।
অভিযোগ, সমালোচনা করবেন না
আপনার খারাপ লাগার পরিবর্তে এমন কিছু বলবেন না, যাতে আপনার সঙ্গীরও খারাপ লাগে। এক্ষেত্রে আপনার খারাপ লেগেছে বা আপনি দুঃখ পেয়েছেন, সেটা বুঝিয়ে বলুন। আপনার কথায় যেন অন্যজন অসম্মানিত না হন। ঝগড়া, কথা কাটাকাটি যাই হোক না কেন, তার মধ্যে যেন শালীনতা থাকে। 
সঙ্গীর প্রশংসা করুন
রোজই একে অপরকে দেখছেন। একসঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। আপনার চোখে নতুন মানুষটা ক্রমশ পুরনো হচ্ছে। তার আঁচ যেন আপনার কথায় না থাকে। সঙ্গীর ভাল দিক বা কাজের মাঝেমধ্যে প্রশংসা করুন।
ইমোশনাল সেফটি জোন তৈরি করুন
সারাদিন পর বা সকালে কোনও একটা সময় একসঙ্গে বসে কথা বলুন। মনের মধ্যে কোনও কথা না রেখে, সব কথা মন খুলে বলুন। ভাল-মন্দ সবকিছুই। আপনাদের কথোপকথনে যেন কোনও ফিল্টার না থাকে।
 জাজমেন্টাল হবেন না
সঙ্গীর কোনও কথা বা কাজকে আপনি সমর্থন করতে পারছেন না বলে আপনার মতামত তার উপর চাপিয়ে দেবেন না। আপনার কাছে যেটা ঠিক, তা আপনার সঙ্গীর কাছে তা ঠিক মনে না-ও হতে পারে। এক্ষেত্রে জাজমেন্টাল না হয়ে গাইড করার চেষ্টা করুন। 
বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করুন
নিজেদের কথা বাইরের কাউকে বলতে যাবেন না। একে অপরকে বিশ্বাস করে যে কথা বলছেন, তা শোনার অধিকার আর কারও নেই। বাবা-মা, ভাই বোনের সঙ্গেও শেয়ার করবেন না। দু’জনের সম্পর্কের চারপাশে বাউন্ডারি তৈরি করুন, যাতে কোনও কথাই সেই ঘেরাটোপের বাইরে বেরোতে না পারে। কিংবা বাইরে থেকে কেউ সেই ঘেরাটোপে ঢুকতে না পারে।
সম্পর্ককে যত্ন করুন
ভালবাসা শব্দটা একটা ক্রিয়া। বিশেষ্য নয়। তাকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে কাজ করতে হবে। যত্ন করতে হবে। বাড়িতে একটা মানিপ্ল্যান্ট রাখলে তার জল মাঝে মাঝে বদলে দিতে হয়। সম্পর্কের ক্ষেত্রেও সেটা সত্যি। শুধু মুখে ভালবাসি বললে হবে না, সেই ভালবাসাকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে যত্নও করতে হবে।
প্রতিযোগিতা নয় সহযোগিতা
একজন খারাপ কিছু বললে অপরজনকেও বলতে হবে, এটা ঠিক নয়। সম্পর্ক কোনও যুদ্ধক্ষেত্র নয় যে লড়াইয়ে জিততে হবে। একটা টিমেই আপনারা দু’জন টিম মেম্বার। এখানে কেউ ছোট-বড় নয়। 
সঙ্গীকে মনের মতো তৈরি করার চেষ্টা করবেন না
অনুভুতি এক হলেও দু’জন সম্পূর্ণ আলাদা ব্যক্তিত্বের মানুষ। ভাললাগা খারাপলাগা আলাদা হতেই পারে। সঙ্গীর অনেক কিছুই আপনার মনের মতো নাও হতে পারে। তাকে গড়েপিটে নেওয়ার চেষ্টা করবেন না। তাকে বোঝার চেষ্টা করুন। তাতেই সম্পর্কের বাঁধন মজবুত হবে।
কখন কাউন্সেলিং-এর দরকার
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। মনোমালিন্য হচ্ছে, তা আলোচনায় মিটছে না, এইরকম সময়েই কাউন্সেলিং দরকার। তবে রিলেশনশিপে যাওয়ার আগেও কাউন্সেলিং প্রয়োজন। কীভাবে কথা বলতে হয়, যোগাযোগ বাড়াতে হয়, ইমোশনাল সেফটি জোন তৈরির প্যারামিটার কী, সব কিছুই বিয়ের আগে জেনে নেওয়া দরকার। তাহলে খুব সহজেই সঙ্গীকে বুঝে নেওয়া যায়।   
মনে রাখবেন
সম্পর্ক কোনও কম্পিটিশন নয়, কমপ্লিমেন্টেশন।
একজনকে আর একজনের প্রয়োজন মেটাতে হবে। 
ইমোশনাল সেফটি পাওয়াটাও দরকার।
বাড়িতে যেমন কিছুদিন পর মেরামতির দরকার হয়, সম্পর্কের ক্ষেত্রেও সেটা করতে হয়।
সম্পর্ক একটা সুতোর উপর দাঁড়িয়ে থাকে ঠিকই, কিন্তু বাঁধন যদি মজবুত হয়, তাহলে তা ওল্ড ওয়াইন!




বিশেষ খবর

নানান খবর

সংগ্রহ করুন... #aajkaalonline #pujovibes #durgapuja #DurgaPuja2024

নানান খবর

যার গন্ধে পুজো পুজো ভাব, সেই ফুলেই লুকিয়ে হাজারটা রোগের সমাধান...

প্রেসার কুকার ছাড়াই হবে নরম তুলতুলে মটন, রান্নার আগে জানুন সহজ পদ্ধতি...

মদ্যপানে কি আদৌ ওজন বাড়ে? ভুল ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে জানুন আসল সত্যি...

ছোট থেকেই হাতে স্মার্টফোন? কতটা ক্ষতি হচ্ছে আপনার শিশুর?...

শীঘ্রই আসছে...

ছোট থেকেই হাতে স্মার্টফোন? কতটা ক্ষতি হচ্ছে আপনার শিশুর?...

ছোটদের কথার মধ্যেই লুকানো মনের কথা, নজর থাকুক ছোট্ট মনে...

পুজোর সাজে চারদিন

ভোর না রাত? চরম সুখ পেতে কোন সময় ঘনিষ্ঠ হবেন

মোদক-লাড্ডু ছাড়াও গণেশ পুজোর ভোগে আর কী দিতে পারেন? জানুন বানানোর পদ্ধতি ...

কম বয়সে হাতের চামড়া কুঁচকে যাচ্ছে ? মাত্র ৭ দিনে টানটান ও সুন্দর হাত পেতে ব্যবহার করুন এই বীজ।...

জিভের রং বলে দেবে শরীরে লুকিয়ে কোন রোগ! বিপদ আসার আগে বুঝুন ৫ লক্ষণ...

পানীয় না কীটনাশক? পোকা মারা থেকে বাথরুম পরিস্কার-কী কী কাজে লাগে ঠাণ্ডা নরম পানীয়? ...

ঘরোয়া প্যাকেই বদলাবে চামড়ার রং, কীভাবে জানুন

পিরিয়ডের যন্ত্রণায় ছটফট করেন? এই ঘরোয়া পানীয়তে ভরসা রাখুন, নিমেষে মিলবে স্বস্তি...

ঝেঁপে আসবে টাকা! লক্ষ্মীবারে উন্নতির শিখরে পৌঁছবে কারা? ...



রবিবার অনলাইন

সোশ্যাল মিডিয়া



05 24