বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
Sumit | ০৫ মে ২০২৪ ১৫ : ৩৪Sumit Chakraborty
আজকাল ওয়েবডেস্ক : শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন যেখানে শেষ করেছিলেন, রবিবার কৃষ্ণনগরে মহুয়া মৈত্রর সভায় সেখান থেকেই শুরু করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি। প্রচারমঞ্চ থেকে ফের একবার সন্দেশখালি প্রসঙ্গে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করলেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘‘সন্দেশখালির ভিডিয়ো দেখেছেন? মহিলাদের ২ হাজার টাকা দিয়ে বিজেপি বলেছে এসব করতে। তাঁদের সম্ভ্রম, ইজ্জত ২ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে দিল্লির কাছে বিজেপি নেতারা। মিথ্যে অভিযোগ করিয়েছে। ২০০০ টাকা নাও, মিথ্যে অভিযোগ করো। আমি বলছি না, মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর বলেছেন।’’
অভিষেক বলেন, ‘‘বিজেপি ক্ষমতায় এলে অধিকার কেড়ে নেবে।’’ এর পর সন্দেশখালির বিজেপি নেতা গঙ্গাধরের ভিডিয়ো মঞ্চে দেখান অভিষেক। তাঁর কথায়, ‘‘বাংলার নাম যাঁরা কলুষিত করেছেন, তাঁদের উচিত শিক্ষা দেওয়া উচিত কি না!’’
মহুয়া মৈত্র যেভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন তা তুলে ধরে অভিষেক বলেন, ‘‘আমাদের সৈনিকেরা প্রশ্ন তুলেছেন বলে সাংসদ পদ খারিজ করতে হবে। কৃষ্ণনগরের মায়েদের অনুরোধ করব, ১৩ তারিখ আপনি মোদির পুতুলকে নির্বাচিত করতে চান, নাকি নিজের প্রাণ বিপন্ন করে লড়াই করা মহুয়া মৈত্রকে নির্বাচিত করতে চান?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘গত তিন বছরে প্রধানমন্ত্রীকে দেখেছেন এখানে? তাঁর প্রতিনিধি, প্রার্থীকে দেখেছেন? মহুয়া মৈত্র সারা বছর থাকেন মানুষের কাছে। আপনারা যাঁকে ভোট দিয়েছেন, গায়ের জোরে তাঁর পদ খারিজ করেছে। আপনারা যাঁকে ক্ষমতা তুলে দিচ্ছেন, বিজেপি তাঁর হাত থেকে ক্ষমতা নিয়ে নিচ্ছে।’’
কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীকে কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, ‘‘বিজেপি এখানে যাঁকে প্রার্থী করেছে, কেউ তাঁকে চেনেন না। নিজের পরিচয় দেন রাজমাতা হিসেবে। প্রধানমন্ত্রী ইডি রাজ, সিবিআই রাজে বিশ্বাসী। তাঁরা জিতলে গরিবের উপর অত্যাচার বাড়বে। আমাদের প্রার্থী জিতলে আমরা দিল্লির বুকে আন্দোলন করে গরিবের অধিকার আনার জন্য সরব হই। আমাদের মহিলা সাংসদ দোলা সেন, মহুয়ার চুলের মুঠি ধরা হয়েছিল, রাজ্যের জন্য টাকা চাইতে গিয়েছিলেন বলে।’’
কেন্দ্রীয় এজেন্সি প্রসঙ্গেও এদিন সরব হন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘‘যত রাজনৈতিক দল আছে, সকলকে ইডি, সিবিআই লাগিয়ে চমকে ধমকে বাড়িতে ঢুকিয়ে দিয়েছে। পাঁচ বছরে আমাকে কত বার ডেকেছে। আমার বয়স্ক মা, বাবাকে ছাড়েনি। মহুয়া মৈত্রের বাড়িতে ইডি, সিবিআই পাঠিয়েছে। যাঁদের ক্যামেরায় টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, তাঁরা এখন বিজেপির নেতা। ’’