যুদ্ধগাথা (কবিতা)

মাটিতে দু’হাত রেখে বলো তাতে কতটুকু সমর্পিত ছিলে

ঘুমিয়ে পড়লে বারবার কেঁপে উঠেছিলে দোদুল্য চিন্তায়

 

অন্তরীক্ষ ছুঁয়ে বলো, কতটা বারুদগন্ধে মানুষ নিয়েছে শ্বাস

কী ভীষণ দাবদাহ পিঠে জ¦লেপুড়ে ভস্ম হলো লক্ষ ঘরবাড়ি

যতটা তা-ললীলা, জিঘাংসা চরিতার্থ হলো, কী বলবে তাকে

ভূলুণ্ঠিত মানবতা, হত্যায় উত্তুঙ্গ রাত, ধর্মের উদ্দেশে খুন?

 

পৃথিবীর বহুনদী সাঁতরে পেয়েছ পদ্মা তোমার, নিজস্ব যমুনা নদী

বহুপথ মাড়িয়ে এসেছ স্নিগ্ধ মেঠোপথ, খালবিল প্রত্যন্ত স্বদেশ

তোমার হাঁটুতে ক্ষত, পাঁজরে বুলেট, মস্তিষ্কে গ্রেনেডবিদ্ধ আজো

এই তো এসেছ ফিরে, তপ্ত মাটি, শূন্য ভিটে, ক্ষয়িত শস্যের ক্ষেতে

আদগ্ধ এসেছ চলে পৃথিবীর মহার্ঘ মৃত্তিকা, স্বাধীন বাংলায়

 

কেবল বাঙালি তুমি? তুমি যোদ্ধা, তুমি বীর, তুমি আত্মা শূচিশুদ্ধ

তুমি শহীদ, অকুতোভয় তুমি, মুক্তিযোদ্ধা, ইতিহাসে সেরা নাম!

তোমার গর্জনে কাঁপা সাম্রাজ্যবাদ, তোমার ট্রিগারের টানে সমাহিত

পশ্চিমী রোষ, তোমার ঐশ্বর্যে সিক্ত বাঙালির মাতৃক্রোড়, ধন্য মহাকাশ

 

ততটা মহান তুমি, চারদিকে রক্তস্নানের ভেতর জেগে ওঠা পবিত্র অর্জন 

তুমি ততটাই অনিবার্য, প্রতিটি শিশুর-- যতটা ভূমি ও অন্নের প্রয়োজন

  • 2024-06-09
  • কবিতা