গান ঘুরে বেড়ায়
ভোরবেলায়
পুরোনো গান ঘুরে বেড়ায়
ভোরবেলায়
শেষরাতের আধবোঁজা চোখে
আদাচায়ের দুই চুমুকে
ঘুরে বেড়ায়
সকালবেলার মিষ্টি আলোয়
হালকা হাওয়া পাতা দোলায়
গান ঘুরে বেড়ায়
লাল-সাদা ফুলকুঁড়ির রঙে
দুব্বো-সবুজ শিশিরফোঁটায়
ঘুরে বেড়ায়
ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘের ফাঁকে
পরিযায়ী পাখির ডাকে
গান ঘুরে বেড়ায়
অপেক্ষারত দুই চেয়ারে
রেলিংঘেরা বারান্দা ধারে
সেই গান ঘুরে বেড়ায়
রেডিও, ফোন, ওয়াকমানে
যোগ, জগিং বা প্রাতঃভ্রমণে
ঘুরে বেড়ায়
প্রেসারকুকারের সিটির ধোঁয়ায়
টিফিন তৈরির ব্যস্ততায়
গান ঘুরে বেড়ায়
বাসিখবরের নতুন কাগজে
বাসন, কাপড়, দৈনন্তিক কাজে
তাতেও ঘুরে বেড়ায়
হটাৎ পাওয়া হাতের লেখায়
বৃষ্টিভেজা ট্রামরাস্তায়
গান ঘুরে বেড়ায়
ঠোঁটের কোনে হাসির পাশে
বা নতুন পুরোনো বিভীষিকায়
গান ঘুরে বেড়ায়
আলাদা গান আলাদা সুর
ভোরের তান মন সুদূর
গান শুধু ঘুরে বেড়ায়
ভোরবেলায়
পুরোনো গান ঘুরে বেড়ায়
ভোরবেলায়
জমি-দাড়ি
চাকদার জমিদার, লাদাখের পাহাড়ে
ঠান্ডায়, গান গায়, কোঁকড়ানো শরীরে
সাথে তার, গেছে ভাঁড়, আচকান চড়িয়ে
ঠুকে তাল, নাজেহাল, তবলচি কাঁদেরে
খেতে কিছু নাহি পারে ঠকঠকে দাঁতেরে
কাহবা গেলে দিন ভর, স্যুপ চাই রাতে রে
শরবত ছোঁয় নাকো, ঠিক-তবিয়ত নাইরে
এ মহান, বাঙালির প্রাণ, যদি যায় বেঘোরে
তাই বলে, জমিদার, শখ ছাড়ে কি করে
লং কোটে, গাম বুটে, চিতা খোঁজে তুষারে
কে কোথায়, খুঁজে পায়, দুধসাদা প্রাণীরে
কাটা ফল খেয়ে যায় চামচিকে বাদুড়ে
না পেয়ে, চার পেয়ে, জমিদার হুঙ্কারে
গেছো বাঘ ধরবোই, সোঁদর-বনে-বাদাড়ে
পায়ে জোঁক, নাচে বক, রাইফেল হাতে রে
ডাকুর মাছে, ধরে পাছে, ত্বরা ওঠে গাছে রে
পাতা ফাঁক, ডোরা দাগ, ওরে বাবা একিরে
সোনাবাঘ হেসে বলে, তোর বন্দুক জলেরে।