রত্নদীপ যখন মনোময়ের অফিস থেকে বের হয়ে এসে নিজের গাড়িতে উঠল তখন কিছু পিছনে একটি মোটরসাইকেল স্টার্ট দিল। চাঁদনি চকের ভিড় রাস্তায় চলমান শতশত গাড়ির ভিড়ে এই বাইকটি যে রত্নদীপের গাড়িকে ফলো করছে সেটি রত্নদীপ টের পেল না। কলকাতার বুকে যে নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে রয়েছে রত্নদীপের তাতে কাউকে তেমন তোয়াক্কা করার বান্দা সে নয়। অন্যত্র অন্যরকম হলেও কলকাতায় সর্দারের থেকে তার পরিচিতি বেশি। মূলত রত্নদীপের ভরসাতেই সর্দার কলকাতায় লুকিয়ে রয়েছে। ফলে সর্দার যেমন যেমন বলবে রত্নদীপকে তেমন তেমন কথা শুনে চলতে হবে এমনটা নয়। দুজন ইলেক্টেড বিধায়ক এবং একজন সাংসদকে নিয়মিত মাসোহারা দেয় রত্নদীপের সংগঠন। বিধায়ক দুজন আবার দুই বিরোধী দলের। অর্থাৎ সব রাজনৈতিক দলকেই সন্তুষ্ট রাখা হয়। এছাড়া থানাপুলিশ ম্যানেজ করা তো আছেই। কয়েকবছর ধরে সর্দারের বেশ কিছু টাকা রিয়েল এস্টেটে ইনভেস্ট করিয়েছে রত্নদীপ। ফলে কিছু কথা হয়তো শুনতে হয়। তবে নিজের স্বাধীন সত্ত্বাকে বিষর্জন দিয়ে নয়। ফলে সর্দারকে না বলে যে মনোময়কে গোবিন্দমূর্তি খোঁজার কথা বলেছে রত্নদীপ তাতে অসুবিধার কিছুই নেই।
\\r\\n
হাডকো দিয়ে সল্টলেকে ঢুকে কয়েক মিনিট বাদে রত্নদীপের গাড়ি যে বিল্ডিং-এর সামনে এসে দাঁড়াল সেটির নিচের তলায় একটি রিয়াল এস্টেটের অফিস। অফিসটি রত্নদীপদেরই। মাথার ওপরে রত্নদীপের বাবা থাকলেও রত্নদীপই সবকিছু দেখে এখন। ফলো করে আসা কালো বাইকটি সেই অফিসের সামনে দিয়ে গতি কমিয়ে ক্রশ করে গেল। গিয়ে থামল প্রায় দুশো মিটার দূরে। এবারেও রত্নদীপ সেটিকে খেয়াল করেছে কিনা বোঝা গেল না।
\\r\\n
প্রায় আধঘন্টা বাদে একটি ছাই রঙের বাইক এসে আগের কালো বাইকটির পাশে এসে দাঁড়াল। দুজন আরোহীর মধ্যে কিছু একটা কথা হল। কিছুক্ষণ দুজনে দাঁড়িয়ে সিগারেট খেল। তারপর কালো বাইকটি চলে গেল এবং রয়ে গেল ছাই রঙের বাইকটি। রাত আটটার সময়ে রত্নদীপ সেই অফিস থেকে বের হয়ে আবার নিজের গাড়িতে উঠে রওয়ানা হলে আবার পিছু নিল ছাই রঙের বাইকটি। রত্নদীপ যদি আগের কালো রঙের বাইকটিকে দেখেও থাকে এবারে ভিন্ন বাইক দেখে কিছু বুঝতে পারবে না, এমনই আরোহীদের পরিকল্পনা।
\\r\\n
পৌনে নটা নাগাদ দমদম পার্কের যে ফ্ল্যাটবাড়িটির নিচে এসে রত্নদীপের গাড়ি থামল সেটি প্রধানত আবাসিক এলাকা। রত্নদীপ সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় উঠে কলিং বেল টিপলে যে সুন্দরী মহিলা দরজা খুলে দিল তার বয়স আনুমানিক ত্রিশ। নাইটির উপরে হালকা ড্রেসিং গাঊন জড়ানো। সেটিকে ঠিক করতে করতে মহিলা বললেন, ‘আজ বেশ দেরী হল যে আসতে ?’
\\r\\n
রত্নদীপ কথার উত্তর না দিয়ে সামান্য হাসল। মহিলা ‘ড্রিংক দেব ?’ বলায় রত্নদীপ মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দিল।
\\r\\n
আধঘন্টা বাদে বেরিয়ে আসার সময়ে রত্নদীপ মহিলার কপালে কিস করে বলল, ‘সর্দারের দেখভালের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করছে তো তোমার লোকজন, সুইটি ?’
\\r\\n
‘চিন্তা কোরো না। বিলকিস আর জামশেদ এক্সপার্ট আছে’।
\\r\\n
‘সর্দারের প্রতিটা কাজের রিপোর্ট যেন টাইমমত পাই’।
\\r\\n
‘পাবে। কাল আসবে তো ?’
\\r\\n
‘দেখি’ বলে রত্নদীপ বেরিয়ে এলে সুইটি নামের মহিলাটি দরজা বন্ধ করে দিলেন। রত্নদীপ রওয়ানা দিতেই হাই তুলে সেই ছাই রঙের বাইকটি ফলো করতে শুরু করল। রত্নদীপের গাড়ি রাস্তা ঘুরে অন্যদিকে চলে যাওয়া মাত্রই জানালায় দাঁড়িয়ে থাকা সুইটি বাঁ হাতে ধরা মোবাইলে কারোর নাম্বারে রিং করতে শুরু করল।
\\r\\n
***
\\r\\n
সেদিন সন্ধ্যায় সর্দার ঘরে বসে একটা চিল্ড বিয়ার শেষ করে গলা সামান্য চড়িয়ে বললেন, ‘জামশেদ, গাড়ি বের কর। বাইর হব’।
\\r\\n
জামশেদের সাথে বিলকিস এসে বলল, ‘সর্দার, একটু রিস্ক হয়ে যাবে না ?’
\\r\\n
‘আমি আগেও বাইর হইছি’।
\\r\\n
‘সেজন্যই বলছি। এতো ঘনঘন বের হলে রিস্ক হয়ে যাবে’, বিলকিসের গলায় চিন্তা।
\\r\\n
‘নকল দাঁড়ি আর অন্যান্য ছদ্মবেশ থাকবে। তার ওপর রাতের বেলা। চিন্তা কর না, বিলকিস’।
\\r\\n
বিলকিসের এর বেশি বলার অধিকার নেই। সর্দার স্বেচ্ছায় এখানে রয়েছেন। গৃহবন্দী তিনি নন। তার উপর সর্দারের মুখের উপর কথা বলার অধিকার কারোরই নেই। জামশেদকে বিলকিস কেবল বলল, ‘সাবধানে থাকবি। সর্দারের কাছে কাছে থাকবি সবসময়’।
\\r\\n
সর্দার বেরিয়ে যাওয়ার পরে বিলকিসের প্রথম কাজ হল সুইটিকে ফোন করা। ফোনে সুইটি জানতে চাইছিল যে সর্দার ঠিক কোথায় গেলেন। বিলকিস সঠিক বলতে না পারলেও নানা ফোনের কাটা কাটা কথা শুনে অনুমান করেছে যে কোনো নেতা গোছের কারোর সাথে দেখা করতে গিয়েছে। সর্দার তার ফোনটোন গুলো জামশেদ বা বিলকিসের ফোন থেকেই করে। একমাত্র সুইটি বা রত্নদীপ জানে এই দুই নাম্বারে সর্দারকে পাওয়া যাবে। বাকিরা জানে না। অন্তত এতোদিন বিলকিস তেমনই জানত। কিন্তু গতকাল দু’বার জামশেদের নাম্বারে অচেনা ফোন এসেছে। ফোন করে সর্দারকে ডেকে দিতে বলেছে। জামশেদ অবাক হওয়ার থেকে চমকে গিয়েছিল বেশি। সেই ফোনদাতা জামশেদকে বলেছিল তোমার সর্দারকে গিয়ে বল ‘মাদ্দাস’ কথা বলতে চায়। জামশেদ ফোন কেটে দিয়ে সর্দারকে গিয়ে সেকথা বলার পরে সর্দার কথা বলতে রাজি হয়ে যায় এককথায়। এই ‘মাদ্দাস’ বলতে কি বোঝায় জামশেদ বা বিলকিস বোঝেনি। এ যে কারোর নাম হতে পারে না, সেটুকু বুঝেছিল। এটা বুঝেছে যে কোনো ‘কোড ওয়ার্ড’, যা সর্দারের পরিচিত।
\\r\\n
এই ‘মাদ্দাস’ ফোনটির কথা সুইটি জেনেছে। আজকেই রত্নদীপকে জানিয়েছে। কিন্তু সর্দার যে আজ বেরিয়েছে সেকথা রত্নদীপকে বলেনি। সে অপেক্ষা করছিল সর্দার ফিরে আসার পরে জামশেদের থেকে জেনে নেবে কোথায় গিয়েছিল সর্দার। তারপরে সিদ্ধান্ত নেবে সুইটি। সেই মতো রত্নদীপ চলে যেতেই জামশেদকে ফোন করেছে সে। নানারকমের খেলা চলছে দলের মধ্যে। সুইটি বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করছে সবটুকু। যত বেশি বুঝে নিতে পারবে তত বেশি ক্ষমতার অধীশ্বরী হয়ে উঠতে পারবে সে। এই সাপলুডুর খেলায় অনেকসময় ছক্কার থেকে পুটের মূল্য বেশি হয়ে যায়। সবকিছুই নির্ভর করে সে কোথায় দাঁড়িয়ে আছে তার ওপরে। সাপের মুখে, নাকি সিঁড়ির সামনে। গুপ্তধন টন নয়, সুইটির নজর আরো ওপরে।
\\r\\n
***
\\r\\n
সেদিন অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথেই মনোময়ের ফোন পেয়েছিল সজল। স্যারের সাথে কাজ করতে গিয়ে সজল দেখেছে যে কোনো কাজের সফলতার জন্য হোম-ওয়ার্ক করা খুবই জরুরি। আজকের রাত আর কালকের দিনটা সজল কিছু নোট নিয়ে রাখবে মনস্থ করল। প্রথম কাজ হল ‘কালীক্ষেত্র কলিকাতা’ বইটি থেকে সাবর্ণ চৌধুরীদের সম্পর্কে তথ্য কালেক্ট করা। বাড়ি ফিরে দেখল রান্নার দিদি রয়েছে। চা আর সামান্য মুড়ি নিয়ে সজল বিছানায় বসল বইটি নিয়ে। আজই কলেজ স্ট্রিট থেকে কালেক্ট করিয়ে এনেছে।
\\r\\n
সজল বইটি পড়তে গিয়ে শুরুতেই বেশ উত্তেজিত হয়ে পড়ল। আদিশূরের আমন্ত্রণে যে পঞ্চব্রাহ্মণ কনৌজ থেকে এসেছিলেন তাদের মধ্যে সাবর্ণ গোত্রের বেদগর্ভ হলেন লক্ষ্মীকান্ত মজুমদারের আদিপুরুষ। এই সাবর্ণ গোত্রের কারণেই পরিবারটিকে ‘সাবর্ণ চৌধুরী’ বলা হত। সজলের ধারণা ছিল এই নামে কোনো ব্যক্তি ছিলেন সেদিনের বাংলায়। তাঁর নামেই সাবর্ণ চৌধুরী পরিবার। কিন্তু দেখা গেল যে এটি আদতে গোত্রের নাম। যাহোক, পঞ্চব্রাহ্মণদের একজন বেদগর্ভের বাংলায় আবাস ছিল বটগ্রাম। তাঁর একপুত্র অজয়নদের তীরে গঙ্গগ্রামে বাস শুরু করেছিলেন। বেদগর্ভ পিতার ‘উপাধ্যায়’ উপাধি বহন করেছিলেন। তাঁর পুত্র রাঘব গঙ্গগ্রামে বাস করায় পেলেন ‘গঙ্গোপাধ্যায় (গঙ্গ + উপাধ্যায়)’ উপাধি। রাঘব পণ্ডিত হওয়ার পাশাপাশি বীর যোদ্ধাও ছিলেন। এই বংশের নবম পুরুষ শোরী বর্ধমানের আমাটিতে চলে আসেন। দ্বাদশ পুরুষ শিশুপতি গঙ্গোপাধ্যায় রাজা বল্লাল সেনের নিকট হতে কুলীন সম্মান সহ ‘কালীক্ষেত্র’ অঞ্চলটি প্রাপ্ত হয়েছিলেন। আজকের আড়িয়াদহ (আর্যদ্বীপ) থেকে বেহালা (বহুলা) পর্যন্ত ছিল কালীক্ষেত্র।
\\r\\n
চতুর্দশ পুরুষ হলধর মহাপণ্ডিত ছিলেন এবং ‘ব্রাহ্মণসর্বস্ব’ রচনা করেছিলেন। হলধর একজন সমাজপতি ছিলেন সেই আমলে। এরপরেই হল তুর্কী আক্রমণ। সপ্তদশ পুরুষ শিব গঙ্গোপাধ্যায় একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি, যিনি ‘জীও’ নামেও পরিচিত ছিলেন। ২৪ তম পুরুষ হরিহর গাঙ্গুলী বড়বাজারের বিখ্যাত গাঙ্গুলী পরিবারের জন্মদাতা।
\\r\\n
১৯ তম পুরুষ পঞ্চানন গঙ্গোপাধ্যায় গোহট্ট বা গোঘাটে এসে বাস শুরু করেছিলেন। তাঁর সময় শের শাহের সময়কাল। মোঘল-আফগান যুদ্ধে অংশ নিয়ে তিনি বীরত্বের জন্য ‘পাঁচু শক্তি খান’ উপাধি পেয়েছিলেন। ইনিই গঙ্গার পূর্বতীরে নতুন হাভেলি গড়ে সমাজ স্থাপন করেছিলেন। ফলত কুমারহট্টের নাম বদলে হাভেলি শহর বা হালিশহর নাম হল। ইনিই বৈদ্যদের এনে হুগলিতে বৈদ্যবাটি এবং দক্ষিণভারত থেকে পণ্ডিত এনে চব্বিশ পরগনায় ‘ভাটপাড়া’ স্থাপনের প্রধান কারিগর।
\\r\\n
এই পাঁচু শক্তি খানের সপ্তপুত্রের একজন হলেন শম্ভুপতি এবং শম্ভুপতির পুত্র হলেন জীয়া গঙ্গোপাধ্যায়। এই জীয়া গঙ্গোপাধ্যায় হলেন লক্ষ্মীকান্তের পিতা কামদেব ব্রহ্মচারী। তাহলে দেখা যাচ্ছে বেদগর্ভের ২১ তম বংশধর হলেন কামদেব।
\\r\\n
কামদেব জন্মেছিলেন গোঘাটে, শিক্ষালাভ হালিশহরে। সেখানেই নৈয়ায়িক পণ্ডিত রূপে খ্যাতিলাভ করেছিলেন। সেযুগের প্রধান তিন পণ্ডিতের একজন হলেন তিনি। লোকমুখে কবিতা ছিল,
\\r\\n
কাম কমল গঙ্গেশ
\\r\\n
তিন নিয়ে বঙ্গদেশ।।
\\r\\n
‘আইন-ই-আকবরী’-তে কামদেবের নাম রয়েছে। তিনি নাকি সুদক্ষ অশ্বারোহী ছিলেন।
\\r\\n
এইখানে এসে সজলের মনে খটকা লাগল। আকবরের দরবারের আবুল ফজল আকবরের প্রশাসনের বিষয়ে তথ্য জানিয়েছেন ‘আইন-ই-আকবরী’-তে। আকবরের প্রশাসনের কথা বলতে গিয়ে হঠাৎ করে কামদেবের নাম কেন নিলেন আবুল ফজল ? ‘আইন-ই-আকবরী’ হল ‘আকবরনামা’-র একটি অংশ। নাম থেকেই বোঝা যায় এটি আইনকানুন বিষয়ক অংশ। আকবরের সামরিক, প্রশাসনিক বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন আকবরের সভাসদ আবুল ফজল। সেখানে কামদেবের প্রসঙ্গ এল কেন ? মানসিংহ একজন হিন্দু বলে কাশীতীর্থে গেলেন। আচমকাই কামদেবের সাথে পরিচিত হলেন এবং তাঁকে গুরু বলে স্বীকার করে নিলেন, বিষয়টি কি এতই সহজ ? মানসিংহ কার কাছে দীক্ষা নেবেন, তাতে আবুল ফজলের কী যায় আসে ? ‘আইন-ই-আকবরী’-তে সেকথা আসবেই বা কেন ? মনোময় স্যারকে এই পয়েন্টটা বলতে হবে। সজল বিশেষ নোট রাখল এই পয়েন্টে। কিন্তু স্যারকে বলার আগে নিজে একবার ‘আইন-ই-আকবরী’ পড়ে নিতে হবে সজলকে। নাহলে সঠিক বিচার করা যাবে না।
\\r\\n
জীয়া বিয়ে করলেন পদ্মাবতী নামে এক সুন্দরী কন্যাকে। এই বিয়ে নিয়ে সমাজে শোরগোল পড়েছিল। কারণ পদ্মাবতী কুলীন বংশের কন্যা না হওয়ায় সেদিনের সমাজপতি দেবীবর ঘটক জীয়াকে সমাজচ্যুত করেছিলেন। সন্তান কামনায় জীয়া সস্ত্রীক কালীঘাটে মায়ের মূর্তির নিকটে গঙ্গার তীরে এসে বসবাস শুরু করলেন। সেদিন কালীঘাটের পাশ দিয়েই প্রবাহিত হত আদিগঙ্গার ধারা।
\\r\\n
পর্ণকুটিরে নির্মিত মায়ের মন্দিরের প্রধান পুরোহিত তখন আত্মারাম। সঙ্গে শিষ্য অন্নদাগিরি। যশোরকে কেন্দ্র করে বিক্রমাদিত্যের রাজত্ব এর কিছুদিন বাদে শুরু হবে। বসন্তরায়ের মাধ্যমে মায়ের প্রথম পাকা মন্দির নির্মাণ আর অল্পকাল বাকি রয়েছে। মায়ের আশীর্বাদে পদ্মাবতী সন্তান ধারণ করলেন। আনন্দিত জীয়া আত্মারামের কাছে দীক্ষা নিলেন। কিন্তু পুত্রের জন্ম দিতে গিয়ে পদ্মাবতী মারা গেলেন এবং জীয়ার জীবনে সংসার অসার হয়ে গেল। এরপরেই তিনি ‘কাকঃ কৃষ্ণ...’ নামে বিচিত্র দু’লাইনের সংস্কৃত লিখে পুত্রকে ত্যাগ করে বৈরাগী হয়ে গেলেন।
\\r\\n
সজল ঘড়িতে দেখল প্রায় সাড়ে ন’টা বাজে। লক্ষ্মীকান্তর সম্পর্কে পড়তে গিয়ে বেশ ইন্টারেস্ট পাচ্ছে। ভাবল রাতের খাবার খেয়ে নিয়ে বাকিটা পড়বে। এমনিতে কাল শনিবার। ছুটি আছে। বেশি রাত হলে অসুবিধা নেই।