নবান্ন
স্মৃতি, যতটা উঠোনে ধান ভানে
তার থেকে বেশি চাল ফোটে মগজে
কোন ভাত পড়বে পাতে? কাটা নালির ছিদ্র দিয়ে বেরিয়ে আসে শস্য!
তোমাকে বীজের মধ্যে লুকিয়ে রেখে কীভাবে গোলায় আনব নবান্ন?
এত মাঠ আমাদের...
চাষির গান থেকে রক্ত পড়লেও মাঠ ভেজে না!
জলের পরাগ
মাথা কেটে ভাসিয়ে দেব জলে
মাছে খাক
উদাসীন শ্যাওলার শরীরে ভর করে
অনেকবার চেয়েছি: আমারও কানকো হবে লাল
জল নিজেই কি তার অভাব বোঝে?
এই চক্ষুহীন শরীর, দূর থেকে দ্যাখে—
পানকৌড়ি বা মাছরাঙার ছলাৎছল
কাদা নেই, কোথাও কাদা নেই
শুধু মাথা মাছে খাবে বলে: একটা জংধরা ছিপ পড়ে থাকে
পাড়ে, হাতে হাত নেই ; লেগে শুধু জলের পরাগ
রঙিন
এখনো রাত আসে খালি পায়ে
আমি শুনি তার নিঝুম পায়ে ঝুমঝুমির শব্দ
এই বুঝি খেলা হবে? খেলনাপাতি কই?
ঘুম আসে না। একটি কচ্ছপ আমার শরীরে রেখে
বিয়ে বিয়ে খেলি
কালো রাত— লাল পেড়ে শাড়ি পরে
কপালে দেয় টিকলি, নাকে নোলক
বিয়ে হয়ে যায়
বাসর রাতে কচ্ছপের খোলসে রাত হয়ে যায় আরও রঙিন
রক্ত
একটা কুকুর এভাবে কাঁদছে কেন
ওর পায়ের নখে কে বেঁধে দিয়েছে মাংস?
কিছুক্ষণ আগেই—
কুকুরটি আমার কাছ থেকে ফিরে গেল…
আমারও ঝকঝকে দাঁত আছে
কিন্তু আমার পায়েই কেন ঝরছে রক্ত?
সদর দরজা
পথ ব্যস্তটি হয়ে পড়েছে
মানুষকে না পেয়ে
মানুষ নিজেকে সারিয়ে তুলবে বলে গলার ভিতর
আঙুল ঢুকিয়ে
বাড়িয়ে তুলছে আরও খিদে
খিদে জোছনা হয়ে বাড়ির ভিতর
একে একে সবাই দূরের চাঁদ দেখবে বলে
খুলে দিচ্ছে দরজা
সদর দরজা