প্রলাপ
জোনাকি থাকে। চাঁদনীকে জানা হয়নি আলাদা করে। এই সদ্য যৌবন হারিয়ে ফেলা রায়ডাক, যাকে আমি নারী নামে জানি, তার বুকের বিস্তীর্ণ বালু চরে শঙ্খ লাগা সাপের মতন চাঁদনী।
ভাতঘুম হয়নি কখনো। শুধু সকাল এসেছে কুয়াশায়। ভোর হতেই পাড়ার হরেকৃষ্ণদা’রা খোল করতালে যখন দূরে মিলিয়ে যেত, তার ও আগে অব্দুল চাচার বড্ড মায়াবী আজান ভেসে আসতো, তখন আমি জোনাক ভুলে যাওয়া খোয়াবনামায়।
কখনো ওল্ড টেস্টামেন্ট পড়া হয়নি। এ গাঁ মফস্বলি বৃত্তান্তে তা থাকেও না। কিন্তু এই জোনাকরা কী সেই শতাব্দী আগে ভাগ করেনি স্বপ্ন?
জ্বর আসছে। আরও। আমি জড়ানো চাদরের ওম নিতে নিতে সেই চেনা বালুচরি জোনাকিতে ডুব দিচ্ছি। আরও আরও গভীরে…
ভারতবর্ষ আমার দেশ
জেনেছি ঘ্রাণ, জল ভেজা পাটের
জেনেছি ‘খ্যাত নিড়াবার’ কৌশল
এ-সব কিছুই আমি ঠিক জানতাম
কত হাড় ভাঙা পরিশ্রমের, কতটুকু ফল…
এখন এসি রুমে বসে কলিগের গল্প শুনি,
রাজধানীতে, কৃষকরা জল কামানে খোঁজে মাটির সোঁদা ঘ্রাণ…
আন্দোলনজীবি না কি আরও অন্য কিছু, জানিয়ে দেয় এক ‘উলঙ্গ রাজা’....
শয়তান
স্বা-হা কে জানা হয়নি
কিন্তু আগুন কিংবা ঘি-এর সমীকরণ হাতের মুঠোয়।
এবার নামাবলি তে ঘৃণার থু থু থাকলেও,
ব্যবসা জেনে নেবে দাঙ্গার রঙ…
মার্কেটিং গুরুর ঘরে রাম-কে দিয়েই শুরু হলো
ঘর ওয়াপসি!
দেশ
আমি এখনও ভোরের আজানে জেগে উঠি চিনে নিই ঘাসের বুকে সদ্য জন্মানো,
নতুন শিশির
সে আমার বন্ধুও।
কীর্তন শেষে হাত লাগায়, পরম চেনা ক্ষেতে।
আমরা একসাথেই জেনেছি বৃষ্টির আদর, লাঙল চালানো সুবাসে
আমরা জেনেছি ভাগ করে খাওয়া দুপুরের,
আমাদের বাসা গুলো, ‘ভালো’ ডাক নামেই জানে, রহিম কিংবা রামের নয়…
নদী জানে, মুসলিম কিংবা হিন্দুর জীবনটা এমনও হয়…
সাক্ষী থেকো
আণুবীক্ষণিক Existence খুঁজতে গিয়ে
পিঁপড়ের সঙ্গ নিলাম,
শিখলাম ভার বয়ে মাথা গোঁজা।
সূর্যের পুত্র বলে, আলাদা করে উষ্ণতা, আলো-কে না ভাবতে ভাবতে,
আমি ফুরিয়ে যাই…
শেষ কথা
বাতাসে, মানুষের পোড়া গন্ধ,
শরীর ছড়িয়ে ছিটিয়ে।
কোটি কোটি যোনীপথ বেয়ে লাভা বেরিয়ে আসে জন্মকণার নামান্তরে,
মন্দির মসজিদ চার্চে…
তবুও থেকে যায় শেষ কথার ভিত, এখানেই