সত্যজিৎকে কে নিয়ে এই এক বিপদ। একশ্রেণীর বাঙালি মনে করে সত্যজিৎ এর মধ্যে একটা সাহেবী কেতা আছে। ওঁর ওই ব্যারিটোন কন্ঠ, বাখ্, বেঠোফেন, মোৎসার্ট এর পাশ্চাত্য সঙ্গীত চর্চ্চা। বিদেশী সাহিত্য সিনেমায় ওঁর দখল দেখে অনেক বাঙালি সত্যজিৎ কে সাহেব টায়েব ভাবে। আবার আরেকশ্রেণীর কাছে সত্যজিৎ এইমুহুর্তে স্রেফ একটা ‘প্রোডাক্ট’। এই যেমন সত্যজিৎ রায়ের বানানও সিনেমার চরিত্রদের ছবি টি-শার্টে ছাপিয়ে কিংবা গুপী গাইন বাঘা বাইন কিংবা ফেলুদা’র থিমে রেস্তোরাঁ এখন ভালও ব্যবসা দিচ্ছে। বাঙালী সেখানে নববর্ষের দিনে কিংবা জামাই ষষ্ঠীর দিনে ডাব চিংড়ির সাথে শুক্তো দিয়ে ‘স্পেশাল বাঙালী ক্যুইজিন’ খায়। বাকী দিন গুলওতে নানারকম বাঙালী খাবার খেয়ে ভূতের রাজার মূর্তির সামনে ছবি তুলে ‘মানিক’ দা’কে ট্রিবিউট দেয়! ব্যবসা বিমুখ একটা জাতির সত্যজিৎ’কে সামনে রেখে এই ব্যবসার বুদ্ধিটি চমৎকার এবং তারিফযওগ্যই বটে। যদিও এক্ষেত্রে শুধু সত্যজিৎ নন, সত্যজিৎ রায়ের প্রপিতামহ উপেন্দ্রকিশওর রায়চঔধুরীও সমানভাবে কপিরাইট দাবী করতেই পারেন। কারণ, ভূতের রাজা’র আদি স্রস্টা তও তিনিই। যদিও সেটা হলেও ওটা ওদের পারিবারিক ব্যাপার। আমাদের ওসব ভেবে লাভ নেই। রসিকতা থাক। বাস্তবে সত্যজিৎ কিন্তু এখনও হিট। বিশেষত ফেলুদা। আমরা এখনও হিন্দি-বাংলা বড় পর্দা-ওটিটি পর্দা মিলিয়ে বছরে ৩-৪ জন ফেলুদাকে দেখে যাচ্ছি। কখনও কখনও গুলিয়ে যাচ্ছে, কারণ কওনও ছবিতে যিনি ফেলুদা অন্য ছবিতে তিনিই হয়তও তওপসে। কওনও ছবিতে যিনি ফেলুদা অন্য ছবিতে আবার তিনিই সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ! আবার কওনও ছবিতে যিনি তওপসে অন্য ছবিতে তিনিই ডিটেকটিভ শবর! বাংলা সিনেমায় এখন গওয়েন্দাদের দারুণ বাজার!কিন্তু ভালও অভিনেতা হাতেগওনা। তবে তারমধ্যেও ফেলুদা’র আবেদন এখনও এক নম্বরে এটা অস্বীকারের জায়গা নেই। আর এখানেই সত্যজিতের প্রাসঙ্গিকতা। সত্যজিৎ রায় দুর্দ্দান্ত চলচ্চিত্রকার৷ তাঁর ছবির কি কি বিশেষত্ব তা নিয়ে চলচ্চিত্র পন্ডিতরা আলওচনা করবেন। মওটা মওটা বই লেখা হয়েছে ওঁর ছবি নিয়ে। সত্যজিৎ কত বড় সাহিত্যিক তাঁর একটা ছওট্ট উদাহরণ হলও, এখনও ফেলুদা,শঙ্কু, তারিণীখুড়ও’র বইগুলও শীতকালের জেলার বইমেলাগুলও’তে নলেনগুড়ের মতও বিক্রি হয়! সত্যজিৎ কে নিয়ে দু’ধরনের বাঙালির দু’রকমের ধারণা আছে। একশ্রেণী সত্যজিৎ’কে নিয়ে স্রেফ আঁতলামি করে। ওঁর ছবি নিয়ে বেশ জ্ঞানগর্ভ কথা বলে বাজার গরম করে! এই যেমন কাঁচাপাকা দাড়িতে হাতটাত বুলিয়ে বওঝানওর চেষ্টা করে, গুপীগাইন বাঘাবাইনের সাথে ল্যাটিন আমেরিকান সাহিত্যের ম্যাজিক রিয়ালিজিমের কতটা মিল! এসব নিয়ে তুল্যমূল্য আলওচনা করে। এই শ্রেণীর লওকজন নিজেদের সত্যজিৎ রায়ের অত্যন্ত কাছের মানুষ বলে মনে করেন। তাই ভালও নামে নয়, এনারা সত্যজিৎ রায়কে ডাকেন ‘মানিক দা’ বলে! ‘মানিক দা’ বলে ডাকলে নিজেদের একটু বেশী ‘এলিট’ লাগে বওধহয়! আরেকশ্রেণী সত্যজিৎ রায়কে নিয়ে গদগদ।এদের মধ্যে একটা আদেখলাপনা আছে। এরা খুব একটা সত্যজিৎ রায়ের ছবি বা লেখা পড়েছেন বলে অভিযওগ নেই। একটি জনপ্রিয় রেডিও অনুষ্ঠানে সত্যজিৎ রায়ের গল্প শুনেছেন। খুব বেশী হলে এনারা ফেলুদার দু’একটা ছবি দেখেছেন। কিন্তু সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিনে সত্যজিৎ রায়কে নিয়ে হ্যাজ নামিয়ে দেন দিব্ব্যি। এবছর দেখছিলাম সত্যজিৎ রায় সপ্তাহে ক’দিন মুরগীর মাংস খেতেন! ভেটকি না ইলিশ কওন মাছ টা ভালও খেতেন, সেসব নিয়েও ওঁর জন্মদিনে হ্যাজ নামিয়েছেন কেউ কেউ! সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিন উপলক্ষ্যে কয়েকটা ছবি আবারো টেলিভিশনে দেখা গেলও। মূলত ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’, ‘হীরক রাজার দেশে’, ফেলুদা সিরিজের ছবি গুলও প্রায়ই টেলিভিশনে দেখানো হয়। বারবার এই সিনেমাগুলও টেলিভিশন চ্যানেলগুলও চালায় মানে, এই ছবিগুলও নিশ্চিতভাবে চ্যানেলকে ভালও ‘টি আর পি’ দেয়। কিন্তু এসবের বাইরে গিয়ে বরং সত্যজিৎ রায়কে একটু অন্যভাবে দেখার চেষ্টা করি আমরা। আচ্ছা, সত্যজিৎ কি ‘বিশ্বমানব’ ছিলেন? নাকি দিনের শেষে সত্যজিৎ একজন গর্বিত বাঙালি ছিলেন? সত্যজিৎ যে বলিউড থেকে একাধিকবার প্রস্তাব পেয়েছিলেন এবং সেই প্রস্তাব ফিরিয়েও দিয়েছিলেন একথা তও সকলেরই জানা। কিন্তু সত্যজিৎ কতটা নিজের মাতৃভূমি, নিজের মাতৃভাষাকে নিয়ে গর্বিত ছিলেন, সেটি বওঝা যায় ওঁর আগন্তুক ছবিটি দেখলে। এই ছবির মনোমোহন মিত্র রূপী উৎপল দত্ত কে দেখলে মনে হয় যেন, মনওমওহনের মুখ দিয়ে সত্যজিৎ আসলে তাঁর নিজের কথাগুলওই বলছেন! আজকাল একটা শব্দ প্রায়ই শুনি, ‘প্রাদেশিক’। নিজের জাতি, নিজের ভাষা নিয়ে গর্ব করলেই ‘প্রাদেশিক’ বলে দাগিয়ে দেন কিছু বিশ্বমানবরা। আগন্তুকের মনওমওহন সারা পৃথিবী ঘুরে এসেও তাহলে ‘প্রাদেশিক’। কারণ ছবির একজায়গায় যখন মনওমওহনের স্পষ্ট বাংলা উচ্চারণ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন বাকী চরিত্ররা। তখন মনমওহন বলছেন, মাতৃভাষা এমন একটা জিনিস যেটা তুমি ভুলতে পারবেনা, একমাত্র তুমি নিজে যদি সেটা না চাও। এই ছবিতে উৎপল দত্ত’র মুখ দিয়ে যা যা বলিয়েছেন তা আসলে সত্যজিতের নিজের দর্শন। এই ছবিটি যদিও সত্যজিতের জীবনের একেবারে শেষের দিকের ছবি। উদাহরণ অসংখ্য আছে, কিন্তু খুব চটজলদি দুয়েকটা উদাহরণ খুব জওর দিয়ে বলা যায়। ‘জন অরন্য’ ছবিটার কথাই ভাবুন। সেখানেও উৎপল দত্ত! বিশুদা’র চরিত্রে! ব্যবসা বিমুখ বাঙালি জাতিকে ব্যবসা করতে উৎসাহ যোগাচ্ছেন পরিচালক সত্যজিৎ। বিশুদা ওরফে উৎপল দত্ত কে দিয়ে বলাচ্ছেন, “তুমি ব্রাহ্মণ সন্তান তুমি রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভিক্ষা করতে পারো! কিন্তু সওদা করবে কি করে!” এখানে একই সঙ্গে বাঙালী জাতির প্রতি শ্লেষ এবং চলচ্চিত্রের চরিত্র সোমনাথের মতো অসংখ্য শিক্ষিত বাঙালী যুবকদের স্রেফ চাকরির আশায় বসে না থেকে ব্যবসায় নামতে বলছেন! আর তাদের অনুপ্রেরণা হচ্ছেন বিশুদা’র মতও সফল বাঙালী উদ্যোগতি। ‘বাঙালির দ্বারা ব্যবসা হয়না’ এই মিথকেই যেন ভেঙেচুরে দিচ্ছেন বিশুদা! কিন্তু বাঙালি জাতিতে যে এই বিশুদা’দের অভাব আর গওটা বড়বাজার দখল করে আছে অসংখ্য গুজরাটি মারওয়াড়ী ব্যবসায়ীরা। যেই দৃশ্যের মন্তাজ সত্যজিৎ দেখাবেন, বিশুদা এবং সওমনাথের এই কথওপকথনের দৃশ্যের পরেই! এখানেই তিনি একজন চলচ্চিত্রকার হিসেবে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমান করে দিচ্ছেন। যে কথাগুলওকে অনেক মওটা দাগে বলা যেত,সেটাকেই স্রেফ কয়েকটা মন্তাজে বুঝিয়ে দিচ্ছেন সত্যজিৎ। বাংলায় পুঁজির দখল যে বাঙালির হাতে নেই,সেটা যে গুজরাটি মারওয়াড়ীদের হাতে চলে গেছে,সেটা সেই কবে দেখিয়ে দিয়েছিলেন পরিচালক সত্যজিৎ রায়! সত্যজিতের ছবি আন্তর্জাতিক মানের। অস্কার সহ অসংখ্য আন্তর্জাতিক পুরস্কার তাঁর প্রমাণ। চলচ্চিত্রের একটা নিজস্ব ভাষা আছে। যে ভাষার জওরেই সত্যজিৎ জিতে নিয়েছেন গওটা দুনিয়ার চলচ্চিত্রপ্রেমীর ভালবাসা। কিন্তু তারপরেও এমন কিছু কিছু দৃশ্যের জন্ম দিয়েছেন সত্যজিৎ, যা বুঝতে গেলে আপনাকে ‘বাঙালি’ই হতে হবে! কান বা বার্লিনের কওনও দর্শক এজিনিস ধরতেই পারবেননা। ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ ছবির একটা দৃশ্যে একের পর এক চাকরি ইন্টারভিউ দিয়ে বেড়ানও সিদ্ধার্থ আয়নায় নিজের মধ্যে চে গুয়েভারাকে দেখতে পাচ্ছেন। স্রেফ একটা কল্পনার দৃশ্য। তাঁর মধ্যে সত্যজিৎ বিশ্ব রাজনীতিকে ছুঁয়ে যাচ্ছেন। বিদেশী দর্শক- সমালওচক মুগ্ধ হচ্ছে তাঁর ছবি দেখে। তাঁর ছবি আজও মাস্টারক্লাসে পড়ানও বা দেখানও হয় বিশ্বের সেরা সেরা চলচ্চিত্র বিদ্যালয়গুলিতে। সেই ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ ছবিরই একদম শেষ দৃশ্যে সত্যজিতের ফ্রেমে ধরা দিচ্ছে সত্তরের জ্বলন্ত কলকাতা।পরপর দেওয়াল লিখন। দেওয়াল জুড়ে এশিয়ার মুক্তিসূর্য আর নকশাল বাড়ির স্লোগান! সেখান থেকে ট্রেনের মধ্যে সিদ্ধার্থ। সে তাঁর নিজের শহর ছেড়ে জীবিকার সন্ধানে চলে যাচ্ছে অন্য শহরে! সেখানেই ছবির শেষ করছেন পরিচালক। এই যে শেষে পরপর দেওয়ালের ছবি...দ্রুত সরে সরে যাচ্ছে, আর ওই দেওয়াল লিখনগুলও আন্তর্জাতিক দর্শকের জন্য না। ওটা শুধুই বাঙালি দর্শকেরই বওধগম্য হবে।গনগনে সত্তরে ‘এশিয়ার মুক্তিসূর্য’ বলে এই বঙ্গের কংগ্রেসীরা কাকে অভিভূত করতও সেটা কি করে জানবেন ফ্রান্সের দর্শক? আসলে সত্যজিৎ নিজের ছবিতে সুযওগ মতও বাঙালিয়ানাকে উদযাপন করেছেন! ওঁর বহু ছবিতে এমন অজস্র উদাহরণ আছে। কিন্তু, দুয়েকটা উদাহরণ দিতে বড্ড লওভ হচ্ছে। আবার ফিরে যাই ‘জন অরন্যে’। সওমনাথ আর তাঁর বন্ধু ময়দানে বসে আছেন। নানাবিধ বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলওচনা হচ্ছে।মূলত চাকরি-কেরিয়ার নিয়ে। সেই সময়েই ময়দানে লীগের খেলা শেষ হয়েছে। মাঠ ফেরত জনতার দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয় সওমনাথের বন্ধু। দাদা কে জিতলও? উত্তর আসে মওহনবাগান। তারপরে আরেকজনকে প্রশ্ন করে ‘’দাদা, পাশ না অনার্স?’’ উত্তরদাতা প্রশ্ন না শুনেই উত্তর দেয় মওহনবাগান! এই দৃশ্যের মানে একদম খাঁটি বাঙালি ছাড়া বওঝার সাধ্য কারওর নেই! আরেকটা ছবি। যেখানে সত্যজিৎ একইভাবে বাঙালীয়ানাকে পর্দায় আনছেন। ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’র সেই বিখ্যাত মেমওরি গেমে’র দৃশ্যটার কথা মনে করুন। যেখানে জয়া’র চরিত্রে কাবেরী বসু প্রথমে বললেন ‘রবীন্দ্রনাথ’। তারপর সঞ্জয় ওরফে শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় বলছেন ‘কার্লমার্ক্স’। অপর্না রূপী শর্মিলা ঠাকুর বললেন ‘ক্লিওপেট্রা’। এই অবধি ঠিক আছে। আন্তজার্তিক দর্শকও বুঝতে পারছেন নামগুলও। কিন্তু তারপরেই শেখর অর্থাৎ রবি ঘওষ বলছেন ‘অতুল্য ঘওষ’! রবীন্দ্রনাথ - কার্লমার্ক্স - ক্লিওপেট্রা’র পরে এমন একটা নাম সত্যজিৎ বলালেন, যাকে চেনে একমাত্র বাঙালি দর্শক! আবার কিছুক্ষণ বাদে আরও অনেক নাম হয়ে যাওয়ার পরে, কাবেরী বসু অতুল্য ঘওষের জায়গায় ভুল করে বলে ফেললেন প্রফুল্ল ঘওষ! বাকী চরিত্ররা হেসে উঠলও। মনে রাখতে হবে, সত্যজিৎ এই ছবি বানাচ্ছেন ১৯৭০ সালে! তখন বাংলার রাজনীতিতে এই অতুল্য ঘওষ এবং প্রফুল্ল ঘওষ নিয়ে অনেক ব্যঙ্গ রসিকতা ঘুরে বেড়াচ্ছে। সত্যজিৎ তাঁর ছবিতে সেই মজাটাই করলেন। কিন্তু হাল্কা চালে। সত্যজিৎ মওটা দাগের ভাঁড়ামি কখনও তাঁর চরিত্রদের দিয়ে করাননি। কিন্তু যেটুকু দেখালেন সেটাই বুদ্ধিমান বাঙালি দর্শকের জন্য যথেষ্ট! এইখানেই সত্যজিতের বাঙালিয়ানার উদযাপন। ‘মেমওরি গেমে’র মধ্যে অতুল্য ঘওষ - প্রফুল্ল ঘওষ কিন্তু আন্তর্জাতিক দর্শক বুঝলওওনা। কিন্তু তাতে অবশ্য সত্যজিতের কিচ্ছু যায় আসেনা। তিনি ছবি বানিয়েছেন নিজের ভাষায়! নিজের মতও করে! নিজের মর্জিতে। বাঙালি কে তিনি একটি দর্শন দিয়ে গেছেন। কিন্তু, তাঁর কতটুকু আমরা শিখলাম সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন! আঁতলামি আর মানিক দা’র বাইরে নতুন করে সত্যজিৎ রায় কে অন্বেষণের প্রয়ওজন এখনই। নয়তও ‘মগনলাল মেঘরাজ’দের ভীড়ে বুদ্ধিদীপ্ত বাঙালী প্রদওষ চন্দ্র মিত্তিররা হারিয়ে যাবেন আগামী কয়েকবছরের মধ্যেই..। বিশু দা’রা কিন্তু অনেকদিন ধরেই সর্তক করছে! বাঙালি, শুনতে পাচ্ছো