আমার মধ্যে বড় আমির দেখা পাওয়া শক্ত – সেটাই
আজন্মকাল শুনে আসছি, মেনে আসছি বিশ্বাসে তাই
মিলায় বস্তু – মিলিয়ে যায় তর্কে বহু দূরের সড়ক
আবার যদি ফেরৎ আসে কেমন চর্মচক্ষু চড়ক
বৃক্ষটি নিষ্পত্র, নিথর – ফুল ফোটেনি পাঁচটি ডালে
গাছ থেকে বীজ –বীজ থেকে গাছ; রাত পেরিয়ে সাতসকালে
উজানে যায় ভাটির টানে আনন্দ কারণশরীরে
মৃন্ময় তার খোলস ছেড়ে চিন্ময়ী কে হচ্ছে ধীরে?
ছোটর দিকে বাড়তে বাড়তে পর্যাবৃত্ত বড়র দিকে
সংসার-সমুদ্রে নৌকো যাত্রা করে এক নাবিকে
ডুবতে ডুবতে ভেসে ওঠার এই খেলা কি সবাই পারে?
ডুবন্ত যে হাল ছাড়েনি – সাগর পেরোয় ডুবসাঁতারে
যাত্রাপথের লুকোচুরি জানায় তাকে শেষ প্রণতি
প্রবহমান জীবনধারায় মৃত্যু নামের একটু যতি
স্বীকার – ক্ষতিস্বীকার ক’রে শিকারী তার ব্যাধজীবনে
ফিরে আসার শপথ রাখে ভিন্ চেহারায়, অন্য মনে
লাফ-ঝাঁপে সে পেরোয় যদি এই গ্রহ-দেশ-কালের সীমা
ছোট থেকে বড় হওয়ার সেই এষণা, সেই মহিমায়
ছোঁবেই যদি ছোট আমি বড় আমি-র অভয়চরণ
নতিই কি উন্নতির সোপান? – বর্ণবন্ত সেই বিবরণ ...