শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সম্পূর্ণ খবর

কলকাতা | Circus: ‌‌দর্শক নেই, ওঁরা খেলা দেখাচ্ছেন

Rajat Bose | ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৫ : ৩১Rajat Bose


কাকলি মুখোপাধ্যায়:‌ অধিকাংশ আসনই ফাঁকা। নেই শিশুদের সেই উল্লাস। তাঁবু কাঁপানো সেই করতালির কোলাজই বা কোথায়?‌ তবু খেলা দেখিয়ে চলেছেন কুশীলবেরা। হেসে গড়িয়ে পড়ছে না গ্যালারি, তবু কসরত দেখিয়ে চলেছেন নিরুপায় দুই জোকার। মঙ্গলবার দুপুরে এমনই সব অদ্ভুত আর মনখারাপ–করা ছবি দেখা গেল সিঁথি মোড়ের অজন্তা সার্কাসের তাঁবুতে। বাঙালির শীতকাল মানে তো লেপের ওম, দুপুরের রোদ পোহানো, জয়নগরের মোয়া, নলেন গুড়ের গন্ধ আর ময়দান–কাঁপানো সার্কাস। সার্কাসের জন্য তো ‘‌শীতকাল কবে আসবে’‌ বলে মুখিয়ে থাকত বাঙালি ছেলেমেয়েরা। শৈশবের সেই সার্কাসের উন্মাদনা এখনও যাঁদের মনে তাজা, সার্কাসের এই চেহারা দেখলে তাঁদের সত্যিই মন খারাপ হবে। সেই বাঘ–সিংহের খেলা হয়তো নেই, তবু যা আছে, তা নিয়েই চলছে, এখনও শহরে তাঁবু পড়ে, সার্কাসের আসর বসে। টিম টিম করে হলেও চলছে আমাদের প্রিয় সার্কাস। 
গ্যালারি, দু’‌রকমের চেয়ার মিলিয়ে মঙ্গলবারের দুপুরে দর্শক ছিলেন সর্বসাকুল্যে ৪০–৫০ জন। তাহলে সার্কাস কি জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেলছে?‌ সার্কাস নিয়ে কি শিশুদের কোনও আগ্রহ নেই?‌ বাঙালির আর পাঁচটা উজ্জ্বল অতীতের মতো এবার সার্কাসও কি বিদায় নেবে?‌
এসব প্রশ্ন নিয়ে কথা হচ্ছিল সার্কাসের ম্যানেজার রথীন্দ্রকুমার চ্যাটার্জির সঙ্গে। তাঁর কথায়, এটা ঠিক যে, সার্কাসের বাজার আগের মতো নেই। এর সব থেকে বড় কারণ পশুপাখির খেলা দেখানো বন্ধ হয়ে যাওয়া। আগে শিশুরা আসত বাঘ, সিংহ, হাতি, পাখির খেলা দেখতে। পশুপাখিকে নিয়ে খেলা দেখানো নিষিদ্ধ হওয়ার পরই সার্কাস তার মূল আকর্ষণ হারিয়ে ফেলেছে। এমনকী কুকুরের খেলা দেখানোও নিষিদ্ধ এখন। সার্কাসে সাধারণত শিশুরাই আসে। পশুদের খেলা বন্ধ হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই শিশুরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। শুধু শিশুরা কেন, পশুপাখির খেলা বন্ধ হওয়ায় বড়রাও হতাশ। দর্শকের সংখ্যা কমে গেছে। অজন্তা সার্কাসের জলহস্তীর খেলার একটা বিশেষত্ব ছিল। এখন সবই বন্ধ হয়ে গেছে। বিকল্প হিসেবে এখন সার্কাসে প্রতিটি শোয়ে ৩৫ থেকে ৪০ রকমের খেলা দেখানো হচ্ছে। যার মধ্যে চিরকালের জনপ্রিয় ট্রাপিজের খেলা যেমন আছে, নতুন করে আনা হয়েছে মণিপুরি মেয়েদের রিঙের খেলা, আফ্রিকান চাইনিজ বাম্বুর খেলা। অজন্তা সার্কাসে এখন নতুন–‌পুরনো মিলিয়ে ১০০ জন কলাকুশলী রয়েছেন। যার মধ্যে এখানকার খেলোয়াড়দের পাশাপাশি রয়েছেন আফ্রিকান, ইথিয়োপিয়ান, মণিপুরি খেলোয়াড়েরাও। আগের মতো ভিড় এখন আর সার্কাসে হয় না ঠিকই, তবে শনি, রবি বা ছুটির দিনে তুলনামূলক একটু বেশি ভিড় হয়। আশার কথা এত বাধার মধ্যেও গত রবিবার অনেক দিন পর শো হাউসফুল হয়েছে। দুপুরের শোয়ে দর্শক অনেক কম। বিকেল ও রাতের শোয়ে দর্শকের সংখ্যা বেশি থাকছে।
সোদপুর থেকে ৭ বছরের ছেলেকে নিয়ে সার্কাস দেখতে আসা বিদিশা দে–‌র বক্তব্য, করোনার পর সবকিছুই ওলটপালট হয়ে গেছে। আগের মতো সার্কাসও আর হয় না। আর বাচ্চারাও মোবাইলে সব কিছু দেখে নিচ্ছে। ছোটবেলায় আমরা বাঘ–‌সিংহের খেলা সামনে থেকে বসে দেখার আনন্দ নিতে সার্কাস দেখতে যেতাম। তাই বাচ্চাকে নিয়ে আসা। বরানগরের ঐন্দ্রিলা সিন্‌হা ঘুমন্ত মেয়েকে কোলে নিয়ে বেরোতে বেরোতে জানালেন, এত ছোট বাচ্চা। ট্রাপিজ, জাগলিঙের খেলায় হয়তো আনন্দ পায়নি। ঘুমিয়ে পড়েছে। আগের মতো সার্কাসের টানটান ব্যাপারটা তো আর নেই। তবুও শীত, বড়দিনের ছুটির সঙ্গে সার্কাস বাঙালিদের উৎসবের অঙ্গ ছিল। মধ্যবয়সি এক দম্পতি (‌‌নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)‌ জানান, ছোট থেকে বড় বয়স পর্যন্ত প্রতি শীতে সার্কাসের জন্য অপেক্ষায় থাকতাম। আগে কলকাতায় ফেমাস, ডায়মন্ড, অজন্তা একাধিক সার্কাস কোম্পানি আসত। সব বন্ধ হয়ে গেছে। এখন শুধু অজন্তা সার্কাসই আসে। দর্শক যেমনই হোক প্রতি বছর সিঁথি মোড়ের এই মাঠে তাঁবু ফেলে। শৈশব, কৈশোরের সার্কাসের আনন্দ বার্ধক্যে কতটা আনন্দ দিতে পারে জানতে আবার আসা। পরের শোয়ের জন্য গেটের বাইরে ১০ বছরের মেয়েকে নিয়ে অপেক্ষায় থাকা শোভাবাজারের অর্পিতা ভট্টাচার্যের অবশ্য অভিযোগ, প্রচার হয় না। শহরে সার্কাস আসা–যাওয়ার সময়টা এখনও অনেকেই জানেন না। আগে মাইকে প্রচার হত। এখন আর আগের মতো হয় না। প্রসঙ্গত, সিঁথি মোড়ে অজন্তা সার্কাস চলছে ডিসেম্বর থেকে। চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন তিনটে করে শো হচ্ছে। দুপুর ১টায় প্রথম শো। বিকেলের শো ৪টে এবং রাতের শো শুরু ৭টায়। ‌‌‌টিকিট শুরু ১০০ টাকা থেকে।


সিঁথি মোড়ের অজন্তা সার্কাসে সাইকেলের খেলা দেখাচ্ছেন শিল্পী। ছবি:‌ তপন মুখার্জি ‌






বিশেষ খবর

নানান খবর

শীঘ্রই আসছে...

নানান খবর

ভরা কোটাল থেকে রক্ষা পেল না মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িও, হুড়মুড়িয়ে ধুকল জল...

শুক্রবারেই অবস্থান তুলে নিচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা, শনিবার থেকে চলবে আংশিক কর্মবিরতি...

দায়িত্ব নিয়েই আরজি করে নতুন নগরপাল, বৈঠক করলেন অধ্যক্ষের ঘরে...

কথা বলে ‘ধোঁয়াশা’ কেটেছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ডেকরটার্স বিতর্ক নিয়ে জবাব চিকিৎসকদের...

আরজি কর কাণ্ডে ডাক সিবিআই-এর, ‘সবরকম সাহায্য’ করতে সিজিওতে মিনাক্ষী ...

স্বাস্থ্যসচিবের অপসারণের দাবি, ফের রাজ্যকে ই-মেল, জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি অব্যাহত ...

রাতের শহরে ফের আক্রান্ত ট্র্যাফিক সার্জেন্ট, চিকিৎসা করাতে নিজেই ছুটে গেলেন হাসপাতালে...

খাস কলকাতায় ফের প্রোমোটারের দাপাদাপি, আহত ১

'যদি কাগজে লেখ নাম', কর্তব্যরত নার্সকে প্রেমপত্র দিয়ে বিপাকে যুবক...

নেতাজি সুভাষ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথন, অংশগ্রহণ করল ৯২টি দল...

সোম-রাতে বলেছিলেন মমতা, মঙ্গলে পুলিশের সঙ্গেই বড় বদল স্বাস্থ্যেও ...

কলকাতার নতুন পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা, বিনীত হলেন এডিজি এসটিএফ ...

পড়ুয়াদের দক্ষ ও শিল্পমুখী করে তোলার বিশেষ প্রচেষ্টা এসএনইউ’‌র ...

কালীঘাটে মমতার বাড়িতে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে হল বৈঠক, মিলল সমাধান?‌ ...

প্লাবিত এলাকা নিয়ে চিন্তিত মমতা, দিলেন এই নির্দেশ ...

সরকার এবং ডাক্তারদের নিঃশর্ত আলোচনা জরুরি, নয়তো নৈরাজ্যের পথে চলে যাবে পশ্চিমবঙ্গ...

চিকিৎসকদের শর্ত মানল রাজ্য, কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে বৈঠকে যাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা...



সোশ্যাল মিডিয়া



12 23