সম্মোহন

 
সম্মোহন
 
লম্বা জাদুদন্ডটা আর একবার নড়ে উঠলো
জীবন্ত মৃতেরা চলতে শুরু করলো এক লাইনে।
কী ভীড়! মাথা নীচু করে চলছে সবাই, 
অন্যায়ের প্রতিবাদ নেই, 
স্বপ্ন দেখার চোখ বন্ধ, 
পথ কোনদিকে কেউ জানে না, 
তবুও সম্মোহিত হাঁটা।
 
চেতনা ফিরে আসার আগে
হেঁটে নিচ্ছি আমিও।
 
এক অনুপ্রেরণা থেকে আরেক অনুপ্রেরণায় পৌঁছাতে 
কত পথ যে হাঁটতে হবে! 
 
আমাকে একটা অনুপ্রেরণা দাও।
-----------------------------
 
নিরাকার
 
সমাধিস্থ হয়ে আছি,
কেউ একজন এসেছিলো,
পাশে বসে আবার উঠে গেল।
সমাধি ভেঙে ফিরতে চাইছি
সেই পাশে বসা মুহূর্তটিতে।
কিছু তো দেখা হয়নি, কেবল নিঃশ্বাস, 
বোধহয় একবার ছুঁয়ে গেছে। 
এটুকুই কি যথেষ্ট নয় তাকে চেনার?
 
ভালোবাসার তো আকার থাকে না।
 
------‐--------------------------
 
 
শূন্যগামী
 
মাছেদের খেলাঘর ভেঙে দাও,
শামুকের ডিমগুলো ছড়িয়ে দাও শুকনো ডাঙায়,
যা পারো ভেজে ঢুকিয়ে নাও পেটে।
 
ক্ষমতার ভান্ডার ভরবে না সহজে।
 
আরও আরও চাই - বলে এগিয়ে যাও।
 
সকাল, বিকেল, রাত্রি, রোদ্দুর, জ্যোৎস্না
সব নিজের করে নিয়ে 
গুদামঘর সিল করে দাও।
 
শূন্যের মাঝে লেখা হোক
তোমাদের শ্রেষ্ঠত্বের হিসাবনিকাশ।
 
-----------------------------------------
 
 
ধর্ষণ
 
দুঃস্থ রাতগুলো জেগে থাকে প্রায়ই, 
চারদিকে বিপদ, জল ঢুকছে শরীরে, 
লিপিড প্রোফাইল আনলক করতে চেয়ে 
লালাক্ষরণ হচ্ছে অনবরত। 
অথচ ইনসুলিনের ঘাটতি, শর্ট টেম্পারমেন্ট,
টায়ালিন থেকে মলটেজ পর্যন্ত সব অভাব, 
কেবল পেশি আর অনুপ্রেরণা সম্বল, 
তাও ফলন ঠিকমতো হলে কথা ছিলো। 
 
শরীর থেকে জ্যোৎস্না চেটে খাওয়ার পর
দু'হাতে অন্ধকার গুলতে গুলতে
ল্যাম্পপোষ্টেরা ঘুমিয়ে পড়েছে রাস্তার পাশে।
 
চলো একটু সিমেন মেপে আসি...
 
 

  • সুমন দিন্দা