আজকাল ওয়েবডেস্ক : ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপ বাড়ছে গোটা বিশ্বজুড়ে। করোনা হওয়ার পর থেকেই স্বাস্থ্য পরিস্থিতি চ্যালেঞ্জিং হয়েছে। ঘন ঘন সর্দি-কাশি-জ্বরে ভুগছেন অনেকেই। শুধু তাই নয়, এই সামান্য কারণ নিয়ে বাড়াবাড়ি হওয়ার ফলে হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে অনেককেই। বিশেষ করে ৫ বছরের শিশু ও ৬০-এর বেশি বয়সী মানুষরা । সাধারণ এই ফ্লুয়ের জন্য দায়ী ইনফ্লুয়েঞ্জা। ইনফ্লুয়েঞ্জা A H1N1 সংক্রামিত ব্যক্তিদের আপৎকালীন পরিচর্যায় ভর্তি হতে হচ্ছে। বিভিন্ন স্ট্রেন মানুষকে ভিন্নভাবে প্রভাবিত করছে। দাবি সমীক্ষার।
এর কারণ কী?
অনেকেই মনে করছেন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণেই এমন হচ্ছে। আধুনিক রোজনামচায় ইমিউনিটির খেয়াল রাখছেন না বেশির ভাগ মানুষ। নিয়মিত শরীরচর্চায় মন দিচ্ছেন না।
বিশেষজ্ঞের মতে, এই বছরের ফ্লু স্ট্রেন অনেকটা শক্তিশালী। তাই ফ্লু ভ্যাকসিন কার্যকরী ফল দিতে পারে। যার মধ্যে H1N1, H3N2 এবং B/ভিক্টোরিয়া ভ্যাকসিন উল্লেখযোগ্য। বিশেষজ্ঞের মতে, ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে মানুষের মধ্যে ফ্লুয়ের ঝুঁকি কমতে পারে। ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও ফ্লু হতে পারে, কিন্তু বাড়াবাড়ি হবে না। বিষয়টি হল এই মরশুমে ফ্লু টিকা দেওয়ার হার অস্বাভাবিকভাবে কম।
ফ্লুয়ে আক্রান্ত হলে কী করবেন?
অতি অবশ্যই ডাক্তারি পরামর্শ নিন। গরম জলে গার্গল করলে আপনি সাময়িক স্বস্তি পেতে পারেন। বাড়িতে ছোট ও বয়স্করা থাকলে থার্মোমিটার ও অক্সিমিটার সঙ্গে রাখুন। জ্বর না কমলে ডাক্তারের কাছে যেতে দেরি করবেন না।