ঘনঘন কলকাতা-মুম্বই যাতায়াত করছেন। মহালয়ায় কালীঘাটে পুজো দিয়েছেন। উদ্বোধন করেছেন মন্ত্রী সুজিত বসুর শ্রীভূমির পুজো। অথচ দীর্ঘদিন তিনি বাংলা ছবিতে নেই! কেন? শুক্রবার বিদ্যা বালন আবারও কলকাতায়। সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ড-এর নতুন শোরুম উদ্বোধনে। সেখানেই তাঁকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকেরা। কী জবাব দিলেন বিদ্যা? হাসিমুখে অনুযোগ করলেন, ‘‘আরে আমি তো বাংলা ছবি করার জন্য মুখিয়ে আছি! কিন্তু কোনও পরিচালক আমায় নিয়ে ভাবছেনই না!’’

দুর্গাপুজো শেষ। সামনেই দীপাবলি। তার আগে ধন-সমৃদ্ধির দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা। সেই রেশ ধরে রেখে এদিন নায়িকা ঝলমলে মেরুনরঙা শাড়িতে। তাতে সোনালি জরির হাল্কা কাজ। নজর কেড়েছে তাঁর গয়না। হিরে-পান্নায় গাঁথা গলা ভর্তি হার। তার সঙ্গে মিলিয়ে কাঁধছোঁয়া দুল। সংস্থার কর্ণধার শুভঙ্কর সেন জানালেন, বরাবর এই ধরনের বড় বড় দুল পরতেই বেশি ভালবাসেন বিদ্যা। বিপণির মুখের পছন্দের কথা তাই নতুন গয়না তৈরির সময় মনে রাখেন তাঁরা। দীপাবলি আলোর উৎসব। একই সঙ্গে নিজেকে নতুন করে সাজিয়ে তোলার মরসুম। উৎসবের মরসুমে অভিনেত্রী তাই নানা ধরনের শাড়ি বেছে নিচ্ছেন। সেজে উঠছেন রকমারি অলঙ্কারে। এমনই কিছু সাজ তোলা রয়েছে দীপাবলির জন্যও। যদিও প্রযোজক স্বামী সিদ্ধার্থ রায় কাপুর তাঁর অভিনেত্রী স্ত্রীকে সব সাজেই পরমাসুন্দরী দেখেন। বলতে বলতে লজ্জারাঙা তিনি।


। 


তারপরেই কথায় কথায় ফের অভিনয়ের প্রসঙ্গ। ইদানীং বিদ্যার সামাজিক পাতায় মুঠো মুঠো রিলস। আর তাতে কৌতুক উপচে পড়ছে। কখনও নিজের শরীর নিয়ে রসিকতা। কখনও হাল আমলে যা যা ঘটছে তাই নিয়ে। বিদ্যা কি সচেতনভাবেই রিলসে কৌতুক ছড়িয়ে দিচ্ছেন? প্রশ্ন রাখতেই নায়িকার দাবি, ‘‘আমি হাসতে ভালবাসি, হাসাতেও। কৌতুকাভিনয় আমার খুব পছন্দ। কিন্তু কেউ আমায় সেই ধরনের চরিত্র আজ পর্যন্ত দিলেন না! রিলসে সেই ফাঁক ভরাটের চেষ্টা করি।’’ সাংবাদিকদের মাধ্যমে ফের বলিউড-টলিউড পরিচালকদের কাছে তাঁর অনুরোধ, ‘‘সবাইকে বলছি, এই ধরনের চরিত্র থাকলে দিন না। মন খুলে অভিনয় করি!’’ তাঁর দাবি, তিনি ক্ষুধার্ত অভিনেতা। নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় তাঁর প্রিয় খাবার। এবং এক্ষেত্রে কোনও বাছবিচার নেই। বলিউড বা টলিউড নয়, দুই ইন্ডাস্ট্রির সব পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করতে চান বিদ্যা। আফসোস, সত্যজিৎ রায় থাকলে তাঁকেই সবার আগে এই অনুরোধ জানাতেন!