বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সম্পূর্ণ খবর

খেলা | Super Cup Final: সুপার কাপ ইস্টবেঙ্গলের, বনবাস কাটিয়ে ১২ বছর পর সর্বভারতীয় ট্রফি ঢুকল ক্লাবতাঁবুতে

Sampurna Chakraborty | ২৮ জানুয়ারী ২০২৪ ১৭ : ১৬Sampurna Chakraborty


ইস্টবেঙ্গল - (নন্দকুমার, ক্রেসপো-পেনাল্টি, ক্লেইটন)

ওড়িশা এফসি - (মরিসিও, জাহু‌-পেনাল্টি)

সম্পূর্ণা চক্রবর্তী, ভুবনেশ্বর

অবশেষে শাপমুক্তি। কাটল বনবাস। কার্লেস কুয়াদ্রাতের হাত ধরে ১২ বছর পর সর্বভারতীয় ট্রফি ঢুকল ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে। রবিবার ওড়িশা এফসিকে ৩-২ গোলে হারিয়ে সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গল। এক গোলে পিছিয়ে থেকেও দুরন্ত প্রত্যাবর্তন। নাটকীয় ম্যাচের শেষে শেষ হাসি হাসলেন কুয়াদ্রাত। স্যালুট করতেই হবে স্প্যানিয়ার্ডকে। দলকে চ্যাম্পিয়ন করার পাশাপাশি সার্জিও লোবেরার বিরুদ্ধেও ব্যক্তিগত লড়াই জয়। এদিন ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল করেন নন্দকুমার, ক্রেসপো এবং ক্লেইটন। এক গোলে পিছিয়েও ২-১ গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। নির্ধারিত সময়ের অন্তিমলগ্নে ২-২ করে ওড়িশা। এরপর অতিরিক্ত সময় ৩-২ এ জয়। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে নাটকীয় জয়। শেষবার ২০১২ সালে শিলিগুড়িতে ট্রেভর মর্গ্যানের হাত ধরে ফেডারেশন কাপ জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। তারপর দীর্ঘ ১২ বছর ট্রফির খরা।‌ অবশেষে শাপমোচন। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজা মাত্র সেলিব্রেশন শুরু গ্যালারিতে। ঢাক, ঢোল, স্মোকবম্ব, স্লোগানে মাতে লাল হলুদ সমর্থকরা। স্টেডিয়ামে তখন একটাই ধ্বনি..ইস্টবেঙ্গল, ইস্টবেঙ্গল। আনন্দে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। সদস্য, সমর্থকদের জয় উৎসর্গ করেন। 

একেবারে যথাযত ফাইনাল। আদর্শ ফাইনাল যেমন হওয়া উচিত। দুই কোচের মহজাস্ত্রের লড়াইয়ে প্রথমার্ধে টেক্কা সার্জিও লোবেরার। গতি দিয়ে ইস্টবেঙ্গলকে বেসামাল করে দেয় ওড়িশা। প্রথমার্ধে রয় কৃষ্ণকে সামলাতে হিমশিম খায় লাল হলুদ রক্ষণ। গতি বাড়িয়ে বারবার বিপক্ষ বক্সে ত্রাস সৃষ্টি করেন। দলে এদিন একটা পরিবর্তন করেন কুয়াদ্রাত। কার্ড সমস্যা কাটিয়ে দলে ফেরেন বোরহা। ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। নন্দকুমারের শট বাঁচায় ওড়িশা গোলকিপার রালতে। তবে প্রথমার্ধের বাকি সময়টা ম্যাচের দখল ছিল ওড়িশার হাতে। ১১ মিনিটে ফাঁকায় গোল পেয়েও বাইরে মারেন রয় কর্ষ্ণ। তার চার মিনিট পরে আবার সুযোগ। গডার্ডের ক্রস থেকে বাইরে মারেন মরিসিও। মূলত কাউন্টার অ্যাটাকে আক্রমণে উঠছিল ওড়িশা। প্রথমার্ধে গোলের সুযোগ ছিল ইস্টবেঙ্গলের সামনেও। কিন্তু জোড়া মিস সিভেরিওর। একবার পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন। একবার ক্লেইটনের কর্নার থেকে তাঁর হেড বাইরে যায়। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে পার্দোর ফ্রিকিক বাঁচার বিপক্ষ কিপার। ম্যাচের ৩৯ মিনিটে এগিয়ে যায় ওড়িশা। জাহুর শট বিপদমুক্ত করতে গিয়ে মরিসিওর পায়ে তুলে দেন বোরহা। ডান পায়ের শটে গোল ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকারের। 

দ্বিতীয়ার্ধ ঘটনাবহুল। বিরতির পরই সিভেরিও এবং মন্দারের পরিবর্তে মহেশ এবং চুংনুঙ্গাকে নামান কুয়াদ্রাত। এটাই স্প্যানিশ কোচের মাস্টারস্ট্রোক, এবং ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া মুহূর্ত। জাতীয় দল ফেরত দুই ফুটবলার নামার পরই ম্যাচের রাশ ইস্টবেঙ্গলের হাতে চলে আসে। ৫২ মিনিটে সমতা ফেরে। রয় কৃষ্ণকে কাটিয়ে নন্দকুমারকে পাস বাড়ান মহেশ। বিপক্ষ কিপারকে ধরাশায়ী করে জালে বল রাখেন ডার্বির নায়ক। সমতা ফেরানোর পর ম্যাচ থেকে পুরোপুরি হারিয়ে যায় ওড়িশা। দশ মিনিটের মধ্যে ২-১। বক্সের মধ্যে বোরহাকে ফাউল করেন মুরতাদা ফল। পেনাল্টি দেন রেফারি। সাধারণত ক্লেইটন মারেন। কিন্তু সেমিফাইনালে স্পট কিক মিস করায় এদিন গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয় সল ক্রেসপোকে। মান রাখেন। পেনাল্টি থেকে গোল করেন ক্রেসপো। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে বোরহাকে ফাউল করায় লাল কার্ড (দ্বিতীয় হলুদ) দেখে মাঠ ছাড়েন মুর্তাদা ফল। কিন্তু শেষ ২২ মিনিট দশজনের ওড়িশাকে পেয়েও ফায়দা তুলতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। উল্টে গুটিয়ে যায়। একজন কম হওয়া সত্ত্বেও গোল পরিশোধের মরিয়া চেষ্টা চালায় লোবেরার দল। ৭০ মিনিটে মরিসিওর শট বাঁচায় প্রভসুখন গিল। তার দশ মিনিট পর আবার সুযোগ ছিল ওড়িশার সামনে। কিন্তু আমেয় রানাওয়াডের জোরাল শট বাঁচায় ইস্টবেঙ্গল কিপার।

দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি নন্দকুমারকে তুলে বিষ্ণুকে নামানো কুয়াদ্রাতের বড় ভুল। ডার্বির গোলদাতাকে কেন্দ্র করে ম্যাচটা ঘোরাফেরা করছিল। ওড়িশা রক্ষণকে চাপে রাখেন নন্দ। কিন্তু তাঁকে তুলে নিয়ে ওড়িশার সুবিধা করে দেন লাল হলুদ কোচ। অবশ্য কিছুক্ষণের মধ্যেই বিষ্ণুকে তুলে ভুল সংশোধন করেন। ম্যাচ শেষ হওয়ায় কয়েক সেকেন্ড আগে গিলের ব্লান্ডার। ৯০+৭ মিনিটে মরিসিওকে বক্সের মধ্যে ফাউল করেন। পেনাল্টি দেন রেফারি। একেবারে অন্তিমলগ্নে ২-২ করেন জাহু। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়। ৯৬ মিনিটে গোলের সুযোগ এসেছিল। সৌভিকের শট ক্রসপিসে লাগে। মুহূর্তের মধ্যে দ্বিতীয় হলুদ (লালকার্ড) দেখে মাঠ ছাড়েন সৌভিক। দু"দলই দশজনে হয়ে যাওয়ায় শেষ মিনিট পর্যন্ত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। কিন্তু শেষ হাসি হাসল ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ১১১ মিনিটে জয়সূচক গোল ক্লেইটন সিলভার। গোলকিপারের পাস থেকে পরবর্ত ফুটবলার নরেন্দ্র গাহলটের পা থেকে বল ছিনিয়ে নেন ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার। ডান পায়ের শটে নিখুঁত প্লেসিং ক্লেইটনের। জার্সি খুলে কর্নার ফ্ল্যাগের কাছে শুয়ে প্রাণোচ্ছল সেলিব্রেশন ব্রাজিলীয়র।‌




বিশেষ খবর

নানান খবর

শীঘ্রই আসছে...

নানান খবর

তারকাদের ব্যর্থতার দিনে অশ্বিনের শতরানের রহস্য কী? ...

টেস্ট শুরুর আগে কুলদীপকে অপহরণ? দুই তারকা ক্রিকেটারের ভিডিও ভাইরাল...

গম্ভীর-জমানায় উপকৃত হবে ভারতীয় ক্রিকেট, গুরু গৌতমের পাশে দ্রাবিড়...

প্রাথমিক ধাক্কা সামলে অশ্বিনের শতরানে প্রত্যাবর্তন, চালকের আসনে ভারত...

রোনাল্ডো পেলেন নতুন কোচ, আল নাসের থেকে সরলেন কাস্ত্রো, এলেন পিওলি ...

মোলিনাকে গো ব্যাক স্লোগান! পা দিয়ে রক্ত পড়ছিল, রেফারিং নিয়ে কী বললেন দিমিত্রি?...

একাধিক সুযোগ নষ্ট দিমিত্রিদের, এসিএলের প্রথম ম্যাচেই আটকে গেল মোহনবাগান...

ক্যান্সার কেড়ে নিল তারকাকে, বিশ্বফুটবলের নক্ষত্র সময়ের আগেই হারিয়ে গেলেন চিরতরে ...

পদ্মাপারে ক্রিকেট নিয়ে নেই উত্তাপ! ভারতে শেখ হাসিনা? প্রশ্ন নিয়েই ভারত জয় করতে মরিয়া বাংলাদেশ ...

ইউ টার্ন না পসন্দ, নিজের কোন সিদ্ধান্ত বদল করবেন না রোহিত? ...

দুই পেসার, তিন স্পিনার? কেমন হতে পারে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের প্রথম একাদশ?...

মেয়েদের টি-২০ বিশ্বকাপে বাড়ল পুরস্কার মূল্য, কত টাকা পাবেন স্মৃতি-হরমনপ্রীতরা?...

টেস্টের প্রস্তুতির মাঝেই জন্মদিনের উৎসবে মাতলেন রোহিত-কোহলিরা...

ওদের মজা নিতে দিন, সিরিজ শুরুর আগে বাংলাদেশকে নিয়ে বিদ্রুপ রোহিতের...

রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে তুলনা নয়, গম্ভীর এবং নতুন স্টাফ নিয়ে কী বললেন রোহিত? ...



সোশ্যাল মিডিয়া



01 24