আজকাল ওয়েবডেস্ক: গভীর রাতে নির্জন এলাকায় তরুণীকে ধর্ষণ বাইক চালকের। বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তরুণী। ফেরার পথেই ঘটে বিপত্তি। নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ করে ওই বাইক চালক। ধর্ষণের পর তাঁকে বাড়িতেও পৌঁছে দেয়। ঘণ্টা খানেক পরেই গ্রেপ্তার অভিযুক্ত। 

 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে চেন্নাইয়ে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার গভীর রাতে। এক বাইক চালকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ জানিয়েছেন ২২ বছরের এক তরুণী।‌মঙ্গলবার অভিযুক্ত বাইক চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, ধর্ষণের পর তরুণীকে বাড়িতেও পৌঁছে দেয় অভিযুক্ত বাইক চালক। ধৃতের নাম, শিবকুমার। ইতিমধ্যেই তার মোটরসাইকেলটি হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। 

 

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সোমবার রাতে এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন ওই তরুণী। পাক্কিকারানাই যাওয়ার জন্য ওই বাইক বুক করেন তিনি। বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার আগেই অভিযুক্ত বাইক চালক শিবকুমারকে অপেক্ষা করতে বলেছিলেন। যাতে তার বাইকে করেই বাড়ি পৌঁছতে পারেন। 

 

পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোররাতে বাড়ি পৌঁছনোর সময়েই বিপদের মুখে পড়েন তরুণী। অভিযুক্ত বাইক চালক তরুণীকে একটি নির্জন এলাকায় নিয়ে যায়। সেই সময়েই ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ধর্ষণের পর নির্যাতিতাকে আবারও বাইকে বসিয়ে, তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দেয় শিবকুমার। বাড়ি পৌঁছেই বাইক চালকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের ঘটনাটি স্বামীকে জানান তরুণী। তড়িঘড়ি করে মঙ্গলবার সকালে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। 

 

অভিযোগের ভিত্তিতে তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত বাইক চালককে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগটি সত্যি প্রমাণিত হয়েছে। বর্তমানে অভিযুক্ত যুবক পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। তদন্ত জারি রয়েছে। 

 

আরও পড়ুন: ১৫ তরুণীর নগ্ন ছবি হার্ড ডিস্কে! 'আমার ছবিও ছড়িয়ে দেবে না তো?', আতঙ্কে লিভ ইন সঙ্গীকে শেষ করলেন তরুণী

 

প্রসঙ্গত, গত ৯ অক্টোবর আরও একটি গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। মধ্যরাতে বাড়ি ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার ৫০ বছরের এক বিধবা প্রৌঢ়া। গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পূর্ব পরিচিতদের বিরুদ্ধেই। ঘটনার এক সপ্তাহ পর আসল ঘটনা প্রকাশ্যে এল। ২৪ ঘণ্টায় লাগাতার গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ জানিয়েছেন নির্যাতিতা। 

 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটে। পুলিশ জানিয়েছে, গত সপ্তাহে গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের গির সোমনাথ জেলার উনা শহরে। ৫০ বছর বয়সি এক বিধবা প্রৌঢ়া গণধর্ষণের শিকার হন। ২৪ ঘণ্টায় লাগাতার তিন যুবকের যৌন লালসার শিকার হন তিনি। তিন অভিযুক্তই পেশায় মৎস্যজীবী। বুধবার তিন অভিযুক্তকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

 

মঙ্গলবার অসহ্য পেটের যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন বিধবা প্রৌঢ়া। তাঁর পরিবারের সদস্যরাই তাঁকে নিয়ে গিয়েছিলেন হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকদের জানান, গত সপ্তাহে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন সম্প্রতি। সেই হাসপাতালের চিকিৎসকরা এরপর পুলিশে বিষয়টি জানান। এরপরই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। 

 

নির্যাতিতা সেদিন নববন্দর মেরিন থানায় গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। তিনজনের বিরুদ্ধে এফ আই আর দায়ের করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, দশ‌ বছর আগে প্রৌঢ়ার স্বামী মারা যান। তারপর থেকে একাই রোজগার করে সংসার চালান। শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন তিনি। 

 

পুলিশকে নির্যাতিতা প্রৌঢ়া জানান, এক সপ্তাহ আগে মান্ডভি চেকপোস্ট থেকে গ্রামের দিকে ফিরছিলেন।‌ রাতে কোনও যানবাহন পাননি। তখনই ওই তিন অভিযুক্ত বাইকে করে যাচ্ছিল। প্রৌঢ়ার সামনে বাইক নিয়ে পথ আটকায় তারা। তিনজনেই নির্যাতিতার পূর্ব পরিচিত ছিল। বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দিতেই প্রৌঢ়া রাজি হয়ে যান। 

 

বাইকে চড়ার পর খানিকটা যাওয়ার পরেই প্রৌঢ়াকে নিয়ে তিন যুবক নির্জন একটি জায়গায় চলে যায়। সেখানে প্রথমে তিনজনে ধর্ষণ করে তাঁকে। এরপর এক অভিযুক্তের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আবারও গণধর্ষণ করে প্রৌঢ়াকে। পরদিন বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার পরেও ক্রমাগত হুমকি দেয়। বিষয়টি বাইরে ফাঁস করলেই আবারও ধর্ষণের হুমকি দিয়েছিল প্রৌঢ়াকে।