আজকাল ওয়েবডেস্ক: মাউন্ট আবু থেকে পালালেও শেষ রক্ষা হল না। বিপুল অঙ্কের বিল ফাঁকি দিয়ে পালাতে গিয়ে গুজরাটের পাঁচ পর্যটককে পড়তে হলো জালে। চরম চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় ঘটনার জেরে। ঘটনার দিন ঠক কী ঘটেছিল? 

 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তেরা একটি রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন। সেখানে একাধিক সুস্বাদু খাবারও অর্ডার দিয়েছিলেন। তারপর ১১ হাজার টাকার কাছাকাছি বিল না মিটিয়েই দিলেন চম্পট। কিন্তু ভাগ্যক্রমে, তাঁরা ফেঁসে গেলেন ট্র্যাফিক-জ্যামের মধ্যে। খবর অনুযায়ী, গুজরাট থেকে রাজস্থানে এসছিলেন তাঁরা। শহরের এক নামকরা রেস্তোরাঁয় 'ডাইন অ্যান্ড ড্যাশ' করার চেষ্টায় ধরা হাতেনাতে ধরা পড়লেন অভিযুক্ত পর্যটকেরা। 

 

জানা গিয়েছে, পাঁচ জন পর্যটকের একটি দল, রাজস্থানের মাউন্ট আবুর কাছে সিয়াভার 'হ্যাপি ডে হোটেল'-এ উঠেছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজন মহিলাও ছিলেন। সেখানে এলাহি পদের ফরমাশ করে তাঁরা জমিয়ে ভোজ সারেন। কিন্তু যখন ১০,৯০০ টাকার বিল মেটানোর পালা এল, তখনই তাঁরা বেঁকে বসেন।

 

পুরোনো একটি কৌশল অবলম্বন করে দলটি বিল ফাঁকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় - 'রেস্টরুম ব্রেক'। জানা গিয়েছে, এক এক করে পাঁচ জন শৌচাগারে যাওয়ার নাম করে রেস্তোরাঁ থেকে বাইরে বেরিয়ে যান। এরপর একে একে তাঁরা গাড়িতে উঠে বসেন। তারপর রেস্তোরাঁ থেকে চম্পট দেন। 

আরও পড়ুন: প্রেমের সম্পর্কে আপত্তি! অন্যত্র বিয়ে ঠিক করল পরিবার? হবু বরের চোখের সামনে প্রেমিকের সর্বনাশ করল যুবতী 

 

এরপর পরিস্থিতি বুঝতে পেরে দ্রুত হোটেলের মালিক এবং ওয়েটার অভিযুক্তদের পেছনে ধাওয়া করেন। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গাড়িটি গুজরাট-রাজস্থান সীমান্তের দিকে আম্বাজির দিকে যাচ্ছে। শেষ রক্ষা হয়নি অভিযুক্তদের। ধরা পড়ে ট্র‍্যাফিক জ্যামে। 

আরও পড়ুন: এযুগের কুম্ভকর্ণ! বছরে ৩০০ দিন ঘুমিয়ে কাটান রাজস্থানের ব্যক্তি, কারণ খতিয়ে দেখতেই হাঁ চিকিৎসকেরা

খবর অনুযায়ী ট্র্যাফিকের মধ্য দিয়ে হোটেলের মালিক গুজরাট সীমান্ত পর্যন্ত অভিযুক্তদের তাড়া করেন। এরপর পুলিশের সহায়তায় হাতেনাতে পাঁচ জনকেই পাকড়াও করা হয় জ্যামে। জানা গিয়েছে, পরবর্তীতে পর্যটকেরা তাঁদের এক বন্ধুকে ফোন করে অনলাইনে টাকা পেমেন্টের মাধ্যমে বিল মিটিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। তবে এই ঘটনায় এলাকাজুড়ে চরম চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়৷ 

আরও পড়ুন: বিজ্ঞানের অসাধ্য সাধন! 'এ' গ্রুপের কিডনি বদলে গেল 'ও'-তে, এবার যে কোনও গ্রুপের অঙ্গই প্রতিস্থাপন করা যাবে রোগীর শরীরে?