আজকাল ওয়েবডেস্ক: পরপর একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। রাজস্থানের পর এবার দিল্লি। বিমানবন্দরের ভিতরে আগুন ধরে গেল বাসে। ঠিক কয়েক মিটার দূরে দাঁড়িয়ে বিমান। ঘটনায় তুমুল আতঙ্ক, হুড়োহুড়ি।
BREAKING: Air India bus catches fire at Delhi Airport Terminal 3 pic.twitter.com/zwBEGDydW7
— Vani Mehrotra (@vani_mehrotra)Tweet by @vani_mehrotra
দিল্লি বিমানবন্দরের T3-তে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান থেকে কয়েক মিটার দূরে বাসে আগুন লাগে। ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিচালনাকারী দিল্লি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লিমিটেড (DIAL) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটিকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলেছে। প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য, কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। জানা গিয়েছে, ওই বাসটি SATS এয়ারপোর্ট সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড পরিচালিত। বিভিন্ন বিমান সংস্থার জন্য নানা পরিষেবা প্রদান করত ওই বাস।
বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছে, আগুন লাগার পরেই, ARFF দল তাৎক্ষণিকভাবে তৎপর হয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে আগুন নিভিয়ে ফেলে। ঘটনার সময় বাসটি এক জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিল। চালক ছাড়া যাত্রী বাসের ভিতরে কোনও যাত্রী ছিলেন না। ফলে ভয়াবহ কোনও ঘটনা ঘটে যায়নি। বিমান বন্দরের সকল যাত্রী সুরক্ষিত রয়েছেন বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে, ফের বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল রাজস্থানে। মঙ্গলবার জয়পুরে এই দুর্ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। অনেকেই আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং তাদের জয়পুরের সাওয়াই মান সিং হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বাকি চারজন শাহপুরা উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দমকল বিভাগ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে এবং পুলিশ বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ ধ্বংসাবশেষের মধ্যে খোঁজ চালিয়ে যাত্রী এবং ক্ষতিগ্রস্তদের শনাক্ত করার জন্য পরিচয়পত্র পরীক্ষা করছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার একটি ১১ হাজার কিলোভোল্টের হাইটেনশন তার বাসটির উপর ছিড়ে পড়ে। এর ফলে বাসে উপস্থিত সকলেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন এবং বাসটিতে আগুন ধরে যায়। বাসটির দশজন শ্রমিক উত্তরপ্রদেশের বরেলি থেকে টোডির একটি ইটভাটায় কাজ করতে এসেছিলেন। বাসে তড়িদাহত হয়ে নিহত দু’জনের নাম নাসিম (৫০) এবং শাহিনম (২০)। তাঁরা বাবা ও মেয়ে। তাঁদের মৃতদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। জয়পুর সরকারি হাসপাতালে রেফার করা পাঁচজন ভুক্তভোগীর মধ্যে তিনজন মহিলা। নাম নাজমা, সিতারা এবং নাহিম। আহত আরও দু’জনের নাম আজার এবং আলতাফ।
রাজস্থানের সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট (এসডিএম) জানিয়েছেন, বাসটি অতিরিক্ত পণ্য বহন করে নিয়ে যাচ্ছিল। বাসের ছাদে অতিরিক্ত পণ্য রাখা ছিল, যা হাইভোল্টেজ তারে আঘাত করে। যার ফলে তারটি ছিড়ে বাসের উপর পড়ে এবং বাসটিতে আগুন ধরে যায়। তবে, গ্রামবাসীরা দাবি করেছেন যে তারটি মেরামত করার জন্য তাঁরা অনেক দিন ধরেই বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে অভিযোগ করে আসছেন এবং মেরামতেরও অনুরোধ করেছিলেন।
