আজকাল ওয়েবডেস্ক: ১২ বছর বয়সি নাবালকের গোপনাঙ্গ, গলা কেটে খুন। নিখোঁজ নাবালকের ক্ষতবিক্ষত, রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, দাদার উপর প্রতিশোধ নিতেই ভাইপোকে নির্মমভাবে খুন করেছেন কাকা। এই খুনের ঘটনায় জড়িত রয়েছেন কাকিমাও।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে ঝাঁসিতে। একটি ফার্ম থেকে ১২ বছর বয়সি এক নাবালকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার গলা ও গোপনাঙ্গ কাটা ছিল। কী কারণে নাবালককে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে, তা ঘিরে জোরকদমে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যা থেকে নাবালক নিখোঁজ ছিল। তখন থেকেই পরিবারের সদস্যরা তার খোঁজ শুরু করেন। সোমবার খুঁজতে খুঁজতে ওই ফার্মে চলে যান সদস্যরা। সেখানেই তল্লাশি চালানোর সময় নাবালকের ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত দেহটি নজরে পড়ে তাঁদের।
মৃত নাবালকের পরিবারের অভিযোগ, নৃশংসভাবে তাকে খুনের নেপথ্যে রয়েছেন কাকা অবতার ও কাকিমা মঞ্জু। পারিবারিক ঝামেলার কারণেই নাবালকের উপর প্রতিশোধ নিয়েছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে তারা। কী কারণে খুন করা হয়েছে, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই যে ঘর থেকে নাবালকের দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেখানে ফরেন্সিক টিম পৌঁছে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: ঠেলাঠেলি করেও বসার জায়গা নেই! সহযাত্রীকে কিল, চড়, ঘুষি, লোকাল ট্রেনের মহিলা কামরায় হুলস্থুল কাণ্ড
প্রসঙ্গত, গত মে মাসে এমন আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল। রাগারাগি, অশান্তি নিত্যদিনের সঙ্গী। এবার স্ত্রীর রাগ ভাঙাতে গিয়েই বিপত্তি ঘটল। শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীর রাগ ভাঙাতে গিয়েছিলেন স্বামী। তুমুল অশান্তির মাঝেই হঠাৎ স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ব্যক্তি।
জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সাদলিচক গ্রাম পঞ্চায়েতের বালুচর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, আহত ব্যক্তির নাম, আব্দুল রহমান (৩৮)। বালুচর গ্রামের বাসিন্দা তিনি। রাগের মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপে আব্দুলের গোপনাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। বর্তমানে আব্দুলের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জানা গেছে, স্ত্রীর সঙ্গে প্রায় নিত্যদিন আব্দুলের ঝামেলা হত। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দিন কয়েক আগেই দু'জনের মধ্যে তুমুল অশান্তি হয়। এরপর রাগ করে স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। রাগ কমলেই স্ত্রীকে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে গিয়েছিলেন আব্দুল। সেখানে গিয়েই ঘটল বিপত্তি।
শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীর সঙ্গে আবারও ঝগড়া, ঝামেলা হয় আব্দুলের। সূত্রের খবর, সেই অশান্তির সময়েই ধারালো অস্ত্র দিয়ে আব্দুলের গোপনাঙ্গে কোপ বসান স্ত্রী। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি করে বাড়ির সদস্যরা মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন তাঁকে। এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। এ ঘটনায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
