আজকাল ওয়েবডেস্ক: একদিনের দলে থাকলেও অস্ট্রেলিয়ায় সুযোগ মেলেনি খেলার। এবার দেশে ফিরেই মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতীয় টেস্ট দলের ওপেনার। মুম্বইয়ের হয়ে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ খেলবেন তিনি।
 
 এটা ঘটনা, সাদা বলের ক্রিকেটে সুযোগ না হলেও টেস্ট ক্রিকেটে যশস্বী এখন ভারতের প্রথম একাদশের নিয়মিত সদস্য। আগামী ১৪ নভেম্বর থেকে শুরু হবে ভারত–দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট সিরিজ। প্রথম টেস্ট ইডেনে। টেস্টের আগে প্রস্তুতির জন্য রঞ্জি ট্রফিকে বেছে নিচ্ছেন তিনি। রঞ্জি ট্রফির তৃতীয় ম্যাচে মুম্বইয়ের প্রতিপক্ষ রাজস্থান। ১ নভেম্বর থেকে সেই ম্যাচে খেলতে চান তরুণ ওপেনার। মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে যশস্বী তা জানিয়েও দিয়েছেন।
 
 রাজস্থানের বিরুদ্ধে খেলতে পারবেন না মুম্বইয়ের অন্যতম ওপেনার আয়ুষ মাত্রে। দক্ষিণ আফ্রিকা ‘এ’ দলের বিরুদ্ধে দু’টি চার দিনের ম্যাচের জন্য তিনি ভারতীয় ‘এ’ দলে সুযোগ পেয়েছেন। স্বভাবতই যশস্বী খেলতে চাওয়ায় সুবিধা হবে মুম্বইয়ের। উল্লেখ্য, গত মরসুমের শেষে মুম্বইয়ের হয়ে আর না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যশস্বী। গোয়ার ক্রিকেট সংস্থার সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তাও বলেছিলেন। পরে মুম্বইয়ের কর্তারা বুঝিয়ে তাঁকে থেকে যেতে রাজি করান।
 
 প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারিতে জম্মু–কাশ্মীরের বিরুদ্ধে শেষ রঞ্জি ম্যাচ খেলেছেন যশস্বী। সেই ম্যাচে রান পাননি। প্রথম ইনিংসে ৪ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬ রান করেন। তবে শেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে শতরান রয়েছে যশস্বীর। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে দিল্লিতে ১৭৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
 
 এদিকে, বুধবার থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে ভারত–অস্ট্রেলিয়া টি–টোয়েন্টি সিরিজ। তার আগে ভারতকে একটু হলেও চিন্তায় রাখবে অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের ফর্ম। শেষ সাত ম্যাচে মাত্র ৭২ রান করেছেন তিনি। তবে সূর্যের ফর্ম পাত্তাই দিতে চাইলেন না গৌতম গম্ভীর। হেড কোচের কথায়, ‘সত্যি বলতে, সূর্যের ফর্ম নিয়ে একটুও চিন্তিত নই আমি। সাজঘরে অতি আগ্রাসী মনোভাব বজায় রাখতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সেই দর্শন মেনে চললে ব্যর্থতা আসবেই। সমালোচনা এড়াতে সূর্য চাইলেই ৩০ বলে ৪০ রান করতে পারে। তবে একসঙ্গে বসে আমরা ঠিক করেছি, ব্যর্থ হলেও নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে পিছিয়ে আসব না।’ মানুষ এবং নেতা সূর্যের প্রশংসা শোনা গিয়েছে গম্ভীরের মুখে। বলেছেন, ‘মানুষ হিসাবে সূর্য দারুণ। ভাল মানুষেরাই ভাল নেতা হয়। ও আমাকে নিয়ে অনেক ভাল ভাল কথা বলে ঠিকই, তবে আমার ভূমিকা হল শুধু ম্যাচের পরিস্থিতি ওকে বুঝিয়ে দেওয়া। এটা সূর্যেরই দল। ওর খোলামেলা মানসিকতা টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য একদম সঠিক। মাঠের বাইরে আপনি কেমন তার প্রভাব পড়ে মাঠে এবং সাজঘরে। গত দেড় বছরে সূর্য সেটা দারুণ ভাবে ধরে রেখেছে।’ 
 
 গম্ভীর চান দলের মধ্যে ভয়ডরহীন মানসিকতা গড়ে তুলতে। আর তাই বলেছেন, ‘সূর্যের সঙ্গে প্রথম কথায় একটা বিষয়ে রাজি হয়েছিলাম, আমরা হারতে ভয় পাব না। সফলতম কোচ হওয়ার কোনও ইচ্ছা আমার নেই। আমি চাই ভারত সবচেয়ে বেশি ভয়ডরহীন দল হোক।’
 
 কোচ গম্ভীরের আরও সংযোজন, ‘এশিয়া কাপ ফাইনালের মতো বড় ম্যাচের আগে ক্রিকেটারদের বলে দিয়েছিলাম, একটা ক্যাচ ফেললে, একটা খারাপ শট খেললে বা খারাপ বল করলে কোনও সমস্যা নেই। মানুষ ভুল করেই। সাজঘরে যে কথা হচ্ছে সেটাই আসল। সূর্য আর আমি একটা ব্যাপারে সব সময়ে সহমত হই, কখনও ভুল করা নিয়ে ভয় পাব না। যত বড় ম্যাচ, তত বেশি ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলব। রক্ষণাত্মক মানসিকতা সব সময়ে বিপক্ষকে সুযোগ করে দেয়। যে প্রতিভা আমাদের দলে রয়েছে তাতে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে সমস্যা নেই।’ 
