আজকাল আধুনিক জীবনযাত্রায় অল্প বয়সেই ত্বকের সমস্যায় ভোগেন অনেকে। অকালেই ত্বকে পড়ছে বয়সের ছাপ। যার জন্য নামীদামি প্রসাধনী ব্যবহার করেও কোনও লাভ হয় না। সেক্ষেত্রে কয়েকটি ঘরোয়া ফেসপ্যাক দারুণ কার্যকরী হতে পারে, বিউটি ও হার্বাল চিকিৎসার পরিচিত নাম শেহনাজ হোসেন সম্প্রতি এই পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি জানান, প্রক্রিয়াজাত ফেস ক্রিম বা সিরাম সবসময় কার্যকর হয় না, বরং প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করলে ত্বকের বয়স কমিয়ে আনা সম্ভব। শাহনাজ হোসেনের মতে, সাতটি সহজলভ্য ফেস মাস্ক সপ্তাহে ১-২ বার ব্যবহার করলে ত্বককে তরুণ, উজ্জ্বল ও মসৃণ রাখা যায়।
১. মধু ও কোকোয়াঃ একটি পাত্রে এক চা চামচ মধু এবং দুই চা চামচ কোকো পাউডার যোগ করুন। এটি আপনার মুখে লাগান এবং ১৫ মিনিট বাদে ধুয়ে ফেলুন। তারপর ময়েশ্চারাইজার দিয়ে মুখ হাইড্রেট করুন।
আরও পড়ুনঃ স্বাদ বাড়াতে কফিতে নুন মিশিয়ে খাচ্ছেন? নতুন ট্রেন্ডে ঘনাচ্ছে মারাত্মক বিপদ, হারাতে পারেন প্রাণ!
২. শসা এবং মাচাঃ এক টেবিল চামচ শসার পেস্টের সঙ্গে এক চা চামচ মাচা গুঁড়ো এবং নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। পেস্টটি মুখে ১৫ মিনিটের জন্য রেখে ধুয়ে ফেলুন।
৩. হলুদ এবং ওটসঃ এক চা চামচ হলুদ নিন, এর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা ভিটামিন ই তেল ও এক টেবিল চামচ বাদাম তেল মিশিয়ে নিন। এতে ওটমিল পাউডার যোগ করুন। পেস্টটি লাগিয়ে ২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৪. অ্যাভোকাডো এবং এপ্রিকটঃ এই ফেস মাস্কটি একটি বার্ধক্য বিরোধী, ত্বককে টানটান এবং মসৃণ করে। নিয়মিত ব্যবহার করলে এটি ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়, ত্বকের ঝুলে পড়া কমায়, ত্বককে তরুণ দেখায়। একটি অ্যাভোকাডো এবং একটি পাকা এপ্রিকট ব্লেন্ডারে চটকে নিন। কয়েক ফোঁটা জলপাই তেল যোগ করুন। এটি আপনার মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। তারপর ভাল করে ধুয়ে ফেলুন।

৫. দই এবং লেবুঃ এটি আলতো করে ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে, ত্বকের কালো দাগ সরিয়ে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করে তোলে। দুই টেবিল চামচ দই, এক টেবিল চামচ লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই পেস্টটি মুখে ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৬. অ্যাভোকাডো এবং মধুঃ অ্যাভোকাডোর স্বাস্থ্যকর ফ্যাট একটি ময়েশ্চারাইজিং মাস্ক যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং মধুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ত্বকের জন্য উপকারী। এক টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে অর্ধেক পেস্ট করা অ্যাভোকাডো মিশিয়ে নিন। পেস্টটি আপনার মুখে ১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এরপর হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৭. কলা এবং দইঃ শেহনাজ বলেন যে নিয়মিত ব্যবহার করলে এই দুটি উপাদানই বার্ধক্য রোধের জন্য সেরা হতে পারে। দইয়ে প্রোটিন থাকে যা কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে। কলার ত্বকের বার্ধক্যের জন্য দায়ী ফ্রি র্যাডিকেলের প্রভাব আটকায়। দুই টেবিল চামচ দই অর্ধেক কলার সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এটি ১০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
