আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফ্লোরিডায় এক অদ্ভুত ও বিকৃত ঘটনার সাক্ষী থাকল পুলিশ। প্রতিবেশীর উপর প্রতিশোধ নিতে নিজের পোষা ময়ূরকে হত্যা করে, রেঁধে খেয়ে ফেলার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। নিউ ইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৬১ বছর বয়সী ক্রেগ ভোগটকে হাডসন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, তিনি প্রতিবেশীর বাড়ির ডাকবাক্সে একটি চিঠি রেখে যান, যেখানে নিজের পোষা দুই ময়ূরকে হত্যা করে রান্না করার বিশদ বিবরণ দেওয়া ছিল।
আন্তজার্তিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ভোগট দাবি করেছেন যে তাঁর প্রতিবেশী ময়ূরগুলিকে ক্রমাগত খাবার খাওয়াতেন বলেই তিনি এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, কী ভাবে ছুরি দিয়ে গলা কেটে ময়ূরদুটিকে হত্যা করার পর তিনি সেগুলিকে কড়াইয়ে রান্না করেছেন। অভিযোগ, এই চিঠিটি তিনি প্রতিবেশীকে হুমকি দেওয়ার জন্যই রেখেছিলেন। তিনি বোঝাতে চেয়েছিলেন, যদি তাঁর পোষ্যদের খাবার দেওয়া বন্ধ না করা হয়, তবে তিনি বাকি ময়ূরগুলিকেও একে একে মেরে ফেলবেন।
খবর মারফত জানা গিয়েছে, পোষা পাখিগুলি নিয়ে ভোগট এবং তাঁর প্রতিবেশীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ চলছিল। আগেও এই নিয়ে তাঁদের মধ্যে একাধিকবার বচসা হয়। গ্রেপ্তারির পর ভোগট পুলিশের কাছে এক চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি তাঁর বাকি সমস্ত পোষা ময়ূরকে মেরে ফেলবেন, যাতে কেউ সেগুলিকে হেফাজতে নিতে না পারে। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, "জেলে নিয়ে যাওয়ার সময় অভিযুক্ত বলেন যে, মুক্তি পাওয়ার পরেই তিনি তাঁর বাকি ময়ূরগুলিকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেছেন।"
ভোগটের বিরুদ্ধে পশুর প্রতি চরম নিষ্ঠুরতার দায়ে গুরুতর ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের নথি অনুযায়ী, পাস্কো কাউন্টিতে তাঁর বিরুদ্ধে আগে থেকেই ৪০ টির বেশি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে মদ্যপ অবস্থায় গোলমাল, ট্র্যাফিক আইন লঙ্ঘন এবং গুরুতর হামলার মতো অভিযোগও রয়েছে।
ভোগটের মালিকানায় ঠিক কতগুলি ময়ূর রয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। এখনও পর্যন্ত তাঁর হয়ে কোনও আইনজীবী নিয়োগ করা হয়নি বলে খবর মিলেছে৷
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র চাঞ্চল্য ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। পশুদের প্রতি সহানুভূতি এবং সম্মান প্রদর্শনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের পশু নির্যাতনের ঘটনার পিছনে প্রায়শই গভীর মানসিক সমস্যা বা অন্য কোনও উদ্দেশ্য কাজ করে।
