আজকাল ওয়েবডেস্ক: তিনি কলকাতা নাইট রাইডার্সের ভিনদেশি তারা। নিলামে ৬.৫ কোটি টাকার বিনিময়ে তাঁকে কেনা হয়েছিল। সবাই যখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল, একমাত্র শাহরুখ খানের ফ্র্যাঞ্চাইজি তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ২০২৫-এর মরশুমে তিনি খেলেন ২টি ম্যাচ। নেন একটি উইকেট। এত পর্যন্ত পড়ার পরে অনেকেই কৌতূহলী হয়ে উঠতে পারেন। তিনি আনরিখ নর্খিয়া। তাঁর হাতেই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের বর্ষসেরা পুরস্কার তুলে দিল দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড। ইডেন তাঁকে বহুবার বল করতে দেখেছে।
২০২৪ সালের ২৯ জুন ভারতের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছেন আনরিখ নর্খিয়া। তারপর জাতীয় দলের জার্সিতে নর্খিয়াকে আর টি-টোয়েন্টি খেলতে দেখা যায়নি।
ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা খেতাব জেতেনি। খুব কাছে গিয়েও হার মানতে হয় প্রোটিাদের। সেই টুর্নামেন্টে নর্খিয়া সেরা বোলার হন।
আরও পড়ুন: যশস্বী-আকাশের পরে ওয়াশিংটনের 'সুন্দর' ঝড়, বড় টার্গেট ইংল্যান্ডকে, কী হবে ওভালে?
বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচে তাঁর ঝুলিতে ছিল ১৫টি উইকেট। সেই কারণেই বর্ষসেরার খেতাব ৩১ বছর বয়সী নর্খিয়ার হাতে তুলে দিল দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড। এহেন নর্খিয়াকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “কেকেআর সেই দল যারা এ বার আমার পাশে ছিল।'' ২০১৯ সালে কেকেআর স্কোয়াডে ছিলেন নর্খিয়া। চোটের জন্য একটি ম্যাচেও নামতে পারেননি তিনি। তিনি চোটপ্রবণ। চোটের লাল চোখ দেখে বারংবার সবুজ মাঠ থেকে তাঁকে ছিটকে যেতে হয়েছে।

বিশ্বকাপের পর পিঠের নীচের অংশে স্ট্রেস ফ্র্যাকচার হয় নর্খিয়ার। সেই কারণে প্রায় এক বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে তিনি দূরে সরে ছিলেন। ২০২৩ সালে পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপেও নামতে পারেননি এই প্রোটিয়া তারকা। বিশ্বকাপের পরে পায়ের আঙুল ভাঙে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ঘরোয়া সিরিজ থেকেও তিনি ছিটকে যান। ওই স্ট্রেস ফ্যাকচার তাঁকে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নামতে দেয়নি।
জিম্বাবোয়েতে গত মাসে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকেও বাদ পড়েন নর্খিয়া। একমাত্র আইপিলে তিনি খেলেন মাত্র ২টি ম্যাচ। কেকেআর জার্সিতে দ্বিতীয়বার খেললেন এই প্রোটিয়া তারকা।

এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার পিঠে সেঁটে থাকা চোকার্স তকমা দূর করেন অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে খেতাব জেতে নেলসন ম্যান্ডেলার দেশ। যে দেশ প্রতিটি মেগা টুর্নামেন্টে মুখ থুবড়ে পড়ত, যাদের নাম দেওয়া হয়েছিল চোকার্স, সেই দক্ষিণ আফ্রিকা ইতিহাস গড়ে ওভালে। মিম থেকে মিথে পরিণত হওয়া বাভুমা দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ষসেরা টেস্ট খেলোয়াড়ের পুরস্কার পান। ফাইনালে তিনি পায়ের চোট নিয়ে লড়ে যান। তাঁর সেই লড়াই ভোলার নয়। ২০২৫-২৭ টেস্ট সাইকেলে বাভুমা ৭১১ রান করেন। তাঁর ব্যাট কথা বলে। দেশকে ফাইনালে পৌঁছে দিতে অনন্য ভূমিকা নেন বাভুমা।
দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ষসেরা খেলোয়াড় হন কেশব মহারাজ। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ধারাবাহিকভাবে পারফরম্যান্স করে গিয়েছেন তিনি। সেই কারণেই তাঁর মাথায় উঠেছে মহারাজের মুকুট।
আরও পড়ুন: সিরাজ ইয়র্কারে ইংল্যান্ডের সাজঘরে বাড়ল অস্বস্তি, ইতিহাস গড়ে কি জিততে পারবেন ডাকেটরা?
