আজকাল ওয়েবডেস্ক: ওভালে চলছে ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের পঞ্চম টেস্ট। সিরিজে সমতা ফেরানোর মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে শুভমন গিল অ্যান্ড কোম্পানি। ভারতীয় দল থেকে বহু দূরে যুজবেন্দ্র চাহাল। পুরোনো স্মৃতি ভাগ করে নিলেন তারকা স্পিনার। তিনি জানান, ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারের পর দলের সব ক্রিকেটারকেই কাঁদতে দেখেন তিনি। বাদ ছিলেন না বিরাট কোহলিও। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে রিজার্ভ ডেতে ২৪০ রান তাড়া করতে পারেনি টিম ইন্ডিয়া। ১৮ রানে হারে। এবার সেই প্রসঙ্গে অজানা গল্প ভাগ করে নিলেন যুজি। বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মার নেতৃত্বের ধরন নিয়েও অনেক অজানা তথ্য জানান তারকা স্পিনার। উঠে আসে ড্রেসিংরুমের অনেক গল্প। যা এতদিন প্রকাশ্যে আসেনি।
একটি পডকাস্টে চাহাল বলেন, 'রোহিত ভাইয়াকে মাঠে দেখতে খুব ভাল লাগে। নিজেকে যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। ও খুব ভাল অধিনায়ক। বিরাট ভাইয়া এনার্জি নিয়ে আসে। একই এনার্জি প্রতিদিন ধরে রাখে। সেটা বাড়তে পারে, তবে কমবে না। প্রতিদিন একই এনার্জি।' চাহালকে প্রশ্ন করা হয়, বিরাটকে কোনওদিন কাঁদতে দেখেছেন কিনা? তার উত্তরে ২০১৯ বিশ্বকাপের উল্লেখ করেন। চাহাল বলেন, '২০১৯ বিশ্বকাপে আমি ওকে বাথরুমে কাঁদতে দেখেছি। আমি শেষ ব্যাটার ছিলাম। আমি যখন ওর পাশ দিয়ে যাই, ওর চোখে জল ছিল। ২০১৯ এ আমি দলের সবাইকে বাথরুমে কাঁদতে দেখেছি।'
সেমিফাইনালে নিজের পারফরম্যান্স নিয়েও হতাশ ছিলেন চাহাল। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১০ ওভারে ৬৩ রান দিয়ে মাত্র ১ উইকেট পান। সেই দুঃখ আজও ভোলেননি। চাহাল বলেন, 'মাহি ভাইয়ের শেষ ম্যাচ ছিল। আমার আরও ভাল করা উচিত ছিল। আমার এখনও আফশোস হয়। আমি আরও ভাল বল করতে পারতাম। ১০-১৫ রান কম দিতে পারতাম। কিন্তু কখনও ভাবার সময় থাকে না। আমার এখন মনে হয়, সেদিন মাথা ঠাণ্ডা রাখতে পারলে হয়ত আরও ভাল বল করতে পারতাম। আমি নিজের সেরাটা দিয়েছি। তবে মঞ্চটা বড় ছিল। এরকম ম্যাচে নিজের ১০-১৫ শতাংশ বাড়তি দেওয়া উচিত।' প্রাক্তন স্ত্রী ধনশ্রী ভর্মাকে নিয়েও এদিন কথা বলেন চাহাল। চলতি বছরের মার্চে মুম্বইয়ের ফ্যমিলি কোর্ট তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ মঞ্জুর করে। পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবনের পর দু'জনের পথ আলাদা হয়। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন দু'জন। বিবাহবিচ্ছেদের আবেদনে তাঁরা জানান, ২০২২ সাল থেকে তাঁরা আলাদা থাকছে। চাহাল জানান, দীর্ঘদিন তাঁর সঙ্গে ধনশ্রীর কোনও যোগাযোগ নেই। ফোনে বা মেসেজে কথা হয়নি। জানান, ২০২৪ টি-২০ বিশ্বকাপের পর তাঁদের মধ্যে শুধুই লৌকিকতার সম্পর্ক ছিল। তাঁদের মধ্যে দেখা-সাক্ষাৎ, কথাবার্তা কিছুই ছিল না।
