সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
Kaushik Roy | ০৫ জানুয়ারী ২০২৪ ১৩ : ৫৫Kaushik Roy
মিল্টন সেন: থেমে থাকেননি। বাঁকা বিমেই চালিয়েছেন টানা অনুশীলন। অবশেষে মিলেছে সাফল্য। ব্যালান্সিং জিমন্যাস্টিকসে জাতীয় প্রতিযোগিতার আসরে সোনা জয় করলেন হুগলির ঋতু। ঝুলিয়ে এসেছে একের পর এক পদক। এবারে বিশ্বকাপের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অলিম্পিক থেকে পদক আনতে চান তরুণী জিমন্যাস্ট। মাত্র চার বছর বয়সে বাঁশবেড়িয়া খামারবাড়ি এলাকার তরুণ সমিতিতে জিমন্যাস্টিকসে হাতে খড়ি হয় ঋতুর। তাঁর বাবা নিত্যানন্দ দাস স্থানীয় ট্যায়ার বাগান বাজারে সবজি বিক্রি করেন। মা রিনা দাস গৃহবধূ। পরিবারে সেভাবে আর্থিক সচ্ছলতা নেই।
একেবারে দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসে বর্তমানে ২২ বছরে পা দিয়েছে ঋতু। ইতিমধ্যেই তার ঝুলিতে উঠেছে খেলো ইন্ডিয়া এবং সিনিয়ার ন্যাশনালের সোনার পদক। সম্প্রতি ২ থেকে ৪ জানুয়ারি ওড়িশায় জাতীয় জিমন্যাস্টিকসে পদক প্রাপ্তি হয় তার। কোচ মৌনা কর্মকার তাঁর পড়াশোনা থেকে শুরু করে কোচিং সব কিছুরই দায়িত্ব নিজে নিয়েছেন। বর্তমানে ঋতু পাঞ্জাবের অমৃতসরে গুরুনানক দেব বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষায় স্নাতক স্তরে পড়েন। সেখানে খেলার জন্য বৃত্তিও পান। বৃহস্পতিবার সিনিয়র ন্যাশনালে দীপা কর্মকার ও প্রণতি নায়েকের মতো অলিম্পিয়ানরা ঋতুর পারফরম্যান্সের তুলনায় অনেকটাই ম্লান হয়ে যান। কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায় তার ঝুলিতে ইতিমধ্যেই একাধিক জাতীয় পুরস্কার উঠে এসেছে।
রয়েছে ২০২০ সালে গুয়াহাটিতে খেলো ইন্ডিয়া যুব গেমসে সোনা, ২০২২ পাঞ্জাবের জলন্ধরে সিনিয়ার ন্যাশনালে ব্যালেন্সিং বিমে সোনা। আবার ওই বছরেই অমৃতসরে সর্বভারতীয় আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতায় অলরাউন্ড শিরোপা জিতেছেন হুগলির তরুণী। ত্রিপুরার দীপা কর্মকার অল্পের জন্য পদক হাতছাড়া করেছিলেন। ঋতু সেই অলিম্পিক থেকেই ভারতের জন্য পদক আনতে চান। তাই চলছে কঠোর অনুশীলন। কোচ মৌনা কর্মাকার জানান, যে বিমটায় ঋতু অনুশীলন করেন সেটি ধনুকের মত বেঁকে গেছে। সেটাতে অনুশীলন করা খুবই কষ্ট সাধ্য। সাধারণ মানুষ এবং খেলা অনুরাগীদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন তিনি। বলেছেন যাতে বাঁশবেড়িয়া খামারপাড়ায় জিমন্যাস্টিকসের পরিকাঠামো আরও ভাল করা যায় সেদিকে নজর দেওয়া দরকার। তাহলেই আগামীদিনে ঋতুর মত আরও অনেক জিমন্যাস্ট উঠে আসবে।
ছবি: আজকাল