আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঘড়িতে তখন রাত ৯ টা ৩৫ মিনিট। মাঠের ধারে ডাগআউটের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন রিঙ্কু সিং। হাতে ছিল বেশ কিছু কাগজপত্র। দমকা হাওয়ায় রিঙ্কুর হাত থেকে কাগজপত্র উড়ে ঢুকে পড়ল মাঠে। কেকেআরের ফিনিশার হতবাক। তখন সবে শুরু হয়েছে নাইটদের প্রথম ওভার। ক্রিজে সুনীল নারিন এবং রহমতুল্লা গুরবাজ। এদিকে কেকেআরের স্ট্র্যাটেজির কাগজপত্র উড়ছে মাঠে। সাইডলাইনে দাঁড়িয়ে পুরো হতবাক রিঙ্কু। সেগুলো জোগাড় করার জন্য ছুটলেন এদিক ওদিক। প্রায় মাঠে ঢুকে পড়ছিলেন। ডাগআউটে কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতও হতবাক। তার পরের দশ মিনিট যা ঘটল, সম্প্রতিকালে ইডেনে এই চিত্র দেখা যায়নি। 

তুমুল বেগে ঝড়। শুরুতে ঝিরঝিরে বৃষ্টি। সঙ্গে সঙ্গে মাঠ কর্মীরা ছুটলেন কভার নিয়ে। কিন্তু এখানেই বিপত্তি। পুরো মাঠ কভার করা গেল না। লোক সমেত উড়ে গেল কভার। তুমুল ঝড়ে নাস্তানাবুদ মাঠ কর্মীরা। পুরো মাঠ ঢাকা সম্ভব হল না। প্রবল হাওয়ায় কভার ধরে রাখতে ব্যর্থ মাঠ কর্মীরা। পঙ্কজ রায় স্ট্যান্ডের দিকের কভার উড়ে গ্যালারিতে। ততক্ষণে বেড়েছে বৃষ্টির তেজ। সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ। তারমধ্যে মাঠের অর্ধেক অংশ কভারহীন। ইট দিয়ে কভার আটকানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সেটাও সম্ভব হয়নি। দশ মিনিট ধরে চলে এই তাণ্ডব। সৌরভ গাঙ্গুলির আমলে ইংল্যান্ড থেকে আনা কভার ক্ষতিগ্রস্থ হয়। দুটো কভার ছিঁড়েও যায়।

২০০৮ সালে উদ্বোধনী আইপিএলে কেকেআর-চেন্নাই সুপার কিংস ম্যাচে এরকম ঝড়-বৃষ্টি হয়েছিল। সেদিন কভারে চাপা পড়েছিলেন প্রসূন মুখার্জি। এদিন ১৭ বছর আগের স্মৃতি ফিরল। রাত ৯ টা ৪৫ মিনিটের পর বৃষ্টির তেজ বাড়ে। ইতিমধ্যেই মাঠে জল জমে গিয়েছে। আদৌ ম্যাচ হবে কিনা সেই নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২০১ রান তোলে পাঞ্জাব। ১২.০৫ মিনিট পর্যন্ত কাটঅফ টাইম। অন্তত পাঁচ ওভার করার চেষ্টা করা হবে। শোনা যাচ্ছে, পাঁচ ওভারের ম্যাচ হলে সেক্ষেত্রে কেকেআরের টার্গেট হতে পারে ৬১।