কৌশিক রায়: রাত পোহালেই কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হবে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ। বহুদিন ধরেই চলছে প্রস্তুতি। শনিবার বিকেলে প্যারেড গ্রাউন্ডে দেখা গেল গীতাপাঠের একঝলক রিহার্সাল। রবিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে গীতাপাঠের অনুষ্ঠান। চলবে অন্তত ২.৩০ টা পর্যন্ত। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে ওম লেখা পতাকায় কার্যত ছেয়ে গিয়েছে ময়দান চত্বর। সনাতন সংস্কৃতি সংসদ, মতিলাল ভারততীর্থ সেবা মিশন আশ্রম এবং অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদের তরফে আয়োজন করা হয়েছে এই গীতাপাঠ অনুষ্ঠানের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও আসার কথা ছিল রবিবারের গীতাপাঠে। কিন্তু "ব্যস্ততার" কারণে তিনি আসতে পারছেন না। তাতে যদিও উৎসাহে ভাটা পড়েনি সাধারণ সমর্থকদের। শনিবার বিকেলে প্রস্তুতি দেখতে ব্রিগেডে এসেছিলেন দিলীপ ঘোষ, সজল ঘোষ। তাঁদের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী আসছেন না তো কী হয়েছে, লক্ষ লক্ষ মানুষ আসবেন গীতাপাঠ অনুষ্ঠানে। তাঁদের দাবি, এর সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক নেই। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সবাইকেই। দিলীপ ঘোষ জানালেন, আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকেও। রবিবার মঞ্চে থাকবেন ১৫০০ সাধু। তবে এই গীতাপাঠ প্রসঙ্গে এদিন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, "লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ হলে কি দেশে বেকারত্ব কমবে? গীতাপাঠ হলে দ্রব্যমূল্য কি কমবে? পরিযায়ী শ্রমিক কমে যাবে? যদি হয় তাহলে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠকে আমি স্বাগত জানাব। এই কর্মসূচির সঙ্গে দেশের অর্থনীতি, বিকাশের কী সম্পর্ক আছে আমি জানি না। যদি থাকে তো ভাল।"