বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫
সম্পূর্ণ খবর
AD | ১১ এপ্রিল ২০২৫ ১৫ : ৫৮Abhijit Das
সম্পূর্ণা চক্রবর্তী
রাত পোহালেই আইএসএলের মেগা ফাইনাল। প্রিয় মোহনবাগানের মুখোমুখি জামাই সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরু এফসি। ধর্মসঙ্কটে সুব্রত ভট্টাচার্য। ভারতীয় ফুটবল, আইএসএল ফাইনাল, সুনীলকে নিয়ে আজকাল ডট ইন-এর সঙ্গে খোলামেলা আড্ডায় সুব্রত ভট্টাচার্য।
প্রশ্ন: আইএসএল ফাইনালে মোহনবাগান, প্রতিপক্ষ বেঙ্গালুরু। শনিবার খেলা দেখতে যাবেন?
সুব্রত: না, খেলা দেখতে যাব না। আমি খেলা ছাড়ার পর খুব কম মাঠে গিয়েছি খেলা দেখতে। যেখানে বাংলার খেলোয়াড় নেই, সেই খেলা দেখতে গিয়ে লাভ কী!
প্রশ্ন: দেশের হয়ে সুনীল ছেত্রীর বিদায়ী ম্যাচেও মাঠে যাননি, বাড়িতে একা ছিলেন..কেন?
সুব্রত: তেমন কোনও কারণ নেই। এমনিই যাইনি। শুধু একজন সুনীল ছেত্রীকে দিয়ে তো হবে না। আগে একদিকে চুনী গোস্বামী থাকলে, অন্যদিকে বলরাম থাকত। একদিকে জার্নাল সিং থাকলে, অন্যদিকে অরুণ ঘোষ থাকত। সব জায়গাতেই ভাল খেলোয়াড়ের প্রাচুর্যতা ছিল। খেলার মধ্যে আর সেই সৌন্দর্য নেই। খেলার মধ্যে সেই সংকল্প নেই। সুনীল শেষ প্রতিভা। ও খেলা ছেড়ে দিলে, ফুটবল ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
প্রশ্ন: ময়দানের প্রিয় বাবলু দার মাঠে খেলা দেখতে যাওয়া নিয়ে হঠাৎ অনীহার কারণ কী? আগে একাধিকবার আপনাকে মোহনবাগান মাঠে খেলা দেখতে যেতে দেখেছি..
সুব্রত: খুব ভাল খেলা আর হয় না। না একটা সুরজিৎ সেনগুপ্ত আছে, না একটা কৃষানু দে আছে। খেলার মধ্যে যে গুণ থাকা দরকার, সেটা কতটা আছে জানি না। মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল নামটার জন্য মানুষের একটা আগ্রহ আছে। কিন্তু খেলায় নৈপুণ্য নেই। গ্রামাঞ্চলে যে প্রতিভা আছে, তার অন্বেষণ হয় না। এই ধরনের প্রতিভাকে সামনে আনা হয় না।
প্রশ্ন: আগের মোহনবাগানের সঙ্গে এখনকার মোহনবাগানের পার্থক্য কী? আইএসএলে চাকচিক্য এলেও আবেগ কি আগের তুলনায় কমে গিয়েছে?
সুব্রত: দলে একাধিক বিদেশি প্লেয়ার। আমরা কোনওদিন বিদেশি নিয়ে খেলিনি। আমরা যতদিন খেলেছি, বিদেশি প্লেয়ার ছিল না। বিদেশিদের জন্য দেশের প্লেয়ারদের মান কমে যাচ্ছে। বিদেশি এসে দেশের খেলাকে সমৃদ্ধ করবে, এটা হতে পারে না। ব্রাজিলে বেশি ব্রাজিলের প্লেয়ার। আমাদের এখানে কোথায়? একটা ছেলে আছে, সুনীল ছেত্রী। আর কোনও প্লেয়ার নেই, যার নাম একবারে বলা যায়। এই ফুটবলের বিশ্লেষণ তাৎক্ষণিকভাবে করা যায়। দেখলাম, বললাম, ঠিক আছে। কিন্তু এদের খেলা কেউ মনে রাখতে পারবে না। একটা সুরজিৎ সেনগুপ্ত, চুনী গোস্বামী বা একটা পরমল দে কোথায়! পাঁচের দশকে সনৎ শেঠ, কেষ্ট পালের মতো অলিম্পিয়ানরা ছিল। এরা মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলকে অনেক উঁচু জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল। প্রত্যেক অধ্যায় এমন কিছু খেলোয়াড় এসেছে। কিন্তু আজকে কোথায়? মানুষের ফুটবলের প্রতি আগ্রহ কমে যাচ্ছে।
প্রশ্ন: এমন পরিস্থিতির সুরাহা কি?
সুব্রত: পাঁচের দশকে ২৪ পরগনা থেকে মহাবীর প্রসাদ, কেষ্ট পালের মতো দু'জন অলিম্পিয়ান ছিল। তাঁদের দেখাদেখি অনেক খেলোয়াড় এসেছিল। যেমন প্রশান্ত মিত্তির, অশোক ব্যানার্জি। তাঁদের আদর্শ মেনে অনেকে ফুটবলে আসত। প্রতিভাবান ফুটবলার খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারের উচিত কয়েকজন কোচ বেছে নিয়ে তাঁদের হাতে ফুটবলার তুলে আনার কাজ সঁপে দেওয়া। আমি আগেও একবার বলেছিলাম, জেলা থেকে খেলোয়াড় তুলে আনতে হবে। কয়েকজন কোচ রাখতে হবে, যাঁরা ফুটবলার বেছে নেবে। যেখানে কোনও পক্ষপাতিত্ব থাকবে না। আগে যাঁরা অলিম্পিক খেলেছেন, তাঁদের মধ্যে অধিকাংশ ছোট জায়গা থেকেই বড় জায়গায় এসেছে। সেই আগ্রহ, প্রচেষ্টা আর নেই।
প্রশ্ন: মোহনবাগানকে সমর্থন করবেন? না জামাইকে? কে জিতলে বেশি খুশি হবেন?
সুব্রত: খেলা ছেড়ে দেওয়ার পর সেইভাবে আমি মনে প্রাণে কাউকে সমর্থন করিনি। কেউ লিখতে বললে তখন দেখতে হয়। যে ভাল খেলবে, সেই দলকে সাপোর্ট করব। আর সেইভাবে কোনও দলকে সমর্থন করা যায় না। কলকাতা ফুটবলে আমার থেকে বেশি ম্যাচ কেউ খেলেনি। নতুন করে কিছু করার, দেখার আর ইচ্ছে নেই। মোহনবাগান ভাল খেললে ভাল। জিতলে ভাল। হারলেও ঠিক আছে। খেলায় হার-জিত আছে। খুশি হওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই। যে ভাল খেলবে, সে জিতবে। সুনীল যদি ভাল খেলে জিতবে।
প্রশ্ন: আপনার কোচিংয়ে ফুটবলে হাতেখড়ি। ছোট্ট সুনীল থেকে 'দ্য সুনীল ছেত্রী' হয়ে ওঠা..তখন কি বুঝেছিলেন এই ছেলেটাই একদিন ভারতীয় ফুটবল কাঁপাবে?
সুব্রত: সুনীলকে আমিই তুলে এনেছি। ও আমার কোচিংয়েই মোহনবাগানে এসেছে। আমি ওর খেলা জানি। ওর খেলার গুণমান আমার জানা আছে। একদিন প্র্যাকটিসে ওকে দেখে কর্তাদের বলেছিলাম, ছেলেটা ভাল, একে নিয়ে নাও। ধীরে ধীরে ও নিজের সাধনায়, নিষ্ঠায়, অধ্যাবসায় এই জায়গায় এসেছে। যাঁদের অধ্যাবসা, সাধনার মধ্যে সততা আছে, নিষ্ঠা আছে, চেষ্টা আছে, তাঁরা বড় হবেই। সুনীলকে আমি প্রথমদিন থেকেই দেখছি। ওর মধ্যে যে নিষ্ঠা, অধ্যাবসা, ভাবনা আছে, সেটা ওকে প্রতিষ্ঠা দিয়েছে।
প্রশ্ন: অবসর ভেঙে জামাইয়ের ফেরা কি সমর্থন করছেন?
সুব্রত: নিশ্চয়ই। ও যদি চায়, আরও কয়েকবছর খেলতে পারে। অবসর ভেঙে ফিরে এসে ভাল করেছে। এত তাড়াতাড়ি ছাড়বে কেন? চলচ্চিত্র জগতেই হোক, বা অন্য কোনও ক্ষেত্রে, যদি ক্ষমতা থাকে, খেলা চালিয়ে যেতে পারে। রেকর্ড থাকা ভাল। আমি অবসর নেওয়া সমর্থন করি না। ওর অবসর নেওয়া নিয়ে আমার সমর্থন ছিল না। আমি নিজে ১৯৯১ সালে অবসর নিই। আমি নিতে চাইনি। বলা হয়েছিল, যে ফর্মে ছিলাম, সেটা থাকতে থাকতে ছেড়ে দিতে। আজকে সুনীল ছাড়া ভারতীয় ফুটবল চলবে না। তাই খেলা ছাড়বে কেন? ক্লাব পর্যায় খেলা অনেক কঠিন। কারণ, হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ জনতা ক্লাবকে সমর্থন করে। ভারতীয় দল হেরে গেলেও কেউ কিছু বলে না। ক্লাব পর্যায় হারলে অশ্লীল কথা শুনতে হয়। যতদিন বুঝবে পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারবে, ততদিন খেলুক।
প্রশ্ন: সুনীলের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক ঠিক কেমন? প্রাক্তন কোচ-ফুটবলারের না শ্বশুর-জামাইয়ের?
সুব্রত: আমাদের সম্পর্ক ঠিক সেরকম না। আমাদের কথাবার্তা মূলত খেলাধুলো নিয়েই হয়। বিশেষ করে ফুটবল নিয়ে। কলকাতায় খেলতে এলেই বাড়িতে আসে। আমার মেয়েও আসে। আমরা কিছুটা পারিবারিক সময় কাটানোর সুযোগ পাই।
প্রশ্ন: এতদিনে কেন কোনও স্ট্রাইকার তৈরি হল না, অবসর ভেঙে সুনীলের ফেরা কি ভারতীয় ফুটবলের ব্যর্থতা আরও প্রকট করছে?
সুব্রত: ব্যর্থতা বলব না। আমি তেমন মনে করি না। সুনীল ফিরতেই পারে। ওর এখনও খেলার মতো যোগ্যতা, ক্ষমতা আছে। স্ট্রাইকার তৈরি করার দায়িত্ব ক্লাবের। ক্লাব কেন করতে পারছে না। এখনকার কর্তাদের প্লেয়ার চেনার, তৈরি করার ক্ষমতা নেই। যা ধীরেন দের ছিল।
প্রশ্ন: ১১ বছর ধরে আইএসএল চলছে। তা সত্ত্বেও দেশীয় স্ট্রাইকার তৈরি হচ্ছে না। আদৌ কি আইএসএলে ভারতীয় ফুটবল উপকৃত হচ্ছে?
সুব্রত: আমাদের ফুটবল বর্তমানে যে জায়গায় আছে, সেখানে আইএসএল সামঞ্জস্য নয়। এইভাবে ফুটবলের উন্নতি হবে না। কলকাতার নিজস্ব যে কলকাতা লিগ, তারই কোনও গুরুত্ব নেই।
প্রশ্ন: আগের বছর ফাইনালে মুম্বইয়ের কাছে হেরেছিল মোহনবাগান, এবারের দলটার মধ্যে কি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রসদ আছে?
সুব্রত: আমি এবার খুব বেশি খেলা দেখিনি। তবে মোহনবাগান একটা ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। বিশেষ করে ঘরের মাঠে। সমর্থকদের সামনে খেলা। অবশ্যই কিছুটা এগিয়ে থেকে শুরু করবে।
নানান খবর

নানান খবর

রহস্য মৃত্যু ফুটবলারের, এগারো তলা থেকে পড়ে প্রাণ হারালেন গ্যাবন জাতীয় দলের স্ট্রাইকার

কেকেআর-পাঞ্জাব ম্যাচে অদ্ভুত ঘটনা, ভেঙ্কটেশ আইয়ার নিলেন এক রান, স্কোরবোর্ডে যোগ হল পাঁচ রান, কিন্তু কেন?

একই দলের হয়ে এবার খেলবেন মেসি ও রোনাল্ডো, কোন ক্লাবের জার্সিতে দেখা যাবে দুই মহাতারকাকে?

অলিম্পিকে মেলার মাঠে হবে ক্রিকেট, কোহলির ছবি দিয়ে বিরাট প্রচার, তারকার ছবিতেই যত রহস্য

'একদিনের জন্য বাবা হব', আইপিএলের মাঝেই ইচ্ছাপ্রকাশ তারকা ভারতীয় ক্রিকেটারের

মোহনবাগানে ট্রফির মেলা, নববর্ষে জমজমাট ময়দান, মিলে গেল ফুটবল-ক্রিকেট

এই রোগে আক্রান্ত পাঞ্জাব অধিনায়ক শ্রেয়সও! টসের সময়ে জেনে ফেলল গোটা দেশ

'নেটে বলই করতে চায় না', কলকাতার এই নাইট তারকা সম্পর্কে অজানা কাহিনি শোনালেন প্রাক্তন নাইট

রোহিতকে রানে ফেরার দাওয়াই দিলেন এই প্রাক্তন ক্রিকেটার

'ফর্ম হারানো অপরাধ তো নয়', খারাপ সময়ে এই মহিলা ক্রিকেটারকে পাশে পেলেন রোহিত

কাল সকালে সবুজ মেরুন তাঁবুতে আইএসএল ট্রফি, পতাকা উত্তোলন

আবার সাফল্য, বাংলার প্রথম ক্লাব হিসেবে ইউথ ডেভেলপমেন্ট লিগ চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান

‘অসাধারণ কৃতিত্ব’, মোহনবাগানের আইএসএল ডাবলের পর ক্লাবকে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

গোল করতে ব্যর্থ মেসি, জয়ের মুখ দেখল না ইন্টার মায়ামিও

আইপিএলে বিরল দৃশ্য, ম্যাচ চলাকালীন ব্যাট পরীক্ষা করে দেখলেন আম্পায়াররা