আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভেঙ্কটেশ আইয়ারের মঞ্চে তাণ্ডব বৈভব অরোরার। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের তিন সেরা ব্যাটারকে ফিরিয়ে ২৩.৭৫ কোটির তারকার থেকে ম্যাচের নায়কের পুরস্কার ছিনিয়ে নিলেন নাইট পেসার। প্রথম একাদশে ছিলেন না। ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নেমে দলকে জয়ে ফেরালেন। আইপিএলের সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপকে গুঁড়িয়ে দিলেন। তাঁর শিকার ট্রাভিস হেড, ঈশান কিষাণ এবং হেনরিচ ক্লাসেন। এই তিনটে আউটই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়। কেকেআরের পেসার জানান, ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকেন তিনি। মাঠের বাইরে থাকাকালীন তীক্ষ্ণ নজরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। বৈভব বলেন, 'আমি নিজেকে প্রস্তুত রাখি। আমাকে নামানো হলে ওরা আমাকে আগে থেকে জানিয়ে দেয়। আমি বল পর্যবেক্ষণ করি। কতটা সুইং করছে খেয়াল রাখি। পাঁচ-ছয় ওভারের পর আর বল সুইং করে না। তাই কাটার, ইয়র্কার দেওয়ার চেষ্টা করি। ক্রিকেট এখন অনেক বদলে গিয়েছে। ব্যাটাররা সবসময় মারমুখী মেজাজে থাকে। তাই কাটার, ইয়র্কার গুরুত্বপূর্ণ। কোন ব্যাটারকে কী বল করব সেটা আমরা মিটিংয়ে আলোচনা করে নিই। সেই অনুযায়ী লাইন এবং লেন্থ মানিয়ে নিই।'
দশ উইকেটের মধ্যে ছয় উইকেট পেসারদের, চার স্পিনারদের। কেকেআরের স্পিনারদের প্রশংসা করলেন তাঁদেরই সতীর্থ। জানান, নারিন এবং বরুণের জন্য তাঁদের ওপর থেকে চাপ অনেকটা কমে যায়। পাওয়ার প্লেতে কয়েকটা উইকেট তুলে নিতে পারলে, বাকি কাজের জন্য দুই স্পিনার রয়েছে। এই প্রসঙ্গে বৈভব বলেন, 'আমরা জানি যদি পাওয়ার প্লেতে কয়েকটা উইকেট তুলে নিতে পারে, তাহলে ম্যাচটা জেতা সহজ হয়ে যায়। কারণ আমাদের দলে সেরা স্পিনাররা আছে। তাই আমরা যদি একটা বা দুটো উইকেট তুলে নিতে পারি, ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।' স্পিনিং ট্র্যাক চেয়েছিল কেকেআর ম্যানেজমেন্ট। নাইট পেসারদের দাপটের পরও কি পিচ বদলানোর আর্জিতে অটুট থাকবেন রাহানেরা?
