জকাল ওয়েবডেস্ক: সুস্থতার জন্য খাদ্যাভ্যাসে চাই কিছু পরিবর্তন। তারই সঙ্গে ডায়েটে লাউয়ের রস রাখলে উপকার পাবেন হাতেনাতে। শরীরের যে কোনও সমস্যার সমাধান করতে পারে লাউ। পুষ্টিতে ভরপুর লাউয়ে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, সেলেনিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৩, ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি৯, ভিটামিন বি৬। পুষ্টিবিদদের মতে, টানা তিন সপ্তাহ লাউয়ের রস খেলে দারুণ ফল পাওয়া যায়। 

হার্টের সমস্যার একটি বড় কারণ ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল। যা নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, লাউয়ের রস এই খারাপ কোলেস্টেরলকে বাগে আনতে পারে। আসলে এই পানীয়ে রয়েছে অত্যন্ত উপকারী কিছু ফাইটো কেমিক্যাল। আর এই সব উপাদান কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সিদ্ধহস্ত। তাই কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত খান লাউয়ের রস। ব্লাড সুগার বেড়ে গেলে প্রথমেই লাউয়ের জুসের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে নিন।  একাধিক উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে এই পানীয়তে। যা ব্লাড সুগারকে বশে রাখার কাজে একাই একশো। 

ফাইবার ছাড়াও লাউয়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, পটাশিয়াম এবং আয়রন রয়েছে। এই সব উপাদানগুলি ওজন কমাতে সাহায্য করে। বিশেষত প্রতিদিন খালি পেটে এটি পান করলে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।মস্যার হাত থেকে রক্ষা পেতে লাউয়ের রসের সঙ্গে আদার রস মিশিয়ে নিয়মিত পান করুন। এটি আপনার পেটের জ্বালাভাবকে উপশম করবে।

লাউয়ের রস তৈরি করার জন্য ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম লাউ, ৬-৭ টা পুদিনা পাতা, স্বাদমতো লেবুর রস এবং ১ চামচ জিরেগুঁড়ো, সামান্য গোলমরিচ নিন। প্রথমে লাউয়ের খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরো করে নিন। এবার ব্লেন্ডারে এই লাউয়ের টুকরোর সঙ্গে পুদিনা পাতা দিয়ে রস করে নিন। এবার তাতে পরিমাণ মতো লেবুর রস আর জিরে গুঁড়ো ও গোলমরিচ মেশান। গরমের দিনে লাউ আর করলা দিয়ে ডাল বানিয়ে খেতে পারেন। এতে শরীর ঠান্ডা থাকে। অ্যাসিডিটির সমস্যাও কমে। স্যুপ কিংবা স্যালাড হিসেবেও লাউ খাওয়া যায়।