নিজস্ব সংবাদদাতা | | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১৪ : ২১Soma Majumder

আজকাল ওয়েবডেস্ক: যৌনতাও মানুষের একটি স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। কারও কাছে ভালবাসার প্রকাশ, কারওর জন্য শারীরিক পরিতৃপ্তি। নিঃসন্দেহে শারীরিক মিলন দু’টি মানুষের সম্পর্কের রসায়নকে আরও দৃঢ় করে। যতই রাখঢাক থাকুক, সার্বিকভাবে সুস্থ জীবনের জন্যও সুখকর যৌনজীবন জরুরি। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন রোজ সঙ্গম করলে কী হতে পারে? শুধু যৌন সুখ নয়, শরীরের উপর কেমন প্রভাব পড়ে? গবেষণায় উঠে এসেছে সেই বিষয়ে চমকে দেওয়া তথ্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন যৌন মিলনে লিপ্ত হলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা থেকে উপকার পাওয়া যায়। নিয়মিত সঙ্গম পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের শরীরের উপরই প্রভাব ফেলে। 

হার্ট সুস্থ থাকে: সহবাস করার সময়ে শরীরে রক্ত প্রবাহ বাড়ে এবং অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ে। এতে কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য ভাল থাকে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা সপ্তাহে দু'বারের বেশি সঙ্গম করেন তাঁদের মাসে একবারও মিলনে লিপ্ত হন না, এমন মানুষদের তুলনায় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কম হয় থাকে। 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: প্রতিদিনের যৌন উত্তেজনা শরীরে ইমিউনোগ্লোবুলিন এ (আইজিএ) নামে একটি অ্যান্টিবডি তৈরি করে যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সর্দি কাশির মতো অসুস্থতায় শরীর দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। 

দুশ্চিন্তা কমে: যৌন মিলনের সময় শরীরে এন্ডোরফিন নামক একটি হরমোন নিঃসরণ হয় যা আপনার অবসাদ কমাতে সাহায্য করে। এই হরমোনটিকে ‘ফিল গুড হরমোন’ও বলা হয়। যৌনসুখই জীবনের মানসিক চাপ কমিয়ে দিতে পারে। 

ব্যথা উপশম: যৌন মিলন শরীরের প্রাকৃতিক ব্যথা নাশক হিসেবে কাজ করে। প্রতিদিন সঙ্গম করলে মাথাব্যথা, ঋতুস্রাবের যন্ত্রণা এবং অন্যান্য শারীরিক ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

ঘুমের সমস্যা দূর হয়: গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সঙ্গমের ঠিক পরে খুব ভাল ঘুম হয়। দেোখা গিয়েছে, যাঁরা নিয়মিত যৌন ক্রিয়াকলাপে অংশগ্রহণ করেন, তাঁদের শরীরে এন্ডোরফিন নামক হরমোন নিঃসরণ হয়। এতে শুধুমাত্র মানসিক চাপ কমে না, ঘুমের সমস্যাও দূর হয়।

পেশী মজবুত হয়: মিলনের সময়ে শরীরের বিভিন্ন পেশী সক্রিয় ভূমিকা নেয়। নিয়মিত সঙ্গমে সেই অংশের পেশীগুলি সবসময়ে মজবুত থাকে। নারী-পুরুষ দু’জনের ক্ষেত্রেই হাড়ের জোর বাড়ে।

ত্বকের জেল্লা বাড়ে- শারীরিক ঘনিষ্ঠতা রক্ত সংবহন বাড়িয়ে তোলে। ফলে ত্বকে বেশি অক্সিজেন সরবরাহ হয়। যৌন মিলনের সময়ে ঘামরে মাধ্যমে শরীরের টক্সিনও দূর হয়। ফলে ত্বকের জৌলুস বাড়ে।