আজকাল ওয়েবডেস্ক: সময়ের সঙ্গে বাড়ছে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা। বিশ্বজুড়ে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ক্রমশ উর্ধ্বমুখী। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হৃদরোগে আক্রান্তের নেপথ্যে থাকে কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের মতো অসুখ। তবে ইদানীং অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া, শরীরচর্চার প্রতি অনীহা—এমনই নানা কারণে কমবয়সেই হানা দিচ্ছে হার্টের জটিল অসুখ। তবে জানেন কি এই সব কারণ ছাড়াও শরীরে কয়েকটি ভিটামিনের অভাবেও হৃদরোগ হতে পারে।
শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি না থাকলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। হাড়ের পাশাপাশি হার্টের স্বাস্থ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভিটামিন ডি। এই ভিটামিন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং কার্ডিওভাস্কুলার রোগের ঝুঁকি কমায়। সম্প্রতি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ভিটামিন ডি শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলে কমিয়ে বাড়িয়ে দেয় ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা। যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। একইসঙ্গে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে ভিটামিন ডি। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকলে তা উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করে।
ভিটামিন বি৬-এর অভাব থাকলে কার্ডিওভাস্কুলার রোগের ঝুঁকি বাড়ে। এই পুষ্টি হোমোসিস্টাইন নামের এক ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিডের লেভেল কমায় যা হৃদরোগের জন্য ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। এছাড়া ভিটামিন বি১২ও রক্তে হোমোসিস্টাইনের মাত্রা কমায়। শরীরে এই ভিটামিনের অভাব থাকলে হাইপারহোমোসিস্টিনেমিয়া নামের একটি অবস্থা তৈরি হয়, যা হৃদরোগের সঙ্গে যুক্ত।
রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে ভিটামিন কে। করোনারি আর্টারি ডিজিজের ঝুঁকি কমাতে চাইলে দেহে ভিটামিন কে-এর ঘাটতি হলে চলবে না। ভিটামিন কে-র অভাব থাকলে অস্টিওপোরোসিস, কেটে গেলে রক্ত বন্ধ না হওয়া এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
দেহে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি মেটাতে প্রতিদিন সকালে ১৫-৩০ মিনিট সূর্যালোকে দাঁড়ান। দুধ, ডিম, মাশরুম, মুরগির মাংস, সামুদ্রিক মাছ ভিটামিন ডি-এর ভাল উৎস। এছাড়া ভিটামিন বি৬ এবং বি১২-এর মাত্রা ঠিক রাখতে খেতে হবে মাছ, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, গমের তৈরি খাবার, চিনেবাদাম, ওটস, কলা ইত্যাজি। আর ভিটামিন কে-এর চাহিদা মেটাতে শাকসবজি খাওয়া প্রয়োজন।
